Logo
Logo
×

খেলা

ওয়ানডে সিরিজ

আহারে ব্যাটিং, এত কঠিন কেন তুমি

Icon

ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আহারে ব্যাটিং, এত কঠিন কেন তুমি

না, হলো না। এবারও অধরা রইল শ্রীলংকা-জয়। দ্বীপদেশটিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পূরণ হলো না। বাংলাদেশ শেষ ওয়ানডেতে ৯৯ রানে হেরে তিন ম্যাচের সিরিজ খুইয়েছে ১-২ এ। মঙ্গলবার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলংকা সাত উইকেটে ২৮৫ রান তোলে। জবাবে বাংলাদেশ ৬২ বল বাকি থাকতে অলআউট হয়ে যায় ১৮৬ রানে। একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি করেন তাওহিদ হৃদয়। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৮ বলে ৫১ রান। ওপেনার পারভেজ হোসেন ও অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ দুজনই সমান ২৮ রান করেন। জাকের আলী ২৭। আসিতা ফার্নান্ডো (৩/৩৩) ও দুশমান্ত চামিরা (৩/৫১) ছয় উইকেট সমান ভাগ করে নেন। ম্যাচ ও সিরিজসেরা কুশাল মেন্ডিস। দুদল এখন তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজ খেলবে। প্রথম ম্যাচ আগামীকাল বৃহস্পতিবার পাল্লেকেলেতে। ওডিআইতে বাংলাদেশ এরআগে ৮২ বারের মধ্যে মাত্র ১১ বার ২৭৫ কিংবা তার বেশি রান তাড়া করে জিতেছে। শেষ দৃষ্টান্ত শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। গতকালের ম্যাচে জেতার জন্য দরকার ছিল দুটি বড় ইনিংস এবং পার্টনারশিপ। দুটিতেই ব্যর্থ মেহেদী হাসান মিরাজরা। তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে যথাক্রমে পারভেজ হোসেনের ৪২ এবং মিরাজের ৪৩ রানের জুটি ঈষৎ আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশাহত হতে হয় আরেকবার ব্যাটারদের নিদারুণ ব্যর্থতায়। ঘরের মাঠে শ্রীলংকার এটি টানা অষ্টম সিরিজ জয়। ম্যাচ ও সিরিজসেরা কুশাল মেন্ডিস ম্যাচ-উত্তর কথোপকথনে বলেন, তার ব্যাটিং কোচ তাকে আগেরদিন তাগিদ দিয়েছিলেন ভালো ব্যাট করার। বলেছিলেন, ‘তুমি ভালো খেললে আমরা জিতব।’ এই ম্যাচে ১২৪ এবং সিরিজে সাকুল্যে ২২৫ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের ব্যাটারদের কে বলবে যে, তোমরা ভালো ব্যাট করলে দল জিতবে। অথচ, উইকেটে তেমন জুজুর ভয় ছিল না। ভয়টা আসলে নাজমুল-তানজিদদের মনে।

টস হওয়ার পর শ্রীলংকা অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা বলেছিলেন, ২৮০ রান এই উইকেটে লড়াই করার জন্য বেশ ভালো পুঁজি। শ্রীলংকা করেছে সাত উইকেটে ২৮৫ রান। বাংলাদেশের কৃতিত্ব এই যে, তারা স্বাগতিকদের ৩০০-র কমে আটকে দেয়। ৪০ ওভার শেষে লংকানদের স্কোর কার্ড ছিল বেশ স্বাস্থ্যবান। তিন উইকেটে তাদের রান তখন ২২২। ক্রিজে দুই সেট ব্যাটার কুশাল মেন্ডিস ও আসালাঙ্কা। শেষের জনের উইকেট নেওয়ার পর বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই কামব্যাক করে। দ্রুত কয়েকটা উইকেট নিয়ে তারা স্বাগতিকদের রানরেট কমিয়ে আনে। শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভারে শ্রীলংকা ২৮৫ রান করে সাত উইকেট হারিয়ে।

ইনিংসের দুই প্রধান নির্মাতা কুশাল মেন্ডিস ও চারিত আসালাঙ্কা। প্রথমজন নিজের ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৯৫ বলে, ১৮ চারের সহায়তায়। ফিফটি পূর্ণ হয় তার ৫৮ বলে। দ্বিতীয়জনের অবদান ৬৮ বলে ৫৮। চতুর্থ উইকেটে মেন্ডিস ও আসালাঙ্কার ১২৪ রানের জুটি স্বাগতিকদের ইনিংসের সবচেয়ে বড় স্তম্ভ। ৪১তম ওভারে এই জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদের জায়গায় দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ। শ্রীলংকা তখন ২২৪/৪। যেখান থেকে ২৮৫-তে পৌঁছতে ৬১ রানের ব্যবধানে আরও তিন উইকেট হারায় তারা। মেন্ডিস ব্যাটিং করেন সতর্কতার সঙ্গে। আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায়নি তাকে। ৪৬তম ওভারে নিজের বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তাকে ফেরান শামীম হোসেন। ইনিংসের লেজে হাসারাঙ্গা ১৪ বলে ১৮ রানের একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেন। দুটি উইকেট নেন তাসকিন ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। একটি করে উইকেট পান তানজিম হাসান, তানভীর ইসলাম ও শামীম হোসেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম