পেলে-মেসি নেই কার্লোসের তিন সেরার তালিকায়
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রবার্তো কার্লোসের বাঁ পায়ের গোলার মতো শট প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিত। রিয়াল মাদ্রিদের এই সাবেক ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডারের ফুটবলশৈলী এখনো অনেকের চোখে লেগে আছে। একসময়ের এই দাপুটে লেফট-ব্যাকের ফেভারিট ফুটবলার তিনজন-তার স্বদেশি রোনালদো, দিয়েগো ম্যারাডোনা ও জিনেদিন জিদান। রিয়ালের হয়ে চারটি লা লিগা খেতাবজয়ী কার্লোস ২০০২ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলে খেলেছেন। সেই দলে তার সহযোদ্ধা ছিলেন দুরন্ত স্ট্রাইকার রোনালদো। তাকে নিজের পছন্দের তালিকায় একনম্বরে রাখলেও আশ্চর্যজনকভাবে তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী পেলের নাম বেমালুম ভুলে গেছেন কার্লোস। যেমন লিওনেল মেসির নামও নেই তালিকায়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ডিফেন্ডার ইংল্যান্ডের রিও ফার্দিনান্দ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হালফিল কার্লোসের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, যেখানে তিনি ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলারকে সর্বকালের সেরা লেফট-ব্যাক হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। সেই সাক্ষাৎকারে নিজের দুই সাবেক ক্লাব সতীর্থ রোনালদো ও জিদানের সঙ্গে আর্জেন্টাইন ফুটবলের বরপুত্র দিয়েগো ম্যারাডোনাকে কার্লোস বেছে নিয়েছেন তার পছন্দের তিন খেলোয়াড় হিসাবে। ত্রয়ীকে নিয়ে কার্লোস-কথা।
রোনালদো (ব্রাজিল)
রোনালদো একজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় ছিল। খুবই দ্রুত গতিসম্পন্ন। খুবই বিচক্ষণ। চাতুর্য মিশে থাকত ওর খেলায়। সেটাই ছিল ওর খেলার অলংকার। সে ছিল উদীয়মান খেলোয়াড়দের জন্য একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। আমার দৃষ্টিতে রোালদোই এক নম্বর।
রিয়াল মাদ্রিদে তার সঙ্গে দীর্ঘদিন খেলাটা ছিল ম্যাজিকের মতো।
দিয়েগো ম্যারাডোনা (আর্জেন্টিনা)
অসম্ভব শক্তি। অদম্য স্পৃহা। দুর্দান্ত নেতা। ফুটবল ছিল তার প্রাণ। খেলাটা ভীষণ ভালোবাসত। দিয়েগো সব সময় আমার প্রিয় খেলোয়াড় ছিল, থাকবে। লোকে জিজ্ঞেস করে, এটা কি ঠিক। আমি বলি ঠিক। কারণ, আমি পেলের খেলা দেখিনি। শুধু ছবিতে দেখেছি তাকে। আর ম্যারাডোনার বিপক্ষে খেলেছি। ও ছিল অবিশ্বাস্য।
জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স)
রিয়াল মাদ্রিদে আমার আরেক সাবেক সহখেলোয়াড়। এককথায়, ফুটবল জাদুকর। স্পেনের ক্লাবে আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছি। এই ফরাসি মিডফিল্ডার বিশ্বমানের প্রতিভা। বল পায়ে দুর্দান্ত। জিদানের খেলা দেখতে সময় থেমে যেত। অবাক দৃষ্টিতে সবাই ওর খেলা দেখত। ওকে জাদুকর বললে অতিশয়োক্তি হবে না।
রোনালদোর ক্যারিয়ার
ক্লাব : ৪৮২ ম্যাচ
৩০৯ গোল
৭৫ অ্যাসিস্ট
আন্তর্জাতিক : ৯৯ ম্যাচ
৬২ গোল
৩২ অ্যাসিস্ট
ট্রফি জয় : ১৮ মেজর ট্রফি
ব্যক্তিগত সম্মান : দুটি ব্যালন ডি’অর
ও ফিফা বর্ষসেরা এবং তিনটি উয়েফা
বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের খেতাব
ম্যারাডোনার ক্যারিয়ার
ক্লাব : ৩৪৩ ম্যাচ
১৫৯ গোল
১০৫ অ্যাসিস্ট
আন্তর্জাতিক : ৮৪ ম্যাচ
৩২ গোল
২৭ অ্যাসিস্ট
ট্রফি জয় : ১১ মেজর ট্রফি
ব্যক্তিগত সম্মান : যুগ্মভাবে ফিফার
শতাব্দীসেরা খেলোয়াড়
জিদানের ক্যারিয়ার
ক্লাব : ৬৯০ ম্যাচ
১২৫ গোল
১৪১ অ্যাসিস্ট
আন্তর্জাতিক : ১০৮ ম্যাচ
৩১ গোল
২৯ অ্যাসিস্ট
ট্রফি জয় : ১৩ মেজর ট্রফি
ব্যক্তিগত সম্মান : তিনবার ফিফার বর্ষসেরা খেলোয়াড় ও ব্যালন ডি’অর খেতাব জয়
