Logo
Logo
×

খেলা

রুট টু টেন্ডুলকার

Icon

পারভেজ আলম চৌধুরী

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রুট টু টেন্ডুলকার

জো রুটের জন্মের আগে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শচীন টেন্ডুলকারের। যার খেলা দেখে বড় হয়েছেন, যার ব্যাটিং তাকে সম্মোহিত করেছে, এমনকি যার বিপক্ষে খেলেছেনও, সেই টেন্ডুলকারের সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে রুটের নাম। কেন হচ্ছে বিলক্ষণ জানেন ক্রিকেটরসিকেরা। ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে রুটের রাজসিক ১৫০ রানের ইনিংস তাকে টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের স্থানে বসিয়ে দিয়েছে। তার উপরে শুধু টেন্ডুলকার। দুজনের মাঝে ব্যবধান ২,৫১২ রানের। টেন্ডুলকারের রান ১৫,৯২১। রুটের ১৩,৪০৯। সুতরাং, পথ এখন একটাই-রুট টু টেন্ডুলকার। রুট যদিও কেতাদুরস্ত সাহেবি কায়দায় বলেছেন, যতদিন ক্যারিয়ার আছে, যতদূর যাবেন, টেন্ডুলকারকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুপ্ত বাসনায় নিজেকে আর্দ্র করবেন না তিনি। তার শিষ্টাচারকে ‘বাত কী বাত’ বলে ধরে নিতেই পারেন নাসের হুসেইন, মাইক আথারটনরা। ইংল্যান্ডে ইতোমধ্যে বাহাস শুরু হয়ে গেছে যে, ২,৫১৩ রান করতে কতদিন লাগবে রুটের। ‘কত দূর আর কত দূর...।’ আথারটন অঙ্ক-টঙ্ক করে বলে দিয়েছেন, ৩০ টেস্ট। মানে, আর ৩০ টেস্ট খেললে ‘এভারেস্ট’ থেকে টেন্ডুলকারের পতাকা নামিয়ে রুটের ঝাণ্ডা উড়বে। সম্ভব-অসম্ভবের ঘুপচি গলিতে ঢোকার দরকার নেই। এ নিয়ে আগামী দিনগুলোতে ইংল্যান্ড-ভারত যে তর্ক-বিতর্কের চৌকাঠ পেরিয়ে মহাসড়কে পা রাখবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তার আঁচ এখনই পাওয়া যাচ্ছে।

রুটের এটি ১৫৭তম টেস্ট। ২০১২ সালে নাগপুরে ভারতের বিপক্ষে তার অভিষেক। টেন্ডুলকার খেলেছেন ২০০ টেস্ট। তার ১৫,৯২১ রানের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ৫১টি সেঞ্চুরি। রুট ওল্ড ট্রাফোর্ডে গত পরশু ৩৮তম শতক হাঁকিয়েছেন। তার বয়স এখন ৩৪। টেন্ডুলকার টেস্ট ক্রিকেট ছেড়েছেন ৪০ বছর বয়সে। রাহুল দ্রাবিড় ৩৯-এ। টেন্ডুলকারের চেয়েও বেশি বয়সে অবসর নিয়েছেন মিসবাহ-উল-হক (৪২) এবং রুটের স্বদেশি জেমস অ্যান্ডারসন (৪১)। সুতরাং, বিলেতি সাহেবরা আশায় বুক বাঁধতেই পারেন। এসব পরিসংখ্যান সামনে এনে ইংল্যান্ডের বোদ্ধারা সোৎসাহে ও সোল্লাসে দিন গুনতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রতীক্ষা সব সময় যন্ত্রণার না-ও হতে পারে। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে ইংরেজদের আপত্তি নেই। আপাতত কথা চালাচালি, বিতর্ক-বাহাস চলতে থাকুক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল চলুক আরও কিছুদিন। তবে এক টেন্ডুলকার ভক্ত তার আইকনকে ‘এন্ডুলকার’ ভাবতে নারাজ।

শচীনের তুলনা হওয়া উচিত শুধু ম্যারাডোনার সঙ্গে ফুটবল কখনো আরেকজন ম্যারাডোনাকে পাবে না ক্রিকেটও পাবে না আরেকজন শচীনকে

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম