|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ম্যাচের বয়স তখন ৭৫ মিনিট ছুঁতে চলেছে। ইন্টার মায়ামি পিছিয়ে ১-০ গোলে। জর্দি আলবার ক্রস থেকে বক্সের ভেতর হেড করলেন তাদেও আইয়েন্দে। গোলকিপার তা ধরেও ফেললেন। কিন্তু গ্যালারি থেকে ভেসে এলো গর্জন। রেফারি যে পেনালটির বাঁশি বাজিয়েছেন!
হেড নেওয়ার সময় আইয়েন্দেকে ধাক্কা মারেন ডেভিড ব্রেকালো। রেফারির পেনালটির সিদ্ধান্ত এক ঝটকায় যেন বদলে দিল ম্যাচের মোড়। দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লের ব্রেকালো। পেনালটি থেকে গোল করলেন লিওনেল মেসি। পরে তার দারুণ এক গোলেই এগিয়ে গেল মায়ামি। অধিনায়ক অবদান রাখলেন দলের তৃতীয় গোলেও।
চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরে ম্যাচের অনেকটা সময় বিবর্ণ থাকলেও শেষদিকে জোড়া গোলে ব্যবধান গড়ে দিলেন আর্জেন্টাইন জাদুকর। বৃহস্পতিবার সকালে লিগস কাপের সেমিফাইনালে ঘরের মাঠে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকা ইন্টার মায়ামি শেষ পর্যন্ত ফাইনালে পৌঁছে গেল অরল্যান্ডো সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে। মেজর লিগ সকারের নিয়মিত মৌসুমে এ অরল্যান্ডোর কাছে দুই দফায় হেরেছে মায়ামি, গোল হজম করেছে সাতটি। এই ম্যাচেও প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোল করে অরল্যান্ডোকে এগিয়ে দেন মার্কো পাসালিচ। ৭৫ মিনিটে পেনালটি থেকে মায়ামিকে সমতায় ফেরান মেসি। লিগস কাপে তার প্রথম গোল এটি। ১০ জনের অরল্যান্ডোকে এরপর প্রবল চাপে ফেলে দেয় মায়ামি। সেই পথ ধরেই গোল আসে ৮৮ মিনিটে। বার্সেলোনায় অনেকবার যেমন দেখা গেছে, সেভাবেই আলবার সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বক্সের ভেতর জটলার মধ্যে এগিয়ে চমৎকার ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়ান মেসি। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে আরেকটি গোলে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলে মায়ামি। মেসির কাছ থেকে বল পান রদ্রিগো দি পল। তিনি বাড়িয়ে দেন তেলাস্কো সেগোভিয়ার দিকে। ভেনেজুয়েলার তরুণ মিডফিল্ডার সুয়ারেজের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বক্সে ঢুকে পরাস্ত করেন অরল্যান্ডোর গোলকিপারকে। রোববারের ফাইনালে মায়ামির প্রতিপক্ষ সিয়াটল সাউন্ডার্স।
