রাত্রিকালীন ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব
কারণ ও প্রতিকার
অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অনিচ্ছাকৃতভাবে রাতে বিছানায় মূত্রত্যাগ করাকে বলা হয় বেডওয়েটিং। ৫ বছরের বেশি বয়সি শিশুদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় নকচারনাল অ্যানুরেসিস বা রাত্রিকালীন বিছানা ভেজানো। এ রোগ শিশুর মানসিক বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ৫ বছরের বেশি বয়সের বাচ্চারা মূত্রথলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাই তারা বেডওয়েটিং করে না। কিন্তু বেডওয়েটিং-এর বাচ্চারা ব্লাডার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। প্রায়ই মায়েদের অভিযোগ শোনা যায়, তার বাচ্চার বয়স ৬-৭ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো সে রাতে ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব করে দেয় অর্থাৎ বিছানা ভেজায়। বস্তুত প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণের অসম্পূর্ণতা বা অপরিপক্বতার কারণে অর্থাৎ যে বয়সে রাতে প্রস্রাব না করা বা শুকনো থাকাটা যৌক্তিকভাবে প্রত্যাশা করা যেতে পারে তা সম্ভবপর হয় না। বেডওয়েটিং বা বিছানা ভেজানো শিশুদের এবং তাদের বাবা-মার উভয়ের জন্যই বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর।
কারণ
রাত্রিকালীন প্রস্রাবের কোনো সুস্পষ্ট কারণ এখন পর্যন্ত জানা নেই। নিম্নোক্ত বিভিন্ন বিষয়গুলো বিছানা ভেজানোতে ভূমিকা রাখতে পারে-
মানসিক ঝুঁকি
বিছানা ভিজে যাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে কয়েকটি কারণ যুক্ত রয়েছে-
চাপ এবং উদ্বেগ। চাপ এবং উদ্বেগ জাতীয় বিষয়- যেমন বড় ভাই বা বোন হওয়া, নতুন স্কুল শুরু করা, বা বাড়ির বাইরে রাতে ঘুমানো বিছানা ভেজানোর কারণ বা ট্রিগার হতে পারে। এ ছাড়া মানসিক স্ট্রেসে, যেমন স্কুলের পড়াশোনার চাপে বিছানা ভেজানোর সমস্যা বেশি দেখা যায়।
জন্মগত বা বংশগত কারণ
অনেক ক্ষেত্রে, যেসব শিশু মানসিক এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী বা অনগ্রসর তাদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়।
* জন্মগত বা বংশগত প্রস্রাবের থলির স্প্রিন্টারের অপরিপক্বতা বা ঢিলার কারণে হয়।
* মূত্রথলি নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুগুলো পরিণত হওয়ার গতি ধীর হলে।
ষছোট মূত্রথলি : মূত্রথলি রাতে প্রস্রাব ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে পরিণত বা বিকশিত হতে দেরি হয়।
* হরমোন ভারসাম্যহীনতা : শৈশবকালে, কিছু বাচ্চা রাতে প্রস্রাবের উৎপাদন কম বা ধীর করতে পর্যাপ্ত অ্যান্টি-ডাইরিউটিক হরমোন (ADH) উৎপাদন করে না।
* মূত্রনালির সংক্রমণ : সংক্রমণ হলে মূত্রত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করা বাধাগ্রস্ত হয়। ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সংক্রমণ ও প্রদাহ সমস্যা জড়িত থাকে।
* নিদ্রাহীনতা : কখনো কখনো বিছানা ভেজা নিদ্রাহীনতা বা ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে হতে পারে।
* ডায়াবেটিস : যে শিশুটি সাধারণত রাতে শুকনো থাকে তাদের ক্ষেত্রে বিছানা ভেজানো ডায়াবেটিসের প্রথম লক্ষণ হতে পারে।
* দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য : যেহেতু, একই পেশিগুলো মূত্র এবং মল নির্মূল নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়, তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘমেয়াদি হলে, এ পেশিগুলো অকার্যকর হয়ে উঠতে পারে এবং রাতে বিছানা ভেজানোর কারণ হয়ে উঠতে পারে।
* মূত্রনালি বা স্নায়ুতন্ত্রের কাঠামোগত সমস্যা। কদাচিৎ, বিছানা ভেজা শিশুর স্নায়ুবিক সিস্টেম বা মূত্রতন্ত্রের একটি ত্রুটির সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
করণীয় ও চিকিৎসা
রাত্রিকালে বিছানায় প্রস্রাবের বিষয়টি মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এমনিতেই বন্ধ হয়ে যায়। এর সঠিক মূল্যায়নের জন্য ভালোভাবে ইতিহাস জানতে হবে। রাত্রিকালে বিছানা ভিজালে দিনেও স্বভাবতই ভেজানোর প্রবণতা থাকে। তাই মেরুদণ্ড, তলপেট, মূত্রথলি এবং নিচের অঙ্গের বিশেষ করে পায়ের স্নায়ুর সজাগ্রতা লক্ষ করতে হবে। চিকিৎসায় আছে কিছু সাধারণ পদক্ষেপ এবং কিছু ওষুধ। আসলে সমস্যাটা যদিও তত জটিল নয়। কিন্তু সমাধান বেশ কষ্টসাধ্য। ৪ বছরের পর থেকে ৫ শতাংশ শিশুদের মধ্যে প্রতি বছর এ রোগ থেকে উন্নতি দেখা যায়। চিকিৎসা ৬ বছরের আগে খুব কদাচিৎ প্রয়োজন হয়। এ বয়সের পরও শিশুদের রাতের বেলা মূত্রথলি নিয়ন্ত্রণ বিকশিত হতে পারে। বেশিরভাগ বাচ্চা ৫ বছর বয়সে পুরোপুরি প্রশিক্ষিত হয়। সাধারণত, ৭ বছর পর্যন্ত বিছানা ভেজানো কোনো উদ্বেগের বিষয় নয়। লাইফস্টাইল পরিবর্তন, মূত্রথলি প্রশিক্ষণ, আর্দ্রতা, অ্যালার্ম এবং কখনো কখনো ওষুধ বিছানা ভেজা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক্ষেত্রে পরামর্শ খুব জরুরি। ব্যাপারটা শুরুতে বাবা-মা ও বাচ্চাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। মা-বাবা যেন বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো রকম শাস্তির অভ্যাস গড়ে না তোলে, সে ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। কারণ তা হলে হীতে বিপরীত হতে পারে। যদি বিছানা ভেজানো অব্যাহতভাবে চলতে থাকে, তবে ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে।
জীবনধারার পরিবর্তন
সন্ধ্যায় তরল গ্রহণ ও খাওয়া সীমিত করতে হবে। তবে, পর্যাপ্ত তরল পান করাও গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং শিশু দিনে কী পরিমাণ পানীয় পান করবে, তা সীমাবদ্ধ করার দরকার নেই। সকালে এবং বিকালে তরল পান করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে, আর সন্ধ্যায় তরল হ্রাস করতে পারে। কোনো শিশু যদি সন্ধ্যায় খেলাধুলা বা গেমসে অংশ নেয় তবে সন্ধ্যার তরল সীমাবদ্ধ করা উচিত হবে না। নিদেনপক্ষে ক্যাফিনযুক্ত পানীয় যেমন চা, কফি ইত্যাদি সন্ধ্যার পর পরিহার করতে হবে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুবারে প্রস্রাব করা উৎসাহিত করতে হবে। অর্থাৎ শয়নকালীন রুটিনের শুরুতে প্রস্রাব করা এবং তারপরে ঘুমিয়ে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে, এমনকি ঘুম থেকে উঠে মাঝ রাতে আর একবার প্রস্রাব করার অভ্যাস করলে ভালো হয়। ঘুমের পর ৩ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণত বিছানা ভেজায়। তাই এ সময় বাচ্চাকে জাগিয়ে বিছানায় প্রস্রাবকে পরিহার করানো যায়। ঘরে ছোট ডিম বা নাইট লাইট ব্যবহার করুন, যাতে আপনার শিশু খুব সহজেই শোবার ঘর এবং বাথরুমে যেতে পারে।
সারা দিন নিয়মিত প্রস্রাব করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। দিনে এবং সন্ধ্যায় প্রতি দুই ঘণ্টা বা তার একটু বেশি সময় পরপরই প্রস্রাব করার পরামর্শ দান জরুরি। তবে অন্যান্য চিকিৎসার আগে বিছানা ভেজা হওয়ার অন্তর্নিহিত কারণগুলো যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য বা স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকলে তার চিকিৎসার প্রয়োজন। প্রশংসা বা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে হবে যেদিন বাচ্চা বিছানা শুকনো রাখবে। তবে ভেজালে বকা যাবে না, পুনরায় বোঝাতে হবে।
কখন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে হবে
* শিশু যদি ৭ বছর বয়সেও বিছানায় প্রস্রাব করে।
* রাতে কয়েক মাস শুকিয়ে যাওয়ার পরে নতুনভাবে বিছানা ভেজাতে শুরু করে।
* বিছানা ভেজার সঙ্গে বেদনাদায়ক মূত্রত্যাগ, অস্বাভাবিক তৃষ্ণা, গোলাপি বা লাল প্রস্রাব, শক্ত মল, বা কৌষ্ঠকাঠিন্য।
শারীরিক পরীক্ষা
লক্ষণ, তরল গ্রহণ, পরিবারের ইতিহাস, অন্ত্র এবং মূত্রাশয়ের অভ্যাস এবং বিছানা ভেজাতে সম্পর্কিত সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা-
কোনো সংক্রমণ বা ডায়াবেটিসের লক্ষণ পরীক্ষা করার জন্য মূত্র পরীক্ষা।
কিডনি বা মূত্রাশয়ের এক্স-রে বা অন্যান্য ইমেজিং পরীক্ষাগুলো মূত্রনালির কাঠামো দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য মূত্রনালির পরীক্ষা বা মূল্যায়ন।
আর্দ্রতা অ্যালার্ম
এক্ষেত্রে একটি ছোট, ব্যাটারিচালিত ডিভাইস বা যন্ত্র শিশুর পায়জামা বা বাচ্চার প্যান্টের ভেতর অথবা বিছানায় কোনো আর্দ্রতা-সংবেদনশীল প্যাডের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হয়। যখন আর্দ্রতা অনুভব করে তখন অ্যালার্মটি বেজে ওঠে। শিশু যখনই প্রস্রাব করতে শুরু করে তখনই আর্দ্রতা অ্যালার্ম বেজে ওঠে। সে জেগে যাবে। আবার ভেজা বিছানা গুছিয়ে শুয়ে পড়বে। এভাবে সে মানসিকভাবে সতর্ক হয়ে যাবে। এর ফলে তার মধ্যে আস্তে আস্তে একটা সচেতন রিফ্লেক্স গড়ে উঠবে। এতে বাচ্চার ঘুম ভাঙতে এবং জেগে উঠতে সাহায্য করে। তবে অন্য কারও অ্যালার্ম শুনতে এবং বাচ্চাকে জাগিয়ে তোলার প্রয়োজন হতে পারে। অ্যালার্ম খুব কার্যকর চিকিৎসাব্যবস্থা।
ওষুধ
কখনো কখনো শেষ অবলম্বন হিসাবে বিছানা ভেজানো বন্ধ করতে অল্প সময়ের জন্য ওষুধ প্রয়োজন হয়। এ জন্য বিভিন্ন ধরনের ওষুধ আছে-
* অ্যান্টিকোলিনেরজিক ওষুধ। অ্যান্টিকোলিনেরজিক ড্রাগ যেমন অক্সিটোসিন (ডাইট্রোপান এক্সএল) মূত্রাশয়ের সংকোচনের পরিমাণ হ্রাস করতে এবং মূত্রাশয়ের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষত যদি দিনের বেলা ভেজেও যায়। এই ওষুধটি অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে সাধারণত ব্যবহৃত হয় এবং অন্যান্য চিকিৎসা ব্যর্থ হলে সাধারণত দেওয়া হয়।
* ইমিপেরামিন ও ডেসমোপেরেসিন ওষুধ দুটো তাৎক্ষণিকভাবে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রকোপ কমিয়ে দিতে পারে, তবে পরে পুনরায় সমস্যা আবার ফিরে আসে প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে। তবে অল্প সময়ের জন্য কোনো ক্যাম্প বা বন্ধুদের সঙ্গে কোনো ভ্রমণ বা ছুটি কাটাতে ওষুধ দুটো ব্যবহার করা যেতে পারে।
* রাতে প্রস্রাব উৎপাদন ধীরকরণ। Desmopressin (DDAVP) রাতে প্রস্রাব উৎপাদন হ্রাস করে। ডেসমোপ্রেসিনকে মুখে ট্যাবলেট হিসাবে দেওয়া হয় এবং এটি কেবল ৫ বছরের বেশি বয়সি বাচ্চাদের জন্য। ভাসোপ্রেসিন হরমোন, যা বারংবার প্রস্রাব করার প্রবণতা বা প্রস্রাবের পুনরাবৃত্তির হার (Frequency rate) এবং পরিমাণ হ্রাস করে। এটি প্রস্রাব করার তাগিদ হ্রাস করতে এবং সাধারণ জীবনধারণে সহায়তা করে। ওষুধ থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে নিয়মিত এটি ব্যবহার করতে হয়। তবে ওষুধের সঙ্গে অত্যধিক পানি পান করলে সমস্যার সমাধান হবে না। যদি ১৬ সপ্তাহের চিকিৎসায় ১৪ দিন শুকনো থাকে তবে মনে করা যেতে পারে, সে প্রাথমিক শুকনো রাখার প্রক্রিয়ায় সাড়া দিচ্ছে। আর যদি ২ বছর পর্যন্ত সে অব্যাহতভাবে শুকনো প্রক্রিয়া থাকে, তাহলে সারা জীবনের জন্য সে সুস্থ হয়েছে ধরে নেওয়া যায়।
জটিলতা
যদিও হতাশাজনক, শারীরিক কারণ ব্যতীত বিছানা ভেজানোতে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না। তবে বিছানা- ভেজানো শিশুদের জন্য কয়েকটি সমস্যা তৈরি করতে পারে-
* অপরাধবোধ এবং বিব্রতবোধ
ক্যাম্প বা শিবিরের মতো সামাজিক ক্রিয়াকলাপের যেতে না পারা ও হীনমন্যতাবোধের সৃষ্টি।
* শরীরের নিচের অংশে এবং যৌনাঙ্গে ক্ষেত্রের ফুসকুড়ি হওয়া-বিশেষত যদি শিশু ভেজা অন্তর্বাসে ঘুমায়।
বেডওয়েটিং রোগের বিশ্বব্যাপী পরিসংখ্যান
১০-১৫ শতাংশ ছেলেরা তাদের ৫ বছর বয়সেও বিছানায় প্রস্রাব করে। এ সমস্যা তাদের বয়ঃসন্ধিকাল পেরিয়ে কিশোর বয়স পর্যন্ত রয়ে যায়। ৩ শতাংশ বালক তাদের ১০ বছরেও রাতে বিছানা ভেজায়। ১৫ বছরের পর তা কমে ১ শতাংশের নিচে দাঁড়ায়। সাধারণত, প্রায় ২৫ জনের মধ্যে চারজন শিশুই বেডওয়েটিং করে থাকে। মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি। পিতা-মাতার প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি। পারিবারিক ইতিহাস, যদি বাচ্চার বাবা-মায়ের দুজনই বাচ্চা থাকাকালীন বিছানা ভেজাতেন তবে তাদের সন্তানেরও বিছানা ভেজানোর আশঙ্কা থাকে। যদি পিতা-মাতা উভয়েই শৈশবে রাত্রিকালীন বিছানায় প্রস্রাবের রোগে ভুগে থাকে তাহলে বাচ্চাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশ এই রোগে ভোগার ঝুঁকি থাকে। আর যদি পারিবারিক ইতিহাস না থাকে তবে এই রোগে ভোগার ঝুঁকি ১৫ শতাংশ। অতি চঞ্চলতা ও মনোযোগ ঘাটতি বা হাইপারঅ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার (এডিএইচডি) শিশুদের বিছানা ভেজানোর সমস্যা বেশি দেখা যায়।
লেখক : শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও সভাপতি বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতি
