মাল্টি গ্রেনের আটার রুটি কেন খাবেন
সামসুন নাহার স্মৃতি
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাল্টি গ্রেন আটা মানে, যে আটায় গোটা শস্যদানা থেকে শুরু করে গম, যব, বার্লি, ভুট্টা, ওটস এরকম হোল্ গ্রেন বা গোটা শস্যদানা থাকে। মাল্টি গ্রেনের আটায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ও মিনারেলস রয়েছে। যার ফলে, হোল ক্রেইন বা মাল্টি গ্রেনের আটার রুটি খেলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ফ্যাটি লিভার কিংবা উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশে। অন্যদিকে রিফান্ড আটা বা ময়দার রুটি খেলে ওবেসিটি, ফ্যাটি লিভার ডিজিজ এমনকি ব্লাডসুগার অনিয়ন্ত্রণে থাকে। কারণ রিফান্ড আটা বা ময়দার জি আই বা গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম থাকে। যার ফলে রক্তে ব্লাডসুগার বেড়ে যেতে পারে।
অনেকেই ডায়েট করে রুটি খাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু ওজন কমছে না অথবা ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকছে না। কারণ কষ্ট করে যে রুটি খাচ্ছেন সে রুটির আটা হচ্ছে লো জি আই যুক্ত পুষ্টি উপাদান; যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। পক্ষান্তরে যদি মাল্টি গ্রেন যেমন গম, বার্লি, ওটস, রাই, ভুট্টা, জব, লাল চাল কি নোয়া ইত্যাদি সমন্বিত আটার রুটি খেতে পারেন তাহলে ভালো ফল পাবেন। কারণ এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে টাইটারি, ফাইবার, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, নায়াসিন, থায়ামিন ফোলেট। আরও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ লবণ যেমন জিঙ্ক আয়রন ম্যাগনেসিয়াম ম্যাঙ্গানিজ। মাল্টি গ্রেন আটাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন যা, ওবিসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ আটায় পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যার ফলে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শরীরকে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে এ মাল্টি গ্রেনের রুটি।
এছাড়াও মাল্টি গ্রেনের রুটি খেলে হৃদরোগে ঝুঁকি কমবে। এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টক্সিন সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়; বিশেষ করে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় অনেকাংশে। মাল্টি গ্রেন রুটি প্রোবায়োটিক হিসাবেও ভালো কাজ করে। এ প্রবায়োটিক খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে হজমে সহায়তা করে এবং পাকস্থলীর স্বাস্থ্যকে সুরক্ষা করে ।
যারা সুস্থ-স্বাভাবিক ও কর্মকম জীবন-যাপন করতে চান; তারা অবশ্যই রিফান্ড আটা বা ময়দার রুটি না খেয়ে মাল্টি গ্রেনের রুটি অথবা লাল আটার রুটি খাওয়ার সু-অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পারেন।
লেখক : ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট অ্যান্ড ডায়েটেশিয়ান, উত্তরা ক্রিসেন্ট হসপিটাল, ঢাকা।
