Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

শিশুর খাবারে ফল, প্রোটিন ও সবজি রাখুন

Icon

আখতারুন নাহার আলো

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অনেক মা-ই শিশুর খাবার নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তাদের নিজেদের পছন্দমতো খাবার শিশুকে খাওয়াতে পারেন না। কারণ ছোট শিশুরা সবসময় তাদের নিজেদের পছন্দমাফিক খাবার খেয়ে থাকে। দেখা যায়, অনেক শিশুই ফল ও সবজি খেতে চায় না। এজন্য ফল ও সবজি তাদের সামনে আকর্ষণীয়ভাবে পরিবেশন করতে হবে। এগুলোতে আছে ভিটামিন, খনিজলবণ, পানি ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। সকাল ও বিকালের নাশতায় হালকা খাবারের সঙ্গে আস্ত ফল খেতে দিলে ভালো হয়। যদি কখনও ফল সহজলভ্য না হয় তাহলে আলু, গাজর, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, পেঁপে, মটরশুঁটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদি দিয়ে স্যুপ বানিয়ে দিতে পারেন। অথবা সবজি দিয়ে চপ বানিয়ে দিলেও ভালো হয়। নুডলসের সঙ্গে সবজি বেশি দেওয়া যায়।

শিশুদের খাবারে নরম শাক যেমন-পালংশাক, লালশাক দেওয়া উচিত। অনেকে মনে করেন, শাক খেলে পেট খারাপ হতে পারে। এটা ঠিক নয়। শিশুদের খাবার যেন রংধনুর রঙে রাঙানো থাকে। যেমন-কমলা রঙের-গাজর, মিষ্টি কুমড়া, কমলালেবু, মালটা, পাকা পেঁপে, পাকা আম ইত্যাদি। বেগুনি রঙের-আঙুর, বেগুনি বাঁধাকপি, বেগুনি বরবটি, বেগুন ইত্যাদি। লালরঙের-লাল ক্যাপসিকাম, চেরি, স্ট্রবেরি, টমেটো ইত্যাদি। মেজেন্ডা রঙের-ড্রাগন, লালশাক, তরমুজ, বিট, ইত্যাদি। হলুদ রঙের-পাকা কলা, আনারস, মাখন,ঘি ইত্যাদি। সবুজ রঙের-আঙুর, শাকসবজি, মটরশুঁটি, আপেল, বরবটি, সিম ইত্যাদি। সাদা রঙের-দুধ, ভাত, চিড়া, মুড়ি, খই, সাগু, পনির, দই, নারিকেল ইত্যাদি। তাদের প্লেটে বিভিন্ন রঙের খাবার পরিবেশন করবেন তারা বেশ খুশি মনে খেয়ে ফেলে।

* শিশুদের খাবার খাওয়ানোর কিছু টিপস

▶ তাদের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে।

▶ খাবার তৈরি করতে হবে বিভিন্ন আকৃতি ও থিমের ওপর নির্ভর করে।

▶ খাবার হবে আকর্ষণীয় ও পরিমাণে কম।

▶ কোনো খাবার খেতে অস্বীকৃতি জানালে তৎক্ষণাৎ সে খাবারটি তার সামনে থেকে সরিয়ে নিতে হবে।

▶ সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে।

▶ খাবার যেন স্বাদযুক্ত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

▶ আনন্দদায়ক পরিবেশে খাবার দিতে হবে।

* শিশুদের খাবারে কীভাবে প্রোটিন যুক্ত করবেন

▶ পাস্তা রান্না করতে মুরগির মাংস বা ডিম দেবেন।

▶ নডুলস রান্নার সময় মাংসের কিমা দেওয়া যায়।

▶ ডিম দিয়ে পাউরুটি টোস্ট।

▶ স্যালমন বা টুনা মাছ অথবা ডিম দিয়ে স্যান্ডউইচ।

▶ সকালের নাশতায় দুধ বা দই রাখা।

▶ মাছ-মাংসের ক্লিয়ার স্যুপ খাওয়ান।

▶ বিকালের নাশতায় পুডিং, ডিম ও ডালের হালুয়া খাওয়ান।

▶ ছোট মাছ ও মাংসের কাবাব খাওয়ান।

শিশুর চাহিদা অনুযায়ী অবশ্যই তাদের খাবারে প্রোটিনযুক্ত করতে হবে। এছাড়া খাবারে যাতে বৈচিত্র্য থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

লেখক : সভাপতি, ডায়াবেটিস নিউট্রিশনিস্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশ। পথ্য ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শ্যামলী।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম