Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে কী করবেন

Icon

ডা. রাফিয়া বিনতে রউফ

প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্বব্যাপী স্তন ক্যানসার নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ক্যানসার হিসাবে চিহ্নিত। আমাদের দেশে পর্যাপ্ত স্ক্রিনিং সুবিধা না থাকায় অনেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে রোগটি শনাক্ত করতে পারেন না। রোগটি প্রতিরোধে যা করবেন-

* নিয়মিত পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ

নিজে নিজে নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করা খুবই জরুরি। ১৫-৫০ বছর বয়সি সব নারী প্রতি মাসে মাসিকের সপ্তম দিনে নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করবে। আর যাদের মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে তারা প্রতি মাসের একটা নির্দিষ্ট দিনে করবে। কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন, শক্ত চাকা বা ব্যথা অনুভূত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ৪০ বছরের পর নিয়মিত ম্যামোগ্রাফি করানো উচিত।

* স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ।

* প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম, মাছ এবং কম চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

* প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা ভালো।

* নিয়মিত ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণ

▶ সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট অথবা প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট মাঝারি ধরনের ব্যায়াম, যেমন হাঁটাহাঁটি, জগিং বা সাইকেল চালানো ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। অতিরিক্ত ওজন স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।

* সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো

ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে মাতৃদুগ্ধপান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যারা দীর্ঘসময় ধরে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান, তাদের ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। বুকের দুধ খাওয়ানোর ফলে স্তনের কোষগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও পুনর্গঠন হয়, যা ক্যানসারের আশঙ্কা হ্রাস করতে সাহায্য করে। তাই সন্তানকে অন্তত ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।

* মানসিক চাপ কমানো ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা

চাপমুক্ত জীবনযাপন ও পর্যাপ্ত ঘুম (৭-৮ ঘণ্টা) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা পছন্দের কাজে মনোযোগ দিয়ে মানসিক চাপ কমানো যেতে পারে।

* হরমোন থেরাপির বিষয়ে সচেতন থাকা

অনেক নারী মেনোপজ পরবর্তী হরমোন থেরাপি নেন, তবে দীর্ঘদিন এ থেরাপি চালালে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ ধরনের থেরাপি গ্রহণ করা উচিত নয়।

* ধূমপান ও অ্যালকোহল পরিহার

ধূমপান ও অ্যালকোহল স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়, তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।

লেখক : ফেলো, এআরটি এবং রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিনে ডিপ্লোমা।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম