Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

মাথাব্যথায় কী করবেন

Icon

ডা. তাহমীদ কামাল

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মাথাব্যথায় কী করবেন

মাথাব্যথার অন্যতম দুটি কারণ রিবাউন্ড ও থান্ডারক্ল্যাপ হেডেক। রিবাউন্ড হলো যেকোন মাথাব্যথা চিকিৎসার জন্য নিয়মিত ব্যবহৃত ওষুধ খাওয়া হঠাৎ বন্ধ করার পর যে প্রচণ্ড মাথাব্যথা হয় সেটি। থান্ডারক্ল্যাপ হলো প্রচণ্ড মাথাব্যথা যা হঠাৎ করেই শুরু হয়। সাধারণত কোনো লক্ষণ ছাড়াই শুরু হয় এবং পাঁচ মিনিট অবধি থাকে।

* মাথাব্যথা নির্ণয়ের পরীক্ষা

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযয়ী নিচের পরীক্ষাগুলো করা যায়- সিবিসি (একটি রক্ত পরীক্ষা যা সংক্রমণের লক্ষণগুলো দেখাতে পারে), মাথার এক্স-রে, সাইনাস এক্স-রে, মাথার সিটি বা এমআরআই স্ক্যান, CSF স্টাডি ইত্যাদি।

* কখন ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করতে হবে

নিম্নলিখিত লক্ষণগুলোর সঙ্গে মাথাব্যথা থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত- জ্বর, বমি, মুখের অসাড়তা, হঠাৎ ঝাপসা দৃষ্টি, একপাশে হাত বা পা দুর্বলতা, খিঁচুনি, চোখের চারপাশে প্রচুর ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা প্রচণ্ড বেড়ে গেলে।

* চিকিৎসা

মাথাব্যথার চিকিৎসা নির্ভর করে ব্যথার কারণের ওপর। সেকেন্ডারি ব্যথা সেকেন্ডারি রোগের সফল চিকিৎসা করলে ব্যথা চলে যায়। আর প্রাইমারি মাথাব্যথার তেমন চিকিৎসা লাগে না। তবে লক্ষণ বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্যারাসিট্যামল ওষুধ ও প্রয়োজনে ব্যথার ওষুধ যেমন-অ্যাসপিরিন, এসিটামিনোফেন (টাইলেনল), বা আইবুপ্রোফেন (অ্যাডভিল) খাওয়া যায়।

ওষুধের সঙ্গে এসব বিষয়ও খেয়াল রাখতে হবে-

দৈনন্দিন স্ট্রেস কমান, হাসি খুশি থাকা, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া এবং প্রতিদিন কমপক্ষে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমান, হালকা বা মাঝারি মানের ব্যায়াম করা, ওজন কমান, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা, ইত্যাদি।

প্রতি মাসে তিন বা ততোধিক বার মাথাব্যথা দেখা দিলে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা ব্যবহার করা উচিত। সুমাট্রপটন একটি ড্রাগ, যা সাধারণত মাইগ্রেনের মাথাব্যথার নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেন বা ক্লাস্টার মাথাব্যথার চিকিৎসা বা প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয় এমন অন্য ওষুধগুলো হলো-

▶ বিটা ব্লকারস (প্রোপ্রানলল, অ্যাটেনলল)।

▶ ভেরাপামিল (ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার)।

▶ মেথাইসারগাইড ম্যালেট (রক্তনালির সংকোচন হ্রাস করতে সহায়তা করে)।

▶ অ্যামিট্রিপ্টাইলাইন (অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট)।

▶ ভ্যালপ্রিক অ্যাসিড (এন্টি কনভালসেন্ট)।

▶ ডাইহাইড্রোআরগোট্যামিন।

▶ লিথিয়াম।

▶ টোপিরামেট ইত্যাদি।

প্রত্যেকটি ওষুধের মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এসব ওষুধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন এবং যতই ব্যথা থাকুক নির্ধারিত ডোজের অতিরিক্ত সেবন করবেন না।

লেখক : ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম