|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে চুলের যত্ন নিয়মিত নেওয়া জরুরি। দৈনিক কিছু চুল স্বাভাবিকভাবে পড়ে যায় এবং একইভাবে কিছু চুল গজায়। কিন্তু চুল পড়া ও চুল গজানোর হারের সমতা যখন থাকে না তখনই চুল পাতলা হতে শুরু করে। দিনে ১০০টা চুল পড়লে তা স্বাভাবিক। অনেক রকম ইনফেকশন, বিভিন্ন রোগ, ওষুধের ব্যবহার এবং খাদ্যের ভিন্নতার কারণে সাধারণত চুল পড়ে। তবে ৯৫ ভাগ চুল পড়ার কারণ জিনগত বা বংশগত। এ অবস্থাকে বলা হয় অ্যানড্রোজেন।
▶ সাধারণ কারণ : চুল পড়ার জন্য ডিএইচটি (পুরুষ হরমোন) হরমোন দায়ী। পুরুষদের চুল সামনের দিকে পড়ে টাকে পরিণত হয় এবং মহিলাদের পুরো মাথার চুলই এককভাবে পাতলা হয়ে যায়। চুল পড়ার রাসায়নিক কারণ খুবই জটিল।
▶ ইনফেকশনজনিত : যেমন-ব্যাকটেরিয়া পয়োজেনিক, টিউবারকুলসিস, ফাঙ্গাস, কেবিওন ভাইরাস, হারপিস ইনফেকশন, প্রোটোজোয়ার লিশমেনিয়া ।
▶ শারীরিক ইনজুরি : কেমিক্যাল, পুড়ে যাওয়া।
▶ মাথার ত্বকের রোগ : যেমন-লুপাস ইয়ায়থমেটাস, লাইকেন প্লানাস।
এছাড়া যেসব পরিবারে অ্যাজমা, থাইরয়েড রোগ, শ্বেতী, রিউমাটয়েড আর্থাইটিস, প্যারনেসিয়াস অ্যানিমিয়া রোগে আক্রান্ত সেসব পরিবারের লোকজনের এ রোগ দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন রকম ওষুধ, যেমন-প্রেসার, ক্যানসার , জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি ইত্যাদির প্রভাবেও চুল পড়ে। এ ছাড়া মানসিক দুশ্চিন্তাও চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
বর্তমানে পিআরপি ও আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা হয় ।
লেখক : চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন, ইবনেসিনা ডিল্যাব, যশোর
