কোন প্যারাসিটামল কখন খাবেন
ডা. তাহমীদ কামাল
প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কোন প্যারাসিটামল কেন ব্যবহার করবেন জেনে নিন-
* প্যারাসিটামল 500 mg
▶ ব্যবহার : জ্বর এবং হালকা থেকে মাঝারি ব্যথা যেমন- মাথা, দাঁতের, কানের ও পিরিয়ডের ব্যথা, মচকে যাওয়া, শরীর ব্যথা।
▶ সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া : সাধারণত নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত নিলে লিভার ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
* প্যারাসিটামল+ক্যাফেইন
▶ ব্যবহার : জ্বর, মাথাব্যথা (বিশেষ করে মাইগ্রেইন), ঠান্ডাজনিত মাথাব্যথা।
▶ বিশেষত্ব : ক্যাফেইন শক্তি বাড়ায় এবং ব্যথা উপশমে বাড়তি সহায়তা করে।
▶ সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া : অনিদ্রা, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, হাত কাঁপা বা হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া।
* প্যারাসিটামল 665 mg (Extended Release)
▶ ব্যবহার : দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা যেমন-আর্থ্রাইটিস। দিনে ২-৩ বার নেওয়া যায়।
▶ সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া : মাত্রা ছাড়ালে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
* প্যারাসিটামল 1000 mg
▶ ব্যবহার : উচ্চমাত্রার জ্বর বা তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে। শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।
▶ সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া : লিভারের ওপর বেশি চাপ ফেলে, অতিরিক্ত নিলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
* প্যারাসিটামল + ট্রামাডল
▶ ব্যবহার : মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা যেমন-অস্ত্রোপচারের পর, ক্যানসারজনিত ব্যথা।
▶ সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া : মাথা ঘোরা, তন্দ্রা, বমিভাব দীর্ঘদিন খেলে আসক্তি হতে পারে।
* প্যারাসিটামল 500 mg (Rapid Action Technology)
▶ ব্যবহার : সাধারণ প্যারাসিটামলের মতোই তবে প্রযুক্তির কারণে ২ মিনিটের মধ্যে কাজ শুরু করে।
▶ শর্ত : শুধু ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য।
* সতর্কতা
▶ একই সময়ে একাধিক প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাবেন না।
▶ লিভারের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।
▶ ট্রামাডলযুক্ত ওষুধ অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে নিতে হবে।
▶ ডোজ না মেনে চললে এমনকি সাধারণ প্যারাসিটামলও বিপজ্জনক হতে পারে।
লেখক : ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞ।
