|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘নারী আসলে কিসে আটকায়?’-এমন একটি প্রশ্ন কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবার উৎকণ্ঠা যেন এ একটা বিষয় নিয়েই যে, পৃথিবীর ধনী, ক্ষমতাধর, সুদর্শন কিংবা সুকণ্ঠি পুরুষেরা যখন তাদের সঙ্গীদের ভালোবাসায়, সংসার জীবনে আটকে রাখতে পারছেন না। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও তর্কে যোগ দিয়েছেন বিনোদন জগতের তারকারাও। পাঁচ অভিনেত্রীর মন্তব্য নিয়ে এ ফিচারটি লিখেছেন নুসরাত অনন্যা।
‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ক্ষমতা, বিশ্বের সেরা ধনী বিল গেটসের অর্থ, ফুটবলার হাকিমির জনপ্রিয়তা, প্রখ্যাত অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির ভালোবাসা, সংগীতশিল্পী জনপ্রিয় তাহসানের কণ্ঠ কিংবা বলিউড সুপারস্টার হৃত্বিক রোশনের স্মার্টনেস-কোনো কিছুই নারীকে আটকাতে পারেনি। এদের প্রত্যেক্যের সঙ্গে তাদের জীবন সঙ্গিনীদের বিচ্ছেদ ঘটেছে। তাহলে ‘নারী কিসে আটকায়? এ প্রশ্নের সূত্রপাত হয়েছে কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা থেকে। সম্প্রতি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ও সোফি গ্রেগরি। দুজনের সম্মতিতেই ১৮ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন তারা। এ ঘোষণার পর থেকে সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বিষয়টি নিয়ে কেউ করছেন ইতিবাচক মন্তব্য, কেউবা নেতিবাচক। কেউ ঠাট্টায় উড়িয়ে দিচ্ছেন, কেউবা হচ্ছেন বিরক্ত। নেটিজেন সঙ্গে এ প্রসঙ্গে যোগ দিয়েছেন তারকাও।
এ প্রসঙ্গে অবতারণা করেন ঢালিউড নায়িকা নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘একটি মেয়ে একটি সম্পর্ক থেকে শুধু ভালোবাসা, যত্ন এবং স্নেহ চায়। আর কিছু না..।’ এ মন্তব্যে উঠে এসেছে ফারিয়ার ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতা। কারণ বিচ্ছেদের ক্ষত রয়েছে তার জীবনেও। ২০২০ সালে প্রেমিক রনি রিয়াদ রশিদের সঙ্গে বাগদান সেরেছিলেন তিনি। বিয়ে করার পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু সে পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ নেয়নি। গেল বছরের ডিসেম্বরে রনির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে তার।
দেশের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ছেলে হোক আর মেয়ে শুধু শুধু কাউকে আটকানোর চেষ্টা করবেন না। এসব সস্তা আলোচনা। যাকে ভালোবাসেন তাকে শুধু নিঃস্বার্থের মতো ভালোবেসে যান, তাহলে সেই আরামের ঘর ছেড়ে সে আর কোথাও যাবে না। আর তারপরও যদি চলে যায়, তাহলে বুঝে নেবেন সে কোনোদিন আপনার ছিলই না। তাকে খুব কষ্ট হলেও যত জলদি সম্ভব ভুলে যাওয়াটাই ভালো। কারণ আপনার ‘রাইট পার্সন’ আপনার জীবনে প্রবেশ করার জন্য ‘রাইট টাইম’ আর ‘ভেকেন্সি’র জন্য অপেক্ষা করছে বা সৃষ্টিকর্তা সেই পরিস্থিতিই তৈরি করে দিচ্ছে।”
ছোট পর্দার অভিনেত্রী ফারজানা আহসান মিহি বিষয়টি নিয়ে আরও এককাঠি সরস! এ বিষয়ে ফেসবুকজুড়ে দুই লাইনের একটি লেখা প্রায় অনেকের ওয়ালে দেখা যাচ্ছে। আর সেটিই শেয়ার দিয়েছেন এ অভিনেত্রী। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘নারী বেহেশতেই আটকায় নাই, গন্দম খাইয়া বের হয়ে গেছে। আর দুনিয়ায় কিসে আটকায় তা জিগাইতাছেন? পারেনও আপনারা।’
তবে এ প্রসঙ্গে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানালেন ঢালিউডের অগ্নিকন্যাখ্যাত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী। খানিকটা বিরক্তি নিয়েই তিনি লেখেন, ‘বুঝলাম না, ট্রুডো-সোফির কোনো সমস্যা নেই। আমরা কেন মারা যাচ্ছি?’ মাহীর এমন প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করতে দেখা গেছে তার অনুরাগীদের।
এদিকে, ঢাকাই সিনেমার আরেক নায়িকা অধরা খান বলেন, ‘আসলে নারী পুরুষ কারোই কোথাও আটকে থাকার কিছু নেই। আটক শব্দটাই কেমন যেন খুব বিব্রতকর। তবে শুধু যদি স্পেসিফিক নারীদের নিয়ে বলতে হয়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি একজন নারী সম্মান, ভালোবাসায়, মায়াতে সব সময় নিজেকে আবদ্ধ করে রাখে। তার পরিবার, স্বামী, সংসার তার সন্তান এই যে বছরের পর বছর পুরো সংসার সামলে রাগ অভিমান, অপমান, অবহেলা, কত ধরনের ঝক্কি ঝামেলা সবকিছু সামলেও খুব দারুণভাবে পুরো একটা জীবন পার করে দেয়-সেটা শুধু সম্মান, ভালোবাসা ও দায়িত্বের কারণেই।’
