১১২ বছর পর
নিউইয়র্কে ফের দাড়িওয়ালা মেয়র
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
জোহরান মামদানি। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নিউইয়র্ক সিটিতে মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির জয়ে শহরের ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে একাধিক নতুন অধ্যায়। তিনি শুধু নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়রই নন, বরং প্রথম দক্ষিণ এশীয়, প্রথম আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এবং এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে তরুণ মেয়রও। এবার দাড়ি রেখেও ইতিহাসে স্থান করে নিতে চলেছেন মামদানি। ১৯১৩ সালে মেয়র উইলিয়াম জে. গেইনরের পর আর কোনো মেয়রকে দাড়িসহ দেখা যায়নি শহরটিতে। অভিষেকের আগে যদি হঠাৎ চুল-দাড়ি কাটার বড় কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে ১১২ বছর পর মামদানি হবেন প্রথম দাড়িওয়ালা মেয়র। নিউইয়র্ক টাইমস।
যদিও একেবারে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না, ১৯১৩ সালের পর আর কোনো মেয়রের মুখে দাড়ি ছিল কি না। তবে শহরের মেয়রদের অফিশিয়াল প্রতিকৃতি ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রায় সবাই ছিলেন দাড়ি বা গোঁফবিহীন। শুধু ডেভিড ডিঙ্কিন্স ছিলেন এর ব্যতিক্রম। তার শুধু গোঁফ ছিলো। মামদানের দাড়ি দেখতে জে গেনরের মতো হলেও তার বিশেষত্ব একেবারেই ভিন্ন। গেইনর যখন ১৯০৯ সালে ৬০ বছর বয়সে নির্বাচিত হন, তখন তার ধূসর-সাদা দাড়ি এবং পরিপাটি চেহারা পরিণত বয়স ও মর্যাদার প্রতীক ছিল। এক জীবনীতে উল্লেখ আছে, সে সময়ের ‘পূর্ণ ভ্যানডাইক দাড়ি’ ব্যবসায়ী বা রাজনীতিবিদদের সম্মানের চিহ্ন হিসাবে বিবেচিত হতো। এ দাড়ি তাকে একজন সফল ব্যবসায়ী, ওয়াল স্ট্রিটের মধ্যস্থতাকারী কিংবা অভিজ্ঞ রাজনীতিক হিসাবেই উপস্থাপন করত। অন্যদিকে, ৩৪ বছর বয়সী মামদানি তার দাড়িকে এক নতুন প্রজন্মের প্রতীক হিসাবে ধারণ করেছেন। তার দাড়ি যেন পুরোনো রাজনৈতিক কাঠামো বদলে দেওয়ার অঙ্গীকারের প্রতীক। এ অর্থে তার দাড়িকে অনেকটা তুলনা করা হয়েছে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের দাড়ির সঙ্গে। তবে পার্থক্য হলো, তারা শ্বেতাঙ্গ, আর মামদানি একজন মুসলিম, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিজের পরিচয়ের রাজনৈতিক অর্থ গভীরভাবে বোঝেন। নিজের ভাবমূর্তি বা জনমত গঠনের কৌশলও ভালোভাবেই জানেন মামদানি।
