Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

ব্রাজিলে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলন

আদিবাসীরাই বাঁচাবে অ্যামাজন

রক্ষার ছুঁতো ধরেই বন ধ্বংস করে ব্যবসায়ীরা

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

আদিবাসীরাই বাঁচাবে অ্যামাজন

সম্মেলন কেন্দ্রের প্রবেশপথ আটকে বিক্ষোভ করেন আদিবাসী গোষ্ঠী। ছবি: সংগৃহীত

অর্ধেক পথ পেরিয়ে এলো ব্রাজিলের বেলেমে আয়োজিত জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক কপ৩০ সম্মেলন। তবে এখনো জলবায়ু নিয়ে আশানুরূপ আলোচনা সামনে আসেনি। কোন কোন দেশগুলো শেষ মুহূর্তে ঐকমত্যে পৌঁছাবে তা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। এমনকি কোনো চূড়ান্ত চুক্তি সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এবারের সম্মেলনে আদিবাসীরা সামনে থেকে নিজেদের দাবি জানিয়েছে। নিজেদের ভূমিতে চলমান শিল্প ও অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে তারা। বলিষ্ঠ কণ্ঠে বুঝিয়ে বিশ্ব নেতাদের কানে পৌঁছে দিয়েছেন নিজেদের বার্তা-‘আদিবাসীরাই বাঁচাবে অ্যামাজন।’ রয়টার্স।

শুক্রবার সম্মেলন কেন্দ্রের প্রবেশপথ আটকে বিক্ষোভ করেন আদিবাসী গোষ্ঠী। এসময় উত্তর ব্রাজিলের মুন্ডুরুক সম্প্রদায় তাদের বিবৃতিতে জানান-‘আমরাই জলবায়ুকে রক্ষা করি, আর অ্যামাজনকে বড় বড় কোম্পানির স্বার্থে ধ্বংস হতে দেওয়া যায় না।’ রয়টার্স, গার্ডিয়ান।

কপ৩০ সম্মেলনে ফের বিক্ষোভ : এবারের জলবায়ু সম্মেলনের প্রথমদিন থেকেই বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায় সম্মেলনের প্রথম দিন (১০ তারিখ) সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়েন। এরপর শুক্রবারও এই বিক্ষোভ দেখা যায়। এমনকি সম্মেলনের পঞ্চমদিন শনিবারও স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বিক্ষোভ শুরু হয়। এ মিছিলে অংশ নিতে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। সেখানে লেখা ছিল-‘আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।’

মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়নের বিরুদ্ধে ‘বাস্তব সমাধান’ দাবি করেই এই পদযাত্রার আয়োজন করেছেন তারা। আয়োজকদের ভাষায়, এটি ‘গ্রেট পিপলস মার্চ’। সপ্তাহের শুরুতে অনুষ্ঠিত দুটি আদিবাসী নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের পর এ কর্মসূচি আসে।

মার্চের সমন্বয় কমিটির সদস্য ও বাঁধে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর আন্দোলনের কর্মী ইউরি পাউলিনো এএফপিকে বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে জনগণই বাস্তব সমাধান তৈরি করে। তাই এই মার্চের উদ্দেশ্য শুধু জলবায়ু সংকট তুলে ধরা নয়, বিশ্বের সামনে আমাদের প্রস্তাবও উপস্থাপন করা।’ যদিও মার্চের রুট কপ ভেন্যু পর্যন্ত যাচ্ছে না, তবুও কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরে দাঁড়ানোয় চীনের বাড়তি প্রভাব : তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো জলবায়ু সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে চীনের বাড়তি প্রভাব উঠে এসেছে। সম্মেলনকেন্দ্রে চীনের কান্ট্রি প্যাভিলিয়নটি দৃষ্টিগোচর হচ্ছে সবার সামনে। দর্শকের সামনে নিজেদের সবুজ ভবিষ্যৎ দেখাচ্ছেন দেশটির পরিচ্ছন্ন জ্বালানি কোম্পানিগুলোর শীর্ষ নির্বাহীরা। আর কূটনীতিকরা পর্দার আড়ালে কাজ করছেন গঠনমূলক আলোচনা নিশ্চিত করতে। এ ভূমিকাগুলো আগে পালন করত ওয়াশিংটন, এখন তা রয়েছে বেইজিংয়ের হাতে।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থার মহাপরিচালক ফ্রান্সেস্কো লা ক্যামেরা বলেন, ‘পানি যেমন ফাঁকা জায়গায় গড়িয়ে পড়ে, কূটনীতিও অনেক সময় তেমন জায়গা খোঁজে।’

তিনি জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও বৈদ্যুতিক গাড়িতে চীনের প্রভাব জলবায়ু কূটনীতিতেও তার অবস্থানকে শক্তিশালী করছে।

এ বিষয়ে এ সপ্তাহে সম্মেলনে এসে বলেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম বলেন, ‘চীন বিষয়টা বুঝে গেছে। আমেরিকা প্রতিযোগিতায় হারতে বসেছে, যদি আমরা জেগে না উঠি ওরা সরবরাহ শৃঙ্খল কেমন সাজাচ্ছে, কীভাবে উৎপাদন খাতে আধিপত্য বিস্তার করছে, কীভাবে পুরো ক্ষেত্রটাই দখল করছে তা বুঝতে পারব না।’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম