ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নতুন ভিসানীতি
ধনীদের ৩ বছরে নাগরিকত্ব, গরিবের এক দশক
বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি হলেই দ্রুত আবেদন
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অভিবাসন কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনছে ব্রিটিশ সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ শুক্রবার ‘আর্নড সেটেলমেন্ট’ বা ‘অর্জিত আবাসন’ নামে একটি ত্রি-স্তরবিশিষ্ট আইনি কাঠামো উন্মোচন করেছেন। এই আইন অনুযায়ী-ধনীরা তিন বছরের মধ্যেই পাবে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব। অন্যদিকে গরিবের অপেক্ষা করতে হবে এক দশক। ইকোনমিকস টাইমস।
নতুন ভিসানীতি অনুযায়ী-যাদের বার্ষিক আয় ১ লাখ ২৫ হাজারের বেশি, তারা তিন বছরের মধ্যে স্থায়ী বসবাসের আবেদন করতে পারবেন। একই শর্ত উদ্যোক্তাদের জন্যও প্রযোজ্য।
অন্যদিকে যাদের আয় ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ২৫ হাজারের মধ্যে, তারা আগের মতোই পাঁচ বছরের পরই আবেদনের যোগ্য হবেন।
পক্ষান্তরে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য আবেদন করার সময়কাল দ্বিগুণ হয়ে ১০ বছর করা হবে। এমনকি যারা হেলথ ও সোশ্যাল কেয়ার ভিসায় দেশটিতে গিয়েছেন তাদের আবেদনের জন্য ১৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
হোম সেক্রেটারি শাবানা মাহমুদ এ সম্পকে তার পার্লামেন্ট বক্তব্যে জানান, উচ্চআয়ের মানুষরা তিন বছরেই স্থায়ীভাবে বসবাসের অধিকার পাবেন। এর উদ্দেশ্য হলো, অভিবাসন নীতি কঠোর হলেও দক্ষ কর্মীরা দেশ ত্যাগ না করে যুক্তরাজ্যে থাকুক। নতুন এই নিয়ম ২০২১ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে আগত প্রায় ২০ লাখ অভিবাসীর ওপরও প্রযোজ্য হবে।
অর্থাৎ যারা আগেই দেশে এসেছেন, তাদেরও নতুন নিয়ম অনুসারে অপেক্ষা করতে হবে। এর উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালের মধ্যে অনুমানকৃত ১৬ লাখ স্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা। অর্থাৎ সরকার চাচ্ছে খুব বেশি মানুষ একসঙ্গে স্থায়ী বসবাসের জন্য যোগ্য না হয়। তবে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করলে এবং উচ্চমানের ইংরেজি দক্ষতা থাকলে তাদের জন্য আবেদনের সময় কিছুটা কমানো হবে।
হাউজ অব কমন্সে মাহমুদ আরও বলেন, ‘এই দেশে চিরকাল বসবাস করা অধিকার নয় বরং একটি সুবিধা। এটি অর্জন করে নিতে হবে।’ হোম অফিস অভিবাসন ব্যবস্থা সংস্কারের পথে নিয়ে এসেছে। পূর্ববর্তী কনজারভেটিভ সরকার ব্রেক্সিট এবং কোভিড-১৯ মহামারীর পর শ্রমিক ভিসা সহজ করে দিয়েছিল। তবে ধনী ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ সুযোগ রাখার কারণ তারা যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে।
