২০২৭ সালে ইইউতে যোগ দিতে পারে ইউক্রেন
যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় ইউরোপ মস্কোর হামলায় বিদ্যুৎবিহীন কিয়েভের ১০ লাখ পরিবার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ইউক্রেন ও ন্যাটোর পতাকা। ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের সমাধান ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে ২০২৭ সালের জানুয়ারিতেই ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগ দিতে পারে ইউক্রেন। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত সর্বশেষ মার্কিন প্রস্তাবে বিষয়টি উঠে এসেছে। শুক্রবার পরিকল্পনাটি সম্পর্কে অবগত এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ খবর জানিয়েছেন এএফপিকে।
সাধারণত ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের প্রক্রিয়া বহু বছর সময় নেয় এবং ২৭টি সদস্য দেশের সর্বসম্মত অনুমোদন প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে হাঙ্গেরিসহ কয়েকটি দেশ দীর্ঘদিন ধরেই ইউক্রেনের সদস্যপদ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে। তবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন নতুন পরিকল্পনায় দ্রুত সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকায় ইউরোপজুড়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, পরিকল্পনায় বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও এটি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র এর পক্ষে রয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের ইইউ সদস্যপদের পথে যেসব দেশ বাধা দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান বদলাতে প্রভাব খাটাতে পারে। আগামী সপ্তাহে বার্লিনে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এই পরিকল্পনা নিয়ে আরও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ইউরোপে থাকা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ অনির্দিষ্টকালের জন্য জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। শুক্রবার সদস্য দেশগুলো এতে সম্মত হয়।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইইউ চায় ইউক্রেনকে অর্থায়ন অব্যাহত রাখতে এবং লড়াই চালিয়ে যেতে। কারণ তারা রাশিয়ার আগ্রাসনকে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে দেখছে। এ উদ্দেশ্যে, ২০২২ সালে মস্কোর ইউক্রেন আগ্রাসনের পর যে রুশ সার্বভৌম সম্পদগুলো তারা স্থগিত করেছিল, সেগুলোর একটি অংশ কাজে লাগাতে চায় ইইউ রাষ্ট্রগুলো। ইইউ সন্দেহ করছে, হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়া, যাদের সঙ্গে অন্যান্য ইইউ রাষ্ট্রের তুলনায় মস্কোর সম্পর্ক ভালো, তারা কোনো একসময় ‘অস্বীকৃতি’ জানাতে পারে। এর ফলে ইইউ রাশিয়াকে অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য হতে পারে। জানা গেছে, ইইউভুক্ত সরকারগুলোর কাছে রাশিয়ার প্রায় ২১০ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের সম্পদ রয়েছে।
এদিকে শীত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনে হামলা আরও তীব্র করেছে রাশিয়া। শুক্রবার রাতভর হামলায় রাশিয়া ৪৫০টির বেশি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে। এতে দেশটির ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
