Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

এলওসিতে আবার ‘মোদি বাঙ্কার’

আতঙ্কে গ্রামবাসী

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার রক্তক্ষয়ী ঘটনার পর আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো। লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) বরাবর বাড়ছে উত্তেজনা। বাড়ছে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ ও আতঙ্ক। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা। নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এক সময় অব্যবহৃত পড়ে থাকা আন্ডারগ্রাউন্ড মোদি বাঙ্কারগুলো আবারও পরিষ্কার করাও শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদির সরকার এই বাঙ্কারগুলো নির্মাণ করেছে যাতে সীমান্তে গোলাগুলির সময় সাধারণ মানুষ সেখানে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারেন। এএফপি।

পাকিস্তানি সামরিক পোস্টের কাছাকাছি অবস্থিত সালোত্রী ও কারমারহা গ্রামগুলোর বাসিন্দারা যুদ্ধ নিয়ে আতঙ্কিত। তারা নিজের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। পুরোনো, অব্যবহৃত বাঙ্কারগুলো পরিষ্কার করে সেখানে জরুরি সরঞ্জামাদি মজুদ করছেন তারা। বাঙ্কারগুলোর মধ্যে কম্বল, বিছানা, খাবার ও পানীয় মজুত করা হচ্ছে যেন কোনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে দ্রুত আশ্রয় নেওয়া সম্ভব হয়। কারমারহা গ্রামের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘এখন আবার বাঙ্কার পরিষ্কার করা হচ্ছে। ভয়টা একটু বেড়েছে। কিন্তু আমরা আশা করি উপত্যকায় শান্তি ফিরবে।’ আরেক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমরা সরকারের পাশে আছি, সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। প্রয়োজনে সব রকম সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত।’ এই বাঙ্কারগুলোকে ‘মোদি বাঙ্কার’ বলা হয় কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারই এসব বাঙ্কার নির্মাণে শক্তিশালী উদ্যোগ নিয়েছিল। এটি সীমান্তবর্তী জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। বিশেষত যখন এলওসি বরাবর তীব্র শেলিং ও আক্রমণ চলছিল। সীমান্তে উত্তেজনা ফের বেড়ে যাওয়ায় এই বাঙ্কারগুলোর গুরুত্ব আরও বেড়েছে। পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতেও আতঙ্ক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে আমৃতসরের কাছে ডাওক গ্রামে। ১৯৭১ এবং ১৯৯৯ সালের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে ৬৫ বছর বয়সী হারদেব সিং বলেছেন, যদি আবার যুদ্ধ শুরু হয় তবে দুই দেশের জন্যই তা একটি গভীর বিপর্যয় হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম