যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পাকিস্তানি নারীরাও
৩৮টি উদ্ধার ও পর্যবেক্ষণ চেকপয়েন্ট ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তানে চলছে যুদ্ধপ্রস্তুতি। শুধু সেনাদের নয়, প্রস্তুত করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকেও। যুদ্ধের সম্ভাব্য বিপর্যয়ের মুখে এবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে এসেছেন নারীরাও। যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারাও। তাদের হাতেও তুলে দেওয়া হচ্ছে উদ্ধার সরঞ্জাম। শেখানো হচ্ছে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষ তোলার কৌশল। এপি।
রাওয়ালপিন্ডি জেলা প্রশাসন এবং সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ‘যুদ্ধকালীন উদ্ধার প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন পাকিস্তানের নারীরা। যুদ্ধকালীন বা জরুরি পরিস্থিতিতে আহতদের উদ্ধার, ধসে পড়া ভবন থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া, এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের। সিভিল ডিফেন্স প্রধানের কার্যালয়, রাওয়ালপিন্ডি ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ স্টেশন এবং মিশন হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলসহ একাধিক স্থানে প্রশিক্ষণ চলছে। ডেনিস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে আরেকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হওয়ার কথা রয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে পুরো শহরজুড়ে আপৎকালীন প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে। ১৬টি প্রধান জরুরি সাইরেন পয়েন্ট আপডেট ও পুনঃসক্রিয় করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কোহিনূর মিলস, রেলওয়ে লোকো শেড, পীরওয়াধাই বাসস্ট্যান্ড, আদিয়ালা জেল, গাওয়ালমান্ডি ও চোহার চৌক। কাচেরি এলাকায় অবস্থিত সিভিল ডিফেন্স অফিস থেকে সাইরেন বাজানোর মাধ্যমে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে এবং তা শুনেই স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের নির্ধারিত পোস্টে রিপোর্ট করবেন। বর্তমানে ৩৮টি উদ্ধার ও পর্যবেক্ষণ চেকপয়েন্ট ২৪ ঘণ্টা চালু রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি পরিচালনা করছে সিভিল ডিফেন্স বিভাগ এবং বাকি ১৪টি দেখভাল করছে রেসকিউ ১১২২। সপ্তাহের সাত দিনই এসব চেকপয়েন্টে প্রশিক্ষিত কর্মীরা নিয়োজিত থাকবেন।
জেলা সিভিল ডিফেন্স অফিসার তালিব হুসাইন জানিয়েছেন, ‘শান্তি হোক কিংবা সংকট আমরা সর্বদা প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেছেন, ডেপুটি কমিশনার হাসান ওয়াকার চিমারের তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নারীদের প্রশিক্ষণে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হালিমা সাদিয়া। আর সামগ্রিক ব্যবহারিক সেশন পরিচালনা করছেন সিনিয়র প্রশিক্ষক নাসির কায়ানি ও সাদাফ জাহুর। এই প্রস্তুতি কার্যক্রমের আওতায় সব কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং তাদের ২৪ ঘণ্টা ডিউটির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জামগুলোও সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় রাখা হয়েছে। নারীদের এই অন্তর্ভুক্তি শুধু জরুরি মুহূর্তে কার্যকর সহায়তা নিশ্চিত করবে না, বরং সংকট মোকাবিলায় একটি নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে দেশটিতে।
