|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মধ্যপ্রাচ্যে তিনদিনের ঐতিহাসিক সফরের দ্বিতীয় দিন সৌদি থেকে কাতার গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিকালেই বিমানবন্দরের বেগুনি গালিচায় দাঁড়িয়ে হাত উঁচিয়ে বিদায় জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। স্থানীয় সময় বিকাল ৫.১৪ মিনিটে দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বিমানবন্দরে তাকে লাল-গালিচায় স্বাগতম জানান। সৌদি আরবের মতো কাতারও যুদ্ধ বিমান দিয়ে এসকর্ট দেয় ট্রাম্পকে বহনকারী বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানকে। এ ছাড়া বিমানবন্দরে অবতরণের পর কাতারের আমিরের একটি স্কোয়াড্রন বিমান তাকে পাহারা দিচ্ছিল। এএফপি।
বিমানবন্দর থেকে আমিরি দিওয়ানে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন দুই নেতা। গণমাধ্যমের সামনে শেখ তামিমের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতার সময় ট্রাম্প মার্কিন-কাতার সম্পর্ককে ‘খুবই অনুগত, সুন্দর বন্ধুত্ব’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, সকালে সৌদি আরবে সংক্ষিপ্ত বৈঠকটি ‘দুর্দান্ত’ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট শারার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘তিনি একজন তরুণ ও আকর্ষণীয় লোক। শক্ত মানুষ। খুব শক্তিশালী অতীত যোদ্ধা।’
তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের ‘সম্ভাবনা’: ইউক্রেন সংঘাতের অবসানে আলোচনার জন্য তুরস্কে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য অপেক্ষা করবেন তিনি। সৌদি আরব থেকে কাতার যাওয়ার সময় এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না আমি না থাকলে তিনি (পুতিন) সেখানে থাকবেন কিনা। আমি জানি তিনি চাইবেন আমি সেখানে থাকি এবং এটি একটি সম্ভাবনা। যদি আমরা যুদ্ধ শেষ করতে পারি, তাহলে আমি এটি নিয়ে ভাবব।’ এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুতিনকে তুরস্কে ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। পাশাপাশি ট্রাম্পকেও আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া পুতিন নিজেই সপ্তাহান্তে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
