Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

হাত নেই, পা দিয়েই খাবার খায় সারা

Icon

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গাজা হামলার শুরুর দিকের কথা। সারার বয়স তখন মাত্র ১০ বছর। বাবার হাত ধরে হাঁটছিল। শান্ত, নিরাপদ এক মুহূর্ত। বাবার হাতের মুঠো ছিল শক্ত আর স্নিগ্ধ। সারা জানত না, এই পথচলাই হতে যাচ্ছে তার জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর মোড়। হঠাৎ করেই দূর থেকে ছুটে আসে ইসরাইলি বোমা। সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তার বাবা। মাটিতে ছিটকে পড়ে সারা। অচেতন হয়ে যায় সে। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন সে হাসপাতালের বিছানায়-দুই হাত নেই। পেটের ভেতরটাও ছিন্নবিচ্ছিন্ন। তার মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘সারার জীবনটাকেই যেন মাঝখান থেকে কেটে ফেলা হয়েছে।’ সারা এখন পা দিয়ে খায়। আঁকার চেষ্টা করে পা দিয়েই। জানালার পাশে বসে অন্য শিশুদের খেলতে দেখে, দৌড়াতে দেখে, খাতায় আঁকাআঁকিও করতে দেখে। আর শেখে কীভাবে একজন ‘হাতহীন শিশু’ হয়ে বেঁচে থাকতে হয়। গাজাজুড়ে এমন হাজারো সারা রয়েছে। কারও বাবা নেই, কারও মা নেই। অনেকের পা নেই, কারও আবারও দৃষ্টি নেই। কেউ কেউ বেঁচেই নেই। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫০০র বেশি শিশু নিহত হয়েছে। হাজার হাজার শিশু আহত-অনাহারে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত -আলজাজিরা (আরবি)

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম