প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫: প্রস্তুতিমূলক বিশেষ আয়োজন
এটা এমন কোনো কঠিন পরীক্ষা নয়
ড. ব্রাদার লিও জেমস পেরেরা, অধ্যক্ষ, সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা
প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রিয় প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার্থীরা, সারা বছর তোমরা নিয়মিত পড়ালেখা ও কঠোর পরিশ্রম করেছ, আমার ধারণা, তোমরা জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। সবচেয়ে ভালো ফল অর্জনের জন্য প্রয়োজন নিজের ওপর বিশ্বাস, কঠোর পরিশ্রম, ইতিবাচক মনোভাব এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা। মনে রাখবে, এটা এমন কোনো কঠিন পরীক্ষা নয়। ধরে নাও এটি শিক্ষাজীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। এ কারণে আমি বিশ্বাস করি, তোমরা সবাই ভালো পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত। শুধু প্রয়োজন একটু সতর্কতা।
এ পরীক্ষায় লেখার জন্য পাঠ্যবই বিশদভাবে পড়বে, লিখবে ও সুন্দর হাতের লেখার প্রতি গুরুত্ব দিবে। কোনো কারণে যে কোনো ধরনের মানসিক চাপকে প্রশ্রয় দিবে না। পরীক্ষার হলে ধীর-স্থির ও শান্ত থাকবে। প্রশ্ন পাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে প্রশ্নপত্রটি পড়বে। যে প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে ভালোভাবে জান, সেগুলোর উত্তর আগে লিখবে। প্রশ্ন অনুপাতে সময় নির্ধারণ করে সব প্রশ্নের উত্তর লিখবে। একই পদ্ধতি বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষায়ও অনুশীলন করতে পার। সব পরীক্ষা নির্ধারিত সময় থেকে ন্যূনতম ১৫ মিনিট আগে লেখা শেষ করবে ও বাকি সময় উত্তরগুলো আবার পড়বে যেন লিখিত উত্তরে কোনো ভুল না থাকে।
পিতামাতা, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য কোনোভাবেই মনের ও শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়া ও নেওয়া ঠিক হবে না। স্রষ্টা সবাইকে সমান বা একই মেধা দেয়নি। তোমাকে যে মেধা দেওয়া হয়েছে, সেটাই তুমি তোমার সাধ্যমতো বাড়িয়ে তুলতে চেষ্টা কর। তোমার শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্য অনুযায়ী পরিশ্রম কর এবং তোমার সামর্থ্যরে সীমার বাইরে যেও না। পাঠ্যবইগুলো নিয়মিত ও একাধিক বার পড়, প্রয়োজনে সহায়ক বই ও বিষয় শিক্ষকের সহায়তা গ্রহণ কর, অর্থহীনভাবে মুখস্থ করবে না। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়ালেখা করা, দৈনিক ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো, সীমিত পরিমাণে খেলাধুলা বা শারীরিক পরিশ্রম করা ও কিছু চিত্তবিনোদন করে নিজেকে শারীরিক, মানসিক ও আবেগিকভাবে প্রস্তুত রাখা খুব জরুরি।
পরীক্ষার দিনগুলোতে নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হবে, সময় নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিবে না। পরীক্ষার জন্য যাবতীয় জিনিস- প্রবেশপত্র, কলম, পেন্সিল ও অন্যান্য জিনিস নিয়ে যাবে যেন অন্যেও কাছ থেকে কিছু চাইতে না হয়। নিয়ম বহির্ভূত ডিজিটাল ডিভাইস নেওয়া থেকে বিরত থাকবে। কালো কালির কলম দিয়ে পরীক্ষায় লিখবে। পরীক্ষার খাতায় সুন্দর, স্পষ্ট ও পরিচ্ছন্নভাবে লিখবে এবং কাটাকাটি করবে না যেন পরীক্ষক তোমার খাতা দেখে আনন্দ পায়। সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পূর্ণাঙ্গভাবে লিখবে। আমার বিশ্বাস তুমি প্রস্তুত তোমার সেরাটা দেওয়ার জন্য এবং তুমি সেরা ফলটাই পাবে। পরীক্ষাটাকে উপভোগ কর এবং তোমার সেরাটা দিতে চেষ্টা কর।
