|
ফলো করুন |
|
|---|---|
১. প্রাকৃতিক উৎস যেমন- বৃষ্টি, নদী, সমুদ্র ইত্যাদি থেকে আমরা পানি পাই। মানুষের তৈরি উৎস যেমন- দীঘি, পুকুর, কূপ, নলকূপ ইত্যাদি থেকেও পানি পাওয়া যায়।
২. উদ্ভিদের প্রায় ৯০ ভাগ পানি।
৩. মানবদেহের ৬০-৭০ ভাগ পানি।
৪, পরিপাকে সাহায্য করে পুষ্টি উপাদান শোষণ ও দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গে পরিবহনের জন্য পানি প্রয়োজন।
৫. রাতে ঘাস, গাছপালা ইত্যাদির ওপর যে বিন্দু বিন্দু পানি জমে তাকে শিশির বলে।
৬. বাষ্প থেকে তরলে পরিণত হওয়াকে ঘনীভবন বলে।
৭. তরল থেকে পরিণত হওয়া প্রক্রিয়াই হচ্ছে বাষ্পীভবন।
৮. পানিকে যখন শীতল করা হয়, তখন তা জমে কঠিন বরফে পরিণত হয়।
৯. ভূপৃষ্ঠের পানির অনেকটাই সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়।
১০. যে প্রক্রিয়ায় পানি বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত হয় ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে সাগর ও নদীর পানি বাষ্পীভূত হয়ে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়।
১১. বাষ্পীভূত পানি ওপরে উঠে ঠাণ্ডা ও ঘনীভূত হয়ে পানির বিন্দুতে পরিণত হয়।
১২. ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির বিন্দু একত্রিত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে।
১৩. শীতল প্রধান দেশে তুষারও মেঘ থেকেই পৃথিবীতে পড়ে।
১৪. মানুষের কর্মকাণ্ড পানি দূষণের প্রধান কারণ।
১৫. নিরাপদ পানি- কিছু পানি মানুষের জন্য নিরাপদ। যেমন- নলকূপের পানি।
১৬. মানুষের ব্যবহারের জন্য পানিকে গ্রহণযোগ্য এবং নিরাপদ করার ব্যবস্থাই হল পানি বিশুদ্ধকরণ।
১৭. ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে পনি পরিষ্কার করার প্রক্রিয়াই হল ছাঁকন। এ প্রক্রিয়ায় পানি পরিষ্কার হলেও তা জীবাণুমুক্ত নয়।
১৮. তাই নিরাপদ পানির জন্য এ পানিকে ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। বালি, কাদা ইত্যাদি সরানোর এ প্রক্রিয়াই হল থিতানো
১৯. জীবাণুমুক্ত করার একটি ভালো উপায় হল ফুটানো জীবাণুমুক্ত নিরাপদ পানির জন্য ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে পানি ফুটাতে হবে।
২০. রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পানি বিশুদ্ধকরণ : আর্সেনিকযুক্ত পানি এ সব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিরাপদ করা যায় না।
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
মো. ফোরকান আহমেদ
সহকারী শিক্ষক,
মুনলাইট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলা
রচনামূলক বা যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর
অধ্যায়-১
প্রশ্ন : ঈমান শব্দের অর্থ কী?
উত্তর : ঈমান একটি আরবি শব্দ। ঈমান শব্দের অর্থ দৃঢ় বিশ্বাস। ইসলামী পরিভাষায় মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে যা কিছু নিয়ে এসেছেন সে সব বিষয়কে অন্তরে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা, মুখে স্বীকার করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করাকে ঈমান বলে। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে প্রথম ও প্রধান হচ্ছে ঈমান।
প্রশ্ন : সারা বিশ্বের পালনকর্তা কে?
উত্তর : আমরা যা কিছু দেখতে পাই সবই আল্লাহতায়ালা সৃষ্টি করেছেন। আবার অনেক কিছু আছে যেগুলো আমরা দেখতে পাই না, সেগুলোও তিনিই সৃষ্টি করেছেন। তিনি এগুলো শুধু সৃষ্টি করেই ছেড়ে দেননি। তিনি তার নেয়ামতগুলো দিয়েও লালন-পালন করেন। সারা বিশ্বের পালনকর্তা মহান আল্লাহতায়ালা। তিনি নিখিল বিশ্বের লালন-পালনকারী।
প্রশ্ন : আমাদের দ্বীনের নাম কী?
উত্তর : আমরা মুসলমান। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের জন্য দ্বীন মনোনীত করে দিয়েছেন। আমাদের দ্বীনের নাম হল ইসলাম। আর এ ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম। আল্লাহতায়ালার আনুগত্যের নামই হচ্ছে ইসলাম। এ আনুগত্যের জন্য প্রয়োজন আল্লাহ সম্পর্কে জানা ও ঈমান আনা।
প্রশ্ন : আমরা কী বলে আল্লাহর শোকর আদায় করব?
উত্তর : আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তিনি সব সৃষ্টিকে আমাদের আজ্ঞাবহ করে দিয়েছেন। আমরা একমাত্র তারই আনুগত্য ও শোকর আদায় করব। শোকর আদায় করতে গিয়ে আমরা বলব : আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।
অর্থ : সব প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর যিনি সারা বিশ্বের পালনকর্তা।
প্রশ্ন : আখিরাত মানে কী?
উত্তর : মৃত্যুর পরের জীবনকে আখিরাত বলে। হজরত আদম (আ.) থেকে শেষ নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) পর্যন্ত সব নবী-রাসূলই আখিরাতের জীবন সম্পর্কে বলে গেছেন। সবাই আখিরাতের প্রতি ঈমান আনার জন্য মানুষকে আহ্বান করেছেন। নবী-রাসূলগণ ঘোষণা করে গেছেন : যারা দুনিয়ায় সৎ মানুষ হিসেবে জীবনযাপন করে, যারা আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলে, যারা নবী-রাসূলের আদর্শ অনুসরণ করে, যারা শয়তানের পথ অনুসরণ করে না, তারা সবাই পরকালে জান্নাত লাভ করবে।
