Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা

বাংলা * বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

বাংলা

Icon

সবুজ চৌধুরী

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সহকারী শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা

“এই দেশ এই মানুষ”

১। বিপরীত শব্দ লিখ।

বৈচিত্র্য - অভিন্ন পূর্ণিমা - অমাবস্যা

সার্থক - ব্যর্থ দেশ - বিদেশ

জনম - মরণ পাহাড় - সমতল

সৌভাগ্য - দুর্ভাগ্য বাঙালি - অবাঙালি

ক্ষুদ্র - বৃহৎ বন্ধু - শত্রু

গৌরব - অগৌরব আকাশ - পাতাল

কম - বেশি শ্রদ্ধা - ঘৃণা

ভিন্ন - অভিন্ন আত্মীয় - পর

ভালোবাসা - ঘৃণা জননী - জনক

২। সমার্থক শব্দ লিখ/ শব্দার্থ লিখ ।

পার্বণ - উৎসব সার্থক - সফল

জনম - জন্ম প্রকৃতি - নিসর্গ

বৈচিত্র্য - বিভিন্ন ক্ষুদ্র - ছোট

জাতিসত্তা - নৃগোষ্ঠী আত্মীয় - স্বজন

দেশ - ভূখণ্ড নদী - তটিনী

আকাশ - গগন প্রান্তর - মাঠ

গৌরব - গর্ব বন্ধু - সুজন

পেশা - জীবিকা বিচিত্র - বিভিন্ন

উৎসব - অনুষ্ঠান ধাঁচ - ধরন

অধিবাসী - বাসিন্দা দরকার - প্রয়োজন

পাহাড় - গিরি সমুদ্র - অর্ণব

জননী - মা স্নেহ - মমতা

সম্পদ - ধন বাতাস - হাওয়া

৩। এক কথায় প্রকাশ

জনবসতি নেই এমন বিস্তীর্ণ স্থান - প্রান্তর

কৃষিকাজ করেন যিনি - কৃষক

একের সঙ্গে অন্যের সম্পর্ক - পরস্পর

যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে - বাঙালি

জন্ম দেন যিনি - জননী

নদী বা সমুদ্রের তীরের বালুময় স্থান - বেলাভূমি

আত্মার সঙ্গে সম্পর্ক যার - আত্মীয়

মাটি দিয়ে যারা জিনিসপত্র তৈরি করেন - কুমোর

মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন যারা - জেলে

অর্থ আছে যার - সার্থক

পর্বত আছে যে অঞ্চলে - পার্বত্য

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

আফরোজা বেগম

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ উত্তরা, ঢাকা

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

প্রশ্ন : কাদের নিয়ে মুক্তিবাহিনী গঠিত হয়েছে?

উত্তর : ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। সরকার গঠনের পরপরই এ সরকার সর্বপ্রথম মুক্তিবাহিনী গঠনের দিকে উদ্যোগ নেয়। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআরের বাঙালি সদস্য, পুলিশ, আনসার, ছাত্র, যুবক, নারী, কৃষক, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী নিয়ে গড়ে ওঠে মুক্তিবাহিনী। এ বাহিনীর-

প্রধান সেনাপতি : কর্নেল (পরবর্তীতে জেনারেল) মুহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী

উপ-প্রধান সেনাপতি : গ্রুপ ক্যাপ্টেন একে খন্দকার।

সেনাবাহিনী প্রধান : লে. কর্নেল আবদুর রব।

মুক্তি ফৌজ : বাঙালি সাময়িক অফিসার ও সৈন্যদের নিয়ে গঠিত ছিল মুক্তিবাহিনীর নিয়মিত বাহিনী। এদের বলা হতো মুক্তিফৌজ। অনিয়মিত বাহিনী : বেসামরিক সর্বস্তরের জনগণ নিয়ে গড়ে উঠেছিল অনিয়মিত বাহিনী।

বিশেষ বাহিনী : দেশের অভ্যন্তরে আঞ্চলিক পর্যায়ে অন্যান্য বেশ কিছু ছোট বাহিনী গড়ে ওঠে। যেমন : বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ‘কাদেরিয়া বাহিনী’ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার নেতৃত্বে ‘মায়া বাহিনী’ উল্লেখযোগ্য।

মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে গঠিত হয় বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্স বা বিএলএফ।

সুতরাং এ দেশের সামরিক, বেসামরিক তথা আপামর জনসাধারণকে নিয়ে গড়ে ওঠে মুক্তিবাহিনী। যুদ্ধের ৯ মাস ধরে মুক্তিবাহিনীর নির্ভীক সদস্যরা অদম্য প্রতিরোধ ও আক্রমণ গড়ে তুলে স্বাধীনতার টকটকে সূর্যকে ছিনিয়ে আনে।

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ কীভাবে অংশ নিয়েছিলেন?

উত্তর : এ দেশের সামরিক, বেসামরিক তথা আপামর জনসাধারণকে নিয়ে ১৯৭১ সালে গড়ে উঠেছিল মুক্তিবাহিনী। গেরিলা আক্রমণ ও সম্মুখযুদ্ধ ছিল প্রধান যুদ্ধ কৌশল। এ যুদ্ধে ছিল না আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত কোনো প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী।

* যুদ্ধের সময় এ দেশের অগণিত সাধারণ মানুষ নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মুক্তিবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। থাকা-খাওয়া, তথ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সাহায্য দিয়ে মুক্তিবাহিনীকে লড়াই চালিয়ে যেতে তারা উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এসব কাজে নারীদের বিশেষ ভূমিকা ছিল।

* সংস্কৃতি কর্মীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তারা গান, নাটক, ক্রোড়পত্র পাঠ ইত্যাদির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বাড়াতেন।

* এ দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরাও সক্রিয়ভাবে এ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। * সব বিপদ তুচ্ছ করে মুক্তিবাহিনী ও বাংলার অগণিত মুক্তিকামী জনতা শহরে, গ্রামে যে যেভাবে পেরেছিল রুখে দাঁড়িয়েছিল। * সবার মিলিত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ব্যাপক রূপ লাভ করে। এভাবে যুদ্ধের ৯ মাস ধরে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা ও সাধারণ মানুষ গড়ে তুলেছিল অদম্য প্রতিরোধ ও আক্রমণ। মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিলেন। আমি তাদের অবদান, সাহস ও সহাযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম