পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা
গণিত * বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
গণিত
সৈয়দ কায়েস-উর-রহমান
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০১৯, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সহকারী শিক্ষক, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
১. গুণ্য ২.৫ এবং গুণক ০.১ হলে গুণফল কত?
উত্তর : ০.২৫
২. গুণফল কখন গুণ্য অপেক্ষা বড় হয়?
উত্তর : যখন গুণক ১-এর চেয়ে বড়
৩. কোন সংখ্যাকে ‘০’ দ্বারা গুণ করলে গুণফল কী হবে?
উত্তর : শূন্য (০)
৪. সহজ পদ্ধতিতে গুণ করতে গুণ্য ৯৯৯ সমান কত লিখতে হবে?
উত্তর : (১০০-১)
৫. গুণ্য ১২০ এবং গুণফল ১২০০ হলে গুণক কত?
উত্তর : ১০
৬. একটি গ্রামে ৯৯টি পরিবার বাস করে। প্রত্যেকটি পরিবার ৩৬০ টাকা করে চাঁদা দিলে মোট কত টাকা চাঁদা হবে?
উত্তর : ৩৫৬৪০ টাকা
৭. ১০০১x২৯০-কে সহজ পদ্ধতিতে গুণ করার ক্ষেত্রে কীভাবে সাজাতে হবে?
উত্তর : (১০০১-১) x ২৯০
৮. গুণ্য ৭ এবং গুণফল ২১ হলে গুণক কত?
উত্তর : ৩
৯. একটি হোস্টেলে প্রতিদিন ২ কুইন্টাল চাল লাগে। হোস্টেলটিতে এক সপ্তাহে কত কুইন্টাল চাল লাগবে?
উত্তর : ১৫ কুইন্টাল
১০. পাঁচ অঙ্কের ক্ষুদ্রতম সংখ্যার আগের সংখ্যাটি লিখ।
উত্তর : ৯৯৯৯
১১. ভাজক, ভাগফল, ভাগশেষ ও ভাজ্যের মধ্যে সম্পর্কটি লিখ।
উত্তর : ভাজক x ভাগফল+ভাগশেষ = ভাজ্য
১২. ভাজক ও ভাগশেষের সম্পর্ক কী?
উত্তর : ভাগশেষ < ভাজক
১৩. দুটি সংখ্যার গুণফল ১৮, একটি সংখ্যা ৩ হলে, অপরটি কত?
উত্তর : ৬
১৪. ৯৯৯ ÷ ১০ = কত?
উত্তর : ৯৯.৯
১৫. ৮টি ডিমের দাম ৭২ টাকা হলে ১টি ডিমের দাম কত?
উত্তর : ৯ টাকা
১৬. দুটি সংখ্যার গুণফল ১১৭৭, একটি সংখ্যা ১১ হলে অপরটি কত?
উত্তর : ১০৭
১৭. ১টি বই তৈরি করতে ১২৫ তা কাগজ লাগে। ৬০০০০ তা কাগজ দিয়ে কয়টি বই তৈরি করা যাবে।
উত্তর : ৪৮০টি
১৮. ৩৮ হালি আমের দাম ১২১৬ টাকা। ১টির দাম কত?
উত্তর : ৮ টাকা
১৯. লিপুর কাছে ৩৫ টাকা আছে। সে প্রতিদিন টিফিনে ৫ টাকা খরচ করলে কততম দিনে তার টাকা শেষ হবে?
উত্তর : ৭ম দিনে
২০. একটি ঝুড়িতে ৫৪০টি লিচু আছে। ৫৪০০টি লিচুর জন্য কয়টি ঝুড়ি লাগবে?
উত্তর : ১০টি
২১. ভাগশেষ নির্ণয়ের সূত্রটি লিখ।
উত্তর : ভাগশেষ = ভাজ্য (ভাজক x ভাগফল)
২২. ৮ সংখ্যাটিকে ২০০ দিয়ে ভাগ করলে ভাগফল কত হবে?
উত্তর : ০.০৪
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
আফরোজা বেগম
সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ
উত্তরা, ঢাকা
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন
[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]
প্রশ্ন : লালবাগ দুর্গের নিদর্শনগুলোর বর্ণনা দাও।
উত্তর : লালবাগ দুর্গ
এটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এটি বর্তমান পুরান ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর কাছে অবস্থিত।
১৬৭৮ সালে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আযম ঢাকার সুবেদার থাকাকালে এটি তৈরির কাজ শুরু হয়। তাকে ঢাকা ত্যাগ করতে হয় বলে এটির কাজ অসম্পূর্ণ রেখে চলে যেতে হয়। তাই এটি আর
সম্পন্ন হয়নি।
নিদর্শন :
* এটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি।
* এর চারদিকে ইটের তৈরি উঁচু প্রাচীর রয়েছে।
* এ দুর্গটির মাঝখানে খোলা জায়গা আছে।
* মাঝখানে দোতলা ছোট্ট সুরম্য প্রাসাদ ছিল। বর্তমানে সেখানে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
* এ দুর্গের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দুটি প্রবেশপথ রয়েছে।
* দক্ষিণ দিকের প্রবেশপথে গোপনে বের হওয়ার জন্য অনেক সুড়ঙ্গ পথ ছিল।
* এ দুর্গের ভেতরে ‘দিওয়ান-ই-আম’ নামক দরবার হল, তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদ ও একটি পুকুর রয়েছে।
* বাংলার সুবেদার শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মাজার রয়েছে।
সুতরাং লালবাগের কেল্লা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। আমরা তা পরিদর্শন করে জ্ঞান অর্জন করব।
আমাদের অর্থনীতি : কৃষি ও শিল্প
প্রশ্ন : আমাদের দেশের পাঁচটি শস্যের নাম লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি। আমাদের দেশ কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের দেশের পাঁচটি শস্যের নাম নিচে দেয়া হল :
* ধান * ডাল * গম * আলু * তৈলবীজ
তবে আমাদের প্রধান শস্য হল ধান।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ শিল্পের নাম লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশ শিল্পে তত উন্নত নয়। বাংলাদেশের তিনটি শিল্পের নাম নিচে দেয়া হল।
* সারশিল্প * সিমেন্টশিল্প * কাগজশিল্প
প্রশ্ন: বাংলাদেশের তিনটি কুটিরশিল্পের নাম লিখ।
উত্তর : বাংলাদেশ সুপ্রাচীনকাল থেকে কুটিরশিল্পে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের তিনটি কুটিরশিল্পের নাম নিচে দেয়া হল-
* কাঠ, বাঁশ, বেতের শিল্প
* কাঁসার শিল্প
* মৃৎশিল্প
প্রশ্ন : আমাদের পোশাকশিল্পের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বর্ণনা কর।
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হল পোশাকশিল্প। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় পোশাক তৈরি হয়। এ পোশাকের বেশিরভাগ বিদেশে রফতানি হয়। বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে কয়েক লাখ নারী ও পুরুষ কাজ করে। পোশাক রফতানি করে বাংলাদেশ প্রতিবছর অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। পোশাকশিল্পের বিকাশের ফলে এ দেশের তৃণমূল পর্যায়ের একেবারে নিুশ্রেণীর নারী ও পুরুষেরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তাদের সেলাই মেশিনের চাকা ঘুরার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরল বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা, উন্নয়নের চাকা ঘুরল তাদের ভাগ্যের, জাতীয় উন্নয়নের।
সুতরাং; পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে করেছে সচল ও বলবান।
