পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা: ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
মো. ফোরকান আহমেদ
প্রকাশ: ০৮ মে ২০১৯, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সহকারী শিক্ষক, মুনলাইট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলা
আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ
[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]
প্রশ্ন : কী কী উপায়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়?
উত্তর : স্বদেশ বা জন্মভূমিকে ভালোবাসাকে বলা হয় দেশপ্রেম। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। আমরা আমাদের দেশকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি। যেসব উপায়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়। সেগুলো হল-
দেশের সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করব। কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করব।
* গৃহপালিত পশুপাখির যতœ নেব, তাদের কোনো কষ্ট দেব না।
* বৃক্ষরোপণ করব, ফলমূলের গাছ লাগাব, গাছ নষ্ট করব না, অযথা পাতা ছিঁড়ব না, ডাল ভাঙব না।
* বেঞ্চে, দেয়ালে বা অন্য কোথায়ও আজেবাজে কিছু লিখব না। সবকিছু পরিচ্ছন্ন রাখব, সংরক্ষণ করব।
* পানি, বিদ্যুৎ গ্যাস অপচয় করব না। জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব।
* দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষকে ভালোবাসব। সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
প্রশ্ন : মহানবী (সা.)-এর জীবনের ক্ষমার একটি আদর্শ কাহিনী উল্লেখ কর।
উত্তর : ক্ষমা আল্লাহ তায়ালার একটি বিশেষ গুণ। যার মন উদার, মানুষের জন্য যার দয়ামায়া বেশি, যে রাগ দমন করতে পারে, সেই ক্ষমাশীল ব্যক্তি। ক্ষমা মানুষের একটি নৈতিক দায়িত্ব। ক্ষমাশীল ব্যক্তিকে সবাই ভালোবাসে এবং আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। আমাদের মহানবী (সা.)-এর জীবনই ছিল ক্ষমার উজ্জ্বল আদর্শ। তিনি ছিলেন মানব জাতির পরম বন্ধু। কাফেররা নির্মম অত্যাচার করে তাঁকে মক্কা ছাড়তে বাধ্য করল। তিনি আল্লাহর নির্দেশে তায়েফ গমন করলেন।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন পালিত পুত্র যায়িদ (রা.)। তায়েফবাসী তাঁর ইসলাম প্রচার শুনল না। তারা তাঁকে লাঞ্ছিত করল। তারা পাথরের আঘাতে তাঁকে এবং যায়িদকে (রা.) রক্তাক্ত করল। আল্লাহর রহমতে তাঁরা দু’জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তায়েফ থেকে চলে গেলেন। কিন্তু তবুও দয়ার নবী (সা.) তায়েফবাসীদের জন্য বদদোয়া করলেন না। তিনি আল্লাহর কাছে এ দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! তারা অবুঝ, তারা কিছুই বোঝে না। তুমি তাদের ক্ষমা কর।
প্রশ্ন : আমরা ভালো কাজে কীভাবে সাহায্য করব?
উত্তর : আল্লাহ তা’আলা এ পৃথিবীকে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। একটি সুন্দর কল্যাণময় আবাস বানানোর জন্য তিনি মানুষকে নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা’আলা মানুষকে খলিফা হিসেবে মনোনীত করেছেন। খলিফার কাজ হল আল্লাহ তা’আলার আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। তাঁর বিধি-বিধান পালন করা এবং অন্যকে পালন করতে উদ্বুদ্ধ করা। ভালো কাজে সহযোগিতা ও মন্দ কাজে বাধা দেয়া। আমরা বিভিন্নভাবে ভালো কাজে সাহায্য করব। যেমন-
যাতায়াত ও চলাফেরার সুবিধার জন্য সবাই মিলে রাস্তাঘাট, পুল ও সাঁকো তৈরি করব। ময়লা আবর্জনা ফেলার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা তৈরি করব। সবাই ডাস্টবিনে অথবা নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলব। সবাই মিলে গ্রন্থাগার গড়ে তুলব। সবাই মিলে রাস্তার পাশে বা ফাঁকা স্থানে গাছ লাগাব, ফুল ও সবজির বাগান করব। এগুলোর যত্ন নেব।
সবাই মিলে প্রত্যেক পরিবারের জন্য ২/১টি করে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন তৈরি করব। মাঝে মাঝে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বড়দের সঙ্গে অংশ নেব। এভাবে পরিবার, বিদ্যালয় ও এলাকার উন্নতি করব। আমাদের বিদ্যালয়ের আশপাশ পরিষ্কার করার কাজে আমরা অংশগ্রহণ করব। আমাদের বাড়ির নিরক্ষর কাজের লোককে লেখাপড়া শেখাব।
