Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রাথমিক বিজ্ঞান * ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

প্রাথমিক বিজ্ঞান

Icon

আফরোজা বেগম

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ উত্তরা, ঢাকা

আবহাওয়া জলবায়ু

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

প্রশ্ন : আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়?

উত্তর মিল :

* আবহাওয়া ও জলবায়ু প্রত্যেকটি শব্দই পানি ও বায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত। দুটোরই শাব্দিক অর্থ একই।

* আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান একই আবহাওয়া ও জলবায়ু প্রত্যেক তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ু প্রবাহত মেঘ, বৃষ্টিপাত ও বায়ুর চাপ ইত্যাদি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

* আমাদের জনজীবনে আবহাওয়া ও জলবায়ু প্রভাব ব্যাপক ও বিস্তৃত।

অমিল (পার্থক্য)

* আবহাওয়া হল কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আকাশ ও বায়ুমণ্ডলের সাময়িক অবস্থা। অপরদিকে জলবায়ু হল কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থান

* আবহাওয়া হল প্রতিদিনের অবস্থা। অন্যদিকে জলবায়ু হল ৩০-৪০ বছরের গড় অবস্থা।

* আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তনশীল কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তন দীর্ঘস্থায়ী

* সুতরাং আবহাওয়া ও জলবায়ু হল একে অপরের সম্পূরক। তাদের মধ্যে যথেষ্ট মিল ও অমিল রয়েছে।

প্রশ্ন ৬ : জানুয়ারি এবং জুলাইয়ের মধ্যে কোন মাসটি বনভোজনের জন্য উপযুক্ত কেন?

উত্তর : আরামদায়ক নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বনভোজনের জন্য উপযুক্ত। বাংলাদেশের জলবায়ু অনুযায়ী জানুয়ারি মাসটি বনভোজনের জন্য উপযুক্ত। কারণ- আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে অন্যতম হল তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ, মেঘ, বৃষ্টিপাত, বায়ুচাপ ইত্যাদি।

* আর্দ্রতা হল বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। বাতাসের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ যত কমে আর্দ্রতা তত কমে। জলীয় বাষ্প তাপ ধরে রাখে ও গরম বাড়ায় তাই আর্দ্রতা বেশি হলে গরম বাড়ে। জানুয়ারি মাসের আর্দ্রতা ৫৪% আর জুলাই মাসের আর্দ্রতা হল ৭৯% তাই জানুয়ারি মাসে তাপ কম থাকে ও জুলাই মাসে তাপ বেশি থাকে। তাই জানুয়ারি মাসের আরামদায়ক আবহাওয়া বনভোজনের জন্য উপযুক্ত।

* আবার জানুয়ারি মাসে সূর্য তীর্যকভাবে মৃদু আলো দেয় আর জুলাই মাসে সূর্য খাড়াভাবে তীব্র আলো দেয়। তাই জানুয়ারি মাসে আবহাওয়া ঠাণ্ডা আর জুলাই মাসে অসহনীয় গরম পড়ে। তাই জুলাই মাসের চেয়ে জানুয়ারি মাসই বনভোজনের জন্য বেশি উপযুক্ত।

* শুধু তাই নয় জানুয়ারি মাসের মাসিক গড় বৃষ্টিপাত ৮ মিলিমিটার আর জুলাই মাসের মাসিক গড় বৃষ্টিপাত ৩২৯ মিলিমিটার। বৃষ্টিপূর্ণ জুলাই মাসের দিনের চেয়ে বৃষ্টিহীন জানুয়ারি মাসই বনভোজনের জন্য উপযুক্ত।

সুতরাং আবহাওয়া জলবায়ু অনুসারে উপরের কারণগুলোর জন্য জানুয়ারি এবং জুলাইয়ের মধ্যে জানুয়ারি মাসটিই বনভোজনের সম্পূর্ণ উপযুক্ত মাস।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

মো. ফোরকান আহমেদ

সহকারী শিক্ষক,

মুনলাইট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ ও

অন্যান্য নবীগণের পরিচয়

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

প্রশ্ন : কোরআন মাজিদে উল্লিখিত ১০ জন নবীর নাম লিখ।

উত্তর : কোরআন মাজিদে উল্লিখিত ১০ জন নবীর নাম নিচে দেয়া হল-

১. হজরত আদম (আ.)

২. হজরত নূহ (আ.)

৩. হজরত ইব্রাহীম (আ.)

৪. হজরত ইসমাঈল (আ.)

৫. হজরত ইউসুফ (আ.)

৬. হজরত দাউদ (আ.)

৭. হজরত সুলায়মান (আ.)

৮. হজরত মুসা (আ.)

৯. হজরত ঈসা (আ.)

১০. হজরত মুহাম্মদ (সা.)

প্রশ্ন : আল্লাহ ফেরেশতাদের কী আদেশ দিলেন?

উত্তর : আল্লাহ ফেরেশতাদের আদেশ দিলেন আদম তোমাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। তোমরা তাকে সম্মান জানাও। তার সম্মানে তাকে সিজদা কর। সবাই তাকে সম্মান দেখাল, তাকে সিজদা করল। তবে এই ফেরেশতাদের সঙ্গে ছিল আজাজিল নামক এক জিন। সে আদমকে সিজদা দিল না। ফলে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর অসন্তুষ্ট হলেন এবং তাকে সব রহমত থেকে বঞ্চিত করলেন।

প্রশ্ন : হজরত নূহ (আ.) মানুষকে কী কী শিক্ষা দিয়েছিলেন?

উত্তর : হজরত নূহ (আ.)-মানুষকে যে শিক্ষা দিয়েছিলেন-

* তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন

* তাকে ভয় কর

* মূর্তিপূজা ছেড়ে একমাত্র তাঁরই ইবাদাত কর

* সৎ কাজ কর ও অসৎ কাজ থেকে বিরত থাক

* আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও রহমত কামনা কর

* পরকালীন জীবনের ওপর বিশ্বাস রাখ।

প্রশ্ন : হজরত ইব্রাহীম (আ.) অগ্নিকুণ্ডে কীভাবে অক্ষত থাকেন?

উত্তর : সত্যের ঘোষণা দেয়ার পর হজরত ইব্রাহীম (আ.)-এর ওপর মুসিবতের পাহাড় ভেঙে পড়ল। স্বয়ং তার পুরোহিত পিতা আজর বললেন- ইব্রাহীম আমি তোমাকে পরিত্যাগ করব। বাড়ি ছাড়া করব। কোথাও তুমি সামান্যতম আশ্রয় পাবে না। দেশের শাসকও তার বিরুদ্ধে চলে গেল। তা সত্ত্বেও হজরত ইব্রাহীম (আ.) বিন্দুমাত্র বিচলিত ও শঙ্কিত হলেন না। তার পিতা ও বাদশাহ নমরুদকে দীপ্ত কণ্ঠে জানিয়ে দিলেন, আমি এক আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি, তাঁর হুকুম মতোই চলব। রাজ দরবার থেকে শেষ পর্যন্ত ফয়সালা জারি হল, বিদ্রোহী ইব্রাহীমকে অগ্নিকুণ্ডে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হবে। তাদের এ ভয়ানক সিদ্ধান্তে হজরত ইব্রাহীম (আ.) বিন্দুমাত্র বিচলিত হলেন না। কারণ তিনি যে এক আল্লাহর ওপর বিশ্বাসী মুসলিম। আর মুসলিম একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না। অত্যাচারী শাসক নমরুদ অগ্নিকুণ্ড তৈরি করল। সেই ভয়াবহ অগ্নিকুণ্ডে হজরত ইব্রাহীমকে (আ.) নিক্ষেপ করা হল। ঠিক এ সময় আল্লাহ আগুনকে নির্দেশ দেন-

অর্থ : ‘হে আগুন! ইব্রাহীমের জন্য তুমি ঠাণ্ডা হও। আরামদায়ক হও’।

আল্লাহর হুকমে আগুন ঠাণ্ডা হয়ে গেল। হজরত ইব্রাহীম (আ.)-এর কোনোই ক্ষতি হল না। তিনি নিরাপদে আগুন থেকে বেরিয়ে এলেন।

সিনিয়র

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম