Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি

বাংলা * প্রাথমিক বিজ্ঞান

বাংলা

Icon

সবুজ চৌধুরী

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০১৯, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সহকারী শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা

দুই তীরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নিচের কবিতাংশ পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

তুমি ভালোবাস তোমার

ওই ও পারের বন

যেথায় গাঁথা ঘনচ্ছায়

পাতার আচ্ছাদন।

যেথায় বাঁকা গলি

নদীতে যায় চলি,

দুই ধারে তার বেণুবনের

শাখায় গলাগলি।

ক) ‘বেণুবনের শাখায় গলাগলি’- লাইনটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

খ) কবিতাংশে কবি কী বলেছেন?

গ) ও পারের বনটি কেমন?

ক) উত্তর : ‘বেণুবনের শাখায় গলাগলি’- লাইনটি দ্বারা ঘন বাঁশবনকে বোঝানো হয়েছে।

নদীর ও পারে রয়েছে ঘনচ্ছায় পাতার আচ্ছাদন। সেখানে বাঁকা গলির দুইধারে রয়েছে ঘন বাঁশঝাড়। এই বাঁশগাছগুলো একটি অপরটির সঙ্গে যেন শাখা দিয়ে গলাগলি খায়। একটির শাখা অপর বাঁশের গলা যেন জড়িয়ে ধরে রয়েছে। বাঁশগাছগুলোর ঘনত্ব যেন তাদের বন্ধুত্বকে প্রকাশ করে। আর তাই তো কবি বলেছেন ‘বেণুবনের শাখায় গলাগলি।’

খ) ও পারের বনটি সবুজ-শ্যামল বৃক্ষলতায় পরিপূর্ণ। বনভূমির এমন সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কবির বন্ধু ও পারের বনকে ভালোবাসে। বনভূমিটিতে ঘন পাতার বৃক্ষের সমারোহ। সেখানে গাছের পাতাগুলো এত ঘন যে সেখানে যেন কেউ পাতার আচ্ছাদন দিয়ে রেখেছে। সেখানে বাঁকা গলিপথ নদীর দিকে চলে গেছে। পথের দুইপাশে ঘন বাঁশঝাড়। বাঁশগাছগুলোর একটির শাখা অপর বাঁশের গলা যেন জড়িয়ে ধরে গলাগলি খাচ্ছে।

গ) উত্তর : ও পারের বনটি সবুজ-শ্যামল বৃক্ষলতায় পরিপূর্ণ।

ও পারের বনভূমিটিতে ঘন পাতার বৃক্ষের সমারোহ। সেখানে গাছের পাতাগুলো এত ঘন যে সেখানে যেন কেউ পাতার আচ্ছাদন দিয়ে রেখেছে। সেখানে বাঁকা গলিপথ নদীর দিকে চলে গেছে। পথের দুইপাশে ঘন বাঁশঝাড়। বাঁশগাছগুলোর একটির শাখা অপর বাঁশের গলা যেন জড়িয়ে ধরে গলাগলি খাচ্ছে। বনভূমির এমন সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কবির বন্ধু ও পারের বনকে ভালোবাসে।

প্রাথমিক বিজ্ঞান

আফরোজা বেগম

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা

প্রাকৃতিক সম্পদ

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

প্রশ্ন : প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার কেন প্রয়োজন?

উত্তর : প্রকৃতিতে পাওয়া যেসব সম্পদ মানুষ তার চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহার করে থাকে তা-ই প্রাকৃতিক সম্পদ। সূর্যের আলো, মাটি, পানি, বায়ু, গাছপালা পশুপাখি ইত্যাদি প্রাকৃতিক সম্পদ। খনিজ সম্পদ, জীবাশ্ম জ্বালানি এসবও প্রাকৃতিক সম্পদ।

নানা কারণে এই প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন। যেমন :

* প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে আমরা খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান এবং শক্তি পেয়ে থাকি।

* শক্তি উৎপাদন এবং নতুন কিছু তৈরি করার জন্য আমরা প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভরশীল।

* জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদাও বাড়ছে।

* কিছু কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। যেমন- তেল, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস। ব্যবহারের ফলে এসব সম্পদ ফুরিয়ে যাবে। তাই এসব সম্পদের বিকল্প শক্তি খোঁজার পাশাপাশি এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

সুতরাং, উপরোক্ত কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন।

প্রশ্ন : প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদের মিল ও পার্থক্য কোথায়?

মিল : * প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদ উভয়ই সম্পদ হওয়ায় এরা মানুষের নানা প্রয়োজন ও চাহিদা পূরণ করে। এগুলো মানুষের উপকারে ব্যবহৃত হয়।

* দিন দিন উভয় সম্পদের চাহিদা বাড়ছে

পার্থক্য/অমিল

* প্রাকৃতিক সম্পদ প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। কিন্তু মানবসৃষ্ট সম্পদ মানুষ নিজে প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করে। * প্রাকৃতিক সম্পদকে রূপদান করতে হয় না। কিন্তু মানব সম্পদকে রূপদান করতে হয়।

* প্রাকৃতিক সম্পদ সীমিত। কিন্তু, মানবসৃষ্ট সম্পদ তুলনামূলকভাবে অতটা সীমিত নয়।

* প্রাকৃতিক সম্পদ বর্তমানে নিঃশেষের পথে। কিন্তু, সে তুলনায় মানবসৃষ্ট সম্পদের প্রসার হচ্ছে।

* মানুষ প্রাকৃতিক সম্পদ তৈরি করতে পারে না কিন্তু মানবসৃষ্ট সম্পদ তৈরি করতে পারে।

* সূর্যের আলো, মাটি, পানি, বায়ু, গাছপালা, পশুপাখি, খনিজ সম্পদ, জীবাশ্ম জ্বালানি ইত্যাদি হল প্রাকৃতিক সম্পদ, কিন্তু কাগজ, ঘরবাড়ি, আসবাবপত্র ইত্যাদি হল মানবসৃষ্ট সম্পদ। * প্রাকৃতিক সম্পদ মানবসৃষ্ট সম্পদের ওপর নির্ভর না করলেও মানবসৃষ্ট সম্পদ প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। মানবসৃষ্ট সম্পদের মূল উৎসই হল প্রাকৃতিক সম্পদ।

সুতরাং, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সম্পদের মধ্যে যেমন মিল রয়েছে তেমনি যথেষ্ট অমিল বা পার্থক্যও পরিলক্ষিত হয়।

প্রশ্ন : একটি সুন্দর বাড়ি তৈরি করতে তোমার কোন কোন প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসৃষ্ট সম্পদ প্রয়োজন হবে?

উত্তর : একটি সুন্দর বাড়ির বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে কিছু প্রাকৃতিক সম্পদ ও কিছু মানবসৃষ্ট সম্পদ প্রয়োজন। নিচে একটি সুন্দর বাড়ি তৈরির এসব সম্পদের একটি তালিকা নিচে দেয়া হল :

প্রাকৃতিক সম্পদ মানবসৃষ্ট সম্পদ

* মাটি * ইট

* গাছপালা * সিমেন্ট

* বালি * কাঠ

* লোহা * রড

* বাঁশ * কাঁচ

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম