জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার পড়াশোনা
বাংলা দ্বিতীয়পত্র * বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
বাংলা দ্বিতীয়পত্র
উজ্জ্বল কুমার সাহা
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০১৯, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রভাষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
সন্ধি
[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]
১২. ‘মুগ্ধ’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. মুগ+ধ খ. মুহ্+ধ গ. মু+গ্ধ √ঘ. মহ্+ত
১৩. ‘সংস্কার’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. সং+স্কার খ. সং+কার √গ. সম্+কার ঘ. সঙ্+কার
১৪. ‘সদ্যোজাত’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. সদ্য+জাত খ. সদ্যো+জাত
গ. সদ্যোঃ+ জাত
√ঘ. সদ্য+জাত
১৫. ‘শিরশ্ছেদ’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
√ক. শিরঃ+ছেদ খ. শিরো+ছেদ
গ. শির+চ্ছেদ ঘ. র্শি+শ্ছেদ
১৬. ‘আবির্ভাব’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. আবির+ভাব খ. আবি+ভাব
√গ. আবিঃ+ভাব
ঘ. আবিস্+ভাব
১৭. ‘নরাধম’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
√ক. নর+অধম খ. নরঃ+অধম
গ. নরা+অধম ঘ. নরাধ+আম
১৮. ‘বিচ্ছেদ’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. বিচ্+ছেদ খ. বিচ্ছে+দ
√গ. বি+ছেদ ঘ. বি+চ্ছেদ
১৯. ‘দ্যুলোক’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. দুঃ+লোক খ. দ্বি+লোক
√গ. দিব্+লোক ঘ. দু+ লোক
২০. ‘জলাতঙ্ক’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. জলা+আতঙ্ক
খ. জল্+আতঙ্ক
√গ. জল+ আতঙ্ক
ঘ. জলা+তঙ্ক
২১. ‘প্রতীক্ষা’-এর সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. প্রতি+ইক্ষা √খ. প্রতি+ঈক্ষা
গ. প্রত+ইক্ষা ঘ. প্রত+ঈক্ষা
২২. ‘পরীক্ষা’-এর সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
√ক. পরি+ঈক্ষা খ. পরী+ঈক্ষা
গ. পরী+ইক্ষা ঘ. পরি+ইক্ষা
২৩. ‘দিগন্ত’ শব্দটির সঠিক সন্ধিবিচ্ছেদ কোনটি?
ক. দিগ্+অন্ত √খ. দিক্+আন্ত
গ. দিগ্+অস্ত ঘ. দিগ+ন্ত
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়
মো. সিদ্দিকুর রহমান
সিনিয়র শিক্ষক, প্রগতি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নন্দীপাড়া, ঢাকা
রহিম তার দাদার কাছ থেকে ১৬৮০-৮৩ সালের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা শুনে বুঝতে পারে এদেশে একসময় বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য করত। তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করে থাকত। তবে এতে একটি দেশের ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হয়।
ক. ইউরোপের শান্তি চুক্তি কী নামে পরিচিত? ১
খ. ‘ইকলিম’ ধারণাটি ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উল্লিখিত সময়ে লাভবানকৃত দেশটির বাণিজ্য বিস্তারের কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলার অভ্যন্তরের কোন্দলই কি উক্ত দেশটির বিজয়ের পিছনে কাজ করেছে? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে তুলে ধর। ৪
উত্তর
ক. ইউরোপের শান্তি চুক্তি ‘ওয়েস্টফালিয়ার চুক্তি’ নামে পরিচিত।
খ. ফারসি ভাষায় বিভাগকে বলা হয় ইকলিম। ১২০৬ সালে বখতিয়ার খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১৩৩৮ সাল পর্যন্ত বাংলা জুড়ে মুসলিম শাসনের বিস্তার ঘটতে থাকে। এ সময়ের মধ্যে বাংলার তিনটি অংশে দিল্লির মুসলিম সুলতানদের তিনটি প্রদেশ বা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত এই বিভাগগুলো ‘ইকলিম’ নামে পরিচিত ছিল।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সময়ে লাভবানকৃত দেশটি হলো ইংল্যান্ড। এদেশের তথা বাংলার ধনসম্পদ ও প্রাচুর্যে আকর্ষিত হয়ে ইউরোপের অনেক দেশ এদেশে এসে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে। এসব দেশের বাণিজ্য সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে সম্পদ আহরণের উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ড তথা ইংরেজ বণিকরাও বাংলায় এসে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে অনেক সাফল্য লাভ করে। পরবর্তীতে এদেশে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে তারা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটায়। ক্রমেই তারা বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় অন্যান্য ইউরোপীয় বণিক সম্প্রদায়কে ছাড়িয়ে যায় ও অধিক মুনাফা লাভ করে। আবার ইংরেজরা লক্ষ্য করল বাংলায় স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যাবে। এছাড়াও এদেশের স্থানীয় রাজা-বাদশাহদের মধ্যে একতা ছিল না। এ দুর্বলতার সুযোগে তারা এদেশে তাদের আধিপত্য বিস্তার তথা দেশের শাসনভার দখলের স্বপ্ন দেখে। আর বাণিজ্যের প্রসারের মাধ্যমেই তা সম্ভব। এসব কারণে ইংরেজরা নানা কৌশলে এদেশে তাদের বাণিজ্যের বিস্তার ঘটায়।
ঘ. হ্যাঁ, বাংলার অভ্যন্তরের কোন্দলই ইংল্যান্ডের বিজয়ের পিছনে কাজ করেছে। ১৭৫৬ সালে আলিবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর ক্ষমতার উত্তরাধিকার নিয়ে নবাব পরিবার এবং রাজপ্রাসাদের অভিজাতদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে ইংল্যান্ডের ‘দি ব্রিটিশ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি’ এর সুযোগ গ্রহণ করে। তরুণ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে খালা ঘসেটি বেগম, মীর জাফর, রাজদরবারের প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ এবং উমিচাঁদ, জগৎশেঠ ও রাজবল্লভদের মতো তৎকালীন ধনী অভিজাতদের একটি অংশ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে ইংরেজ বণিকরা তাদের সাথে যোগ দেয়। এই সুযোগে মাদ্রাজ থেকে সৈন্যবাহিনী এনে ইংরেজ সেনাপতি ওয়াটসন ও ক্লাইভ রাজধানী মুর্শিদাবাদ দখল করার উদ্দেশ্যে পলাশির আম্রকাননে উপস্থিত হন। ১৭৫৭ সালের ২৩এ জুন সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ঘটে এবং ইংরেজদের বিজয় অর্জিত হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, ইংল্যান্ডের বিজয়ের পিছনে বাংলার অভ্যন্তরের কোন্দলই কাজ করেছে।
