Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা

ইংরেজি * বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

ইংরেজি

Icon

মো. সিদ্দিকুর রহমান

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, প্রগতি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নন্দীপাড়া, ঢাকা

My Home District

2. Match the words in column A. with their meanings that is mentioned in the text in column B 1x5=5

column A column B

(a) Consist (i) A Hindu prayer house

(b) Landlord (ii) To involve something

(c) Across (iii) An educational Institute

(d) Temple (iv) From one side to the other

(e) College (v) A man who owns property

Answer :

Consist (ii) To involve something

Landlord (v) A man who owns property

Across (iv) From one side to other

Temple (i) A Hindu prayer house

College (iii) An educational institute

3. Answer the following questions in sentence(S) 2x5= 10

1. What is the name of Mamun's home town?

2. What type of town is Kishoreganj?

3.What is the story behind the name of Kishoreganj?

4.What is the area of Kishoreganj town?

5. What is situated on the bank of Fuleshwari river?

Answer:

The name of Mamuns home town is Kishoreganj.

It is a district headquarter

The name Kishorganj comes from the name of an old landloard known as Brojakishore Pramanik or Nandakishore Pramanik.

The area of Kishoreganj town is 10 square kilometres.

The Shiva temple of Chandrabati is situated on the bank of Fuleshwari river.

4. Write a short composition about 'Your Home Town' Answer the following question 10

a. What is he name of your home town?

b. Where is it located?

c. What is the size and population of the town?

d. What are the important places in or around your home town?

e. Who are the important persons of the town?

My Home Town

The name of my home town is Dhaka. It is the capital of Bangladesh and also the main city of Dhaka Division. Dhaka is located at the centre of Bangladesh on the bank of the river Buriganga. It is a megacity with an estimated population of over 16 million. It has a metropolitan area of 360km making it the largets city of Bangladesh. The name of the city may have been derived after the establishment of the goddess Dhakaeswaris in a Temple by Ballal sen in the 12 century. There are some historical places in and arround the city. They are the Lalbag Fort, Ahsan Maûil, Hoseni Dalan, Curyon Hall.

Some famous personalities are Nauab sir Salimullah Bahadur, Shamsur Rahman etc. I am very proud of my home town.

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

আফরোজা বেগম

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা

ব্রিটিশ শাসন

প্রশ্ন : ১৮৫৭-এর সিপাহী বিদ্রোহের গুরুত্ব বর্ণনা কর?/১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের ফলাফল কী ছিল?

উত্তর : সিপাহী বিদ্রোহ

পলাশী যুদ্ধের ঠিক ১০০ বছর পর ১৮৫৭ সালে ইংরেজ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতবর্ষকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বাঙালি সিপাহীরা স্ব স্ব ব্যারাকে যে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়েছিল তা-ই ইতিহাসে সিপাহী বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

গুরুত্ব : ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। যেমন :

* এ বিপ্লব স্বাধীনতার প্রথম সশস্ত্র সংগ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

* বাংলায় শুরু হয়ে ইংরেজ অধিকৃত ভারতের অন্যান্য এলাকার সিপাহীদের মধ্যেও এ বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে। পশ্চিম বাংলার ব্যারাকপুরে সিপাহী ‘মঙ্গল পান্ডের’ নেতৃত্বে প্রথম বিদ্রোহ শুরু হয়। ইংরেজরা কঠোরভাবে দমন করল। বিদ্রোহীরা পরাজিত হলেও এ বিদ্রোহের ফলেই কোম্পানির শাসনের অবসান হয়। শুরু হয় ব্রিটিশ রাজ তথা রানী ভিক্টোরিয়ার শাসন।

* ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ ওঠে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে।

* সিপাহী বিপ্লবের পর মুসলমানদের প্রতি ইংরেজ সরকারের নীতির পরিবর্তন আসতে থাকে। মুসলমানদের একটি অংশ মনে করে যে, ইংরেজদের অসহযোগিতা করলে সব ক্ষেত্রে তারা পিছিয়েই থাকবে। তাই এ সিপাহী বিপ্লবের পর থেকে ভারতবর্ষে সবাই শিক্ষা বিস্তারে তৎপর হন। শিক্ষা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা, স্বকীয়তা ইত্যাদি বোধের উদয় হয়। ফলে পরবর্তীতে কংগ্রেস দল, মুসলিম লীগ, স্বরাজ পার্টিসহ নানা রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হয়।

সুতরাং ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতার দ্বার উন্মুক্ত করতে, শিক্ষা বিস্তার করতে এই সিপাহী বিদ্রোহের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ব্যাপক।

প্রশ্ন : ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে তিতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা ও ক্ষুদিরাম কী অবদান রেখেছিলেন?

উত্তর : বিদেশি ইংরেজ শাসনকে বাংলার মানুষ কিন্তু বিনা প্রতিরোধে মেনে নেয়নি। আঠারো শতকের শেষভাগ থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত বাংলায় একাধিক প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ, তিতুমীরের বিদ্রোহ, ফরায়েজি আন্দোলন, সাঁওতাল বিদ্রোহ ইত্যাদি। ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে তিতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা ও ক্ষুদিরামের অবদান উল্লেখযোগ্য।

তিতুমীর ইংরেজ ও জমিদারদের শোষণ ও অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে বর্তমান ভারতের পশ্চিমবাংলার চব্বিশপরগনা জেলার নারকেলবাড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়েছিলেন। যুদ্ধরত অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি হলেন বাংলার সশস্ত্র সংগ্রামে স্বাধীনতার প্রথম শহীদ।

স্বরাজ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, সশস্ত্র যুব বিদ্রোহের একপর্যায়ে সশস্ত্র আন্দোলনে ক্ষুদিরাম, মাস্টার দা সূর্যসেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা চিরস্মরণীয়। ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে অভিযানে অংশ নেয়ার কারণে ক্ষুদিরাম ও মাস্টার দাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল। সফল অভিযান শেষে ইংরেজদের হাতে ধরা পড়া এড়ানোর জন্য প্রীতিলতা স্বেচ্ছায় আত্মাহুতি দিয়েছিলেন।

ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে তিতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা ও ক্ষুদিরামের অসামান্য অবদান রয়েছে।

প্রশ্ন : বাংলায় নবজাগরণের ফলাফল কী ছিল?

উত্তর : ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের পর মুসলমানরা ইংরেজদের প্রতি মনোভাব পরিবর্তন করে। তারা মনে করে যে, ইংরেজদের সঙ্গে অসহযোগিতা করলে সব ক্ষেত্রে তারা পিছিয়েই থাকবে। বিভিন্ন মুসলিম সমাজ সংস্কারক শিক্ষা বিস্তারে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে। ফলে সমাজে দ্রুত শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন ঘটে।

* আধুনিক ও নবজাগরণের ফলে উনিশ শতকে বাংলা তথা ভারতে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটে।

* এরই ফলে এক সময় ১৮৮৫ সালে ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস’ নামক রাজনৈতিক দল গঠিত হয়।

* বাংলার জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমনের জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৯০৫ সালে তৎকালীন বাংলা প্রদেশকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

* নবজাগরণের ফলে পূর্ববাংলা ও আসাম নিয়ে একটি নতুন প্রদেশ গঠন করা হয়।

* বাংলা প্রদেশের রাজধানী ঢাকায় করা হয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়।

* মুসলমানদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে ১৯০৬ সালে ঢাকায় ভারতীয় মুসলিম লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে।

* বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলায় স্বদেশি চেতনার ব্যাপক বিস্তার ঘটে। যার ফলে স্বরাজ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন, সশস্ত্র যুব বিদ্রোহ ঘটে।

মোটকথা, আধুনিক শিক্ষা ও নবজাগরণের ফলে জনগণের রাজনৈতিক অধিকারবোধ তীব্র হয় এবং পরবর্তীতে এরই হাত ধরে ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা এ দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম