|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঘূর্ণিঝড়কে ইংরেজিতে বলে CYCLONE। এ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘KYKLOS’ থেকে। যার অর্থ হল COIL OF SNAKES বা সাপের কুণ্ডলী। সাইক্লোনের স্যাটেলাইট ছবি থেকে দেখা যায়, প্রচণ্ড গতিবেগসম্পন্ন বাতাস কুণ্ডলীর আকারে ঘুরপাক খাচ্ছে। অর্থাৎ নিম্নচাপজনিত কারণে যখন প্রচণ্ড গতিবেগে ঘূর্ণনের আকারে বাতাস বয়- তাকেই সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় বলে। আমেরিকাতে একে হারিকেন, দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতে টাইফুন এবং দক্ষিণ এশিয়াতে সাইক্লোন বলে। যেহেতু সাইক্লোন সৃষ্টি হয় গভীর সমুদ্রে, তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সহজসাধ্য নয়। তবে যে দুটি কারণ মূলত সাইক্লোন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে, সেগুলো হল নিম্নচাপ ও উচ্চ তাপমাত্র। সাধারণত সাইক্লোন তৈরি হতে সাগরের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হতে হয়। দুর্ভাগ্যবশত বঙ্গোপসাগরে প্রায় সারা বছরই তা বিদ্যমান থাকে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে ১৯৯১ সালে, যেখানে বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় ২২৫ কি.মি.।
