এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বাংলা
বাংলা প্রথমপত্র
ড. সনজিত পাল
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
আঠারো বছর বয়স
-সুকান্ত ভট্টাচার্য
‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। কবিতাটি মননধর্মী এবং বয়ঃসন্ধিকালের মানসিকতার বৈশিষ্ট্যগুলো এতে বর্ণিত হয়েছে। এখানে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলো কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের সময় লক্ষণীয়। এ বয়সের ধর্মই হল আত্মত্যাগের মন্ত্রে উজ্জীবিত হওয়া, আঘাত-সংঘাতের মধ্যে রক্তশপথ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সব বাধা-বিপত্তিকে পেরিয়ে যাওয়ার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্য প্রস্তুত। এ বয়স প্রবল আবেগ, উত্তেজনায় ও উচ্ছ্বাসে জীবনের ঝুঁকি নেয়ার জন্য যেমন উপযোগী তেমনি সমাজজীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর। তারুণ্য ও যৌবনশক্তি দুর্বার বেগে এগিয়ে যায় প্রগতির পথে কিংবা ধ্বংসের দিকে। কবি এ বয়সের সব নেতিবাচক ব্যবহার ও ভয়ঙ্কর দুর্যোগ বাদ দিয়ে যৌবনের তারুণ্য, উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি, নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত শক্তিকে প্রত্যাশা করেছেন। কবি আশা প্রকাশ করেন পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ও নানা সমস্যাপীড়িত ভারতবর্ষে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি যেন জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়ায়।
‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটি পড়ার সময় যে দিকগুলো ভালো করে খেয়াল করতে হবে :
‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি তারুণ্যশক্তির ইতিবাচক ও নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। সমাজ-সংসার, পরিবেশ ও জাতীয় রাজনৈতিক আবহ থেকে বয়ঃসন্ধিকালে তরুণ মনে কোন ধরনের প্রভাব পড়ে, কবিতাটি যেন তারই একটি বর্ণনা। এ কবিতাটি পড়ার সময় বয়ঃসন্ধিকালের মনন গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে। এ বয়স মানসিকভাবে কতটা শক্তিসম্পন্ন, কতটা আবেগনির্ভর, কতটা বাস্তবমুখী তা জানতে হবে। কবিতায় বর্ণিত আঠারো বছর বয়সের বৈশিষ্ট্যগুলো তারুণ্যশক্তিকে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, কোন দিকে প্রভাবিত করতে পারে- তা বুঝতে হবে। কবি এ কবিতায় আঠারো বছর বয়সকে কেন প্রত্যাশা করেছেন তা জানতে হবে। কবির ব্যক্তিজীবনে দেশপ্রেম, মানবতা ও মানবিকতা ছাপ এ কবিতায় কতটুকু পড়েছে, কেন পড়েছে- তা বুঝতে হবে। আঠারো বছর বয়সের নেতিবাচক দিকগুলো প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা বিচার করতে হবে। আবার এ বয়সের ইতিবাচক দিকগুলো কীভাবে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বুঝতে হবে।
অনুধাবন প্রশ্ন
১. আঠারো বছর বয়সকে দুঃসহ বলা হয়েছে কেন?
২. আঠারো বছর বয়সে স্পর্ধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৩. আঠারো বছর বয়সে বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৪. ‘আঠারো বছর বয়সের নেই ভয়’- ব্যাখ্যা কর।
৫. আঠারো বছর বয়সে পদাঘাতে চায় ভাঙতে পাথর বাধা- ব্যাখ্যা কর।
৬. আঠারো বছর বয়সে কেউ মাথা নোয়াবার নয়- কেন বলা হয়েছে?
৭. ‘আঠারো বছর বয়স জানে না কাঁদা’- ব্যাখ্যা কর।
৮. ‘এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৯. সঁপে আত্মাকে শপথের কোলাহলে- কারা? ব্যাখ্যা কর।
১০. ‘আঠারো বছর বয়স ভয়ঙ্কর/ তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা’- কেন বলা হয়েছে?
১১. আঠারো বছর বয়সে কানে আসে কত মন্ত্রণা- ব্যাখ্যা কর।
১২. আঠারো বছর বয়সকে দুর্বার বলা হয়েছে কেন?
১৩. আঠারো বছর বয়সে ক্ষত-বিক্ষত হয় সহস্র প্রাণ- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১৪. আঠারো বছর বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১৫. ‘এ বয়স কাঁপে বেদনায় থরোথরো’- ব্যাখ্যা কর।
১৬. কবি আঠারোর জয়ধ্বনি শুনেছেন কেন?
১৭. আঠারো বছর বয়স বাঁচে দুর্যোগে আর ঝড়ে- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১৮. আঠারো বছর বয়সকে কবি বিপদের মুখে অগ্রণী বলা হয়েছে কেন?
১৯. ‘এ বয়স যেন ভীরু, কাপুরুষ নয়’- ব্যাখ্যা কর।
২০. ‘এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে’- কবি এ আহ্বান জানিয়েছেন কেন?
২১. কবি আঠারো বছর বয়সকে ভয়ঙ্কর বলেছেন কেন?
২২. কবি আঠারো বছর বয়সের জয়গান করেছেন কেন?
২৩. আঠারো বছর বয়সের জীবনবোধকে কবি কেন তীব্রতা ও প্রখরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন?
