Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা

বাংলা * বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

বাংলা

Icon

সবুজ চৌধুরী

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সহকারী শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা

বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

২। সমার্থক শব্দ লেখ/ শব্দার্থ লেখ।

অর্জন - আদায় স্বল্প - অল্প

অবধারিত - অনিবার্য নিরাপদ - বাধাহীন

বীর - সাহসী গৌরব - গর্ব

৩। এক কথায় প্রকাশ কর।

অত্যন্ত চঞ্চল যে - দুরন্ত

কোনো কিছুর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ - অনুরাগ

মুক্তির জন্য যারা যুদ্ধ করেছেন - মুক্তিযোদ্ধা

মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে - রাজাকার

সীমা নেই যার - অসীম

সাথে থেকে যে যুদ্ধ করে - সহযোদ্ধা

বীরদের মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ - বীরশ্রেষ্ঠ

নৌকায় করে যারা যুদ্ধ করে - নৌসেনা

যা অবশ্যই ঘটবে - অবধারিত

যেখানে কোনো বিপদ নেই - নিরাপদ

রক্ত দ্বারা সৃষ্ট স্রোত - রক্তস্রোত

শহীদের স্মৃতি রক্ষার্থে যে স্তম্ভ তৈরি করা হয়েছে - স্মৃতিস্তম্ভ

মমতা নেই যার - নির্মম

চির দিনের জন্য যে নিদ্রা - চিরনিদ্রা

ফেব্রুয়ারির গান

১। বিপরীত শব্দ লেখ।

সুর - বেসুর মুগ্ধ - বিরক্ত

সাগর - নদী ধ্বনি - প্রতিধ্বনি

ছন্দ - ছন্দহীন কথা - গান

পাহাড় - সমতল মধুর - তিক্ত

শহীদ - জীবিত ভাই - বোন

২। সমার্থক শব্দ লেখ/ শব্দার্থ লেখ ।

গান - গীত কোকিল - বসন্তদূত

পাখি - পক্ষী সুর - তাল

নদী - স্রোতস্বিনী সাগর - সমুদ্র

সমুদ্দুর - সাগর পাহাড় - পর্বত

ঝরনা - নির্ঝরিনী ঊর্মি - ঢেউ

প্রকৃতি - নিসর্গ গ্রীষ্ম - বর্ষা

মুগ্ধ - মোহিত গাছ - তরু

পাতা - পত্র স্বর্ণ - সুবর্ণ

ফুল - পুষ্প মা - মাতা

মন - হৃদয় শহীদ - নিহত

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

আফরোজা বেগম

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ,

উত্তরা, ঢাকা

আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী কী ধরনের নির্যাতন-তাণ্ডব চালিয়েছিল?

উত্তর : ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে শুরু করে দীর্ঘ ২৩ বছর পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে শাসন ও শোষণ করে। এ শাসন ও শোষণের হাত থেকে চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ।

নির্যাতন

* ২৫ মার্চ মধ্য রাতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বন্দি করে পশ্চিম পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। * তারপর ২৫ মার্চ মধ্য রাতেই ঢাকায় ঘুমন্ত, নিরস্ত্র, বাঙালিদের ওপর অতর্কিত হামলার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়। এ অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সার্চ লাইট’। * অন্যান্য স্থানেও তারা নির্মম হত্যাকাণ্ড শুরু করে। বাড়িঘর, দোকানপাট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয় ও লুটপাট করে। বিদেশে সংবাদ প্রেরণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে। ঢাকা শহর পরিণত হয়েছিল বধ্যভূমি ও ধ্বংসস্তূপে। ২৬ মার্চ ঢাকার বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছিল লাশের গন্ধ। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে এ রাত হল ‘কালরাত’। এটা ছিল বিশ্বের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।

* সেদিন এক রাতেই ঢাকাসহ সারা দেশে হাজার হাজার নিরস্ত্র বাঙালিকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়।

* পরবর্তী ৯ মাস ধরেই পাকিস্তানি বাহিনীর এ পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি তারা চালায় নির্বিচারে লুটতরাজ ও ধরপাকড়।

* গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হয়। নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ কাউকেই রেহাই দেয়নি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।

* তারা লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করে সারা দেশের অগণিত স্থানকে বধ্যভূমিতে পরিণত করে। ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়।

* পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যা, লুণ্ঠন ও অত্যাচারের মুখে প্রাণভয়ে মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করে। এ সময় প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়।

মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণী শিল্পী, সাহিত্যিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিকদের ধরে নিয়ে হত্যা করে।

মোটকথা, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী অকথ্য, নির্মম, জঘন্য, বর্বরোচিত নির্যাতন-তাণ্ডব চালিয়েছিল। আমরা সবাই এ নির্যাতনের প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করছি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম