এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্র
ড. সনজিত পাল
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
জাদুঘরে কেন যাব
-আনিসুজ্জামান
জাদুঘর হচ্ছে একটি সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান। এখানে মানবসভ্যতা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন সংরক্ষণ, প্রদর্শন ও গবেষণার জন্য সংগ্রহ করে রাখা হয়। জাদুঘরে গিয়ে আমরা কী শিখি বা কী দেখি এবং আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিতে জাদুঘরের ভূমিকা কতটুকু, সেসব বিষয় ‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধে অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় লেখক তুলে ধরেছেন। জাদুঘরের একটা সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে যা চমকপ্রদ, যা লুপ্তপ্রায়, যা বিস্ময় উদ্রেককারী- এমন সব বস্তু সংগ্রহ করে রাখা। সংগৃহীত নিদর্শনগুলোকে জাদুঘরে যথাযথ পরিচিতিসহ এমন আকর্ষণীয়ভাবে প্রদর্শন করা হয় যেন তা থেকে দর্শকরা অনেক কিছু জানতে পারেন, পাশাপাশি আনন্দও উপভোগ করতে পারেন। জাদুঘর কেবল বর্তমান প্রজন্মের কাছে নিদর্শনগুলো প্রদর্শন করে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখে। এখানে বক্তৃতা, সেমিনার, চলচ্চিত্র প্রদর্শন ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। জাতীয় জাদুঘর একটা জাতিসত্তার পরিচয় বহন করে। মানুষ সেখানে গিয়ে নিজের ও জাতির স্বরূপ উপলব্ধি করতে পারে, সংস্কৃতির সন্ধান পায়, আত্মবিকাশের প্রেরণা লাভ করে। জাদুঘর আমাদের জ্ঞান দান করে, আমাদের শক্তি জোগায়, আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করে, মনোজগৎকে সমৃদ্ধ করে। এটি একটি শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সংগঠন।
‘জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধটি পড়ার সময় যে দিকগুলো ভালো করে খেয়াল করতে হবে-
‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনাটি বিষয়গত ও গঠনগত দিক থেকে প্রবন্ধ জাতীয় রচনা। প্রবন্ধে লেখকের নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও যুক্তি প্রাধান্য পায়। আলোচ্য রচনাও তার ব্যতিক্রম নয়। লেখক আনিসুজ্জামান জাদুঘরে যাওয়ার উপকারিতা সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। একটি জাতির জীবনে জাদুঘরের প্রয়োজনীয়তা, জাতির আত্মপ্রকাশে জাদুঘরের ভূমিকা, জাতির মনন ও মানসিকতার গঠনে জাদুঘরের অবদান এ রচনায় উপস্থাপিত হয়েছে। এ প্রবন্ধ পড়ার সময় জাদুঘরের শ্রেণিকরণ ও সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে জাদুঘরের সমৃদ্ধি লাভের কারণ গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে হবে। জাদুঘরের সঙ্গে ইউরোপের কতগুলো রাজনৈতিক আন্দোলন, শিল্প-সাহিত্য ও সমাজের সামষ্টিক পরিবর্তন বা রেনেসাঁ আন্দোলন, সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের বিস্তার, সমাজতান্ত্রিক মতবাদের উত্থান ও রাজনৈতিকভাবে এ মতবাদের প্রয়োগ, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কবল থেকে নতুন নতুন রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশের ক্ষেত্রে জাদুঘর কীভাবে ভূমিকা রেখেছে তা জানতে হবে। বিভিন্ন ধরনের জাদুঘর গড়ে ওঠার কারণ ও উপকারিতা, বিখ্যাত ও প্রাচীন জাদুঘর গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের ভূমিকা বুঝতে হবে। লেখক নিজের জাতিসত্তা নির্ণয়ে জাদুঘরের প্রশংসা কেন করছেন? বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরের ভিক্তিপ্রস্তর স্থাপনে তৎকালিন পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রীর সাথে লেখকে কথন, বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন জাদুঘরের বর্ণনা পড়তে হবে।
অনুধাবন প্রশ্ন :
১. জাদুঘরের প্রধান কাজ কী? বর্ণনা কর।
২. প্রাবন্ধিকের প্রতি গভর্নরের হুংকার দেয়ার কারণ কী ছিল- ব্যাখ্যা কর।
৩. ‘যঃ পরায়েতে স জীবতি’- কেন বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
৪. ব্রিটিশ মিউজিয়াম গড়ে ওঠে কীভাবে?
৫. উনিশ শতকে জাদুঘরের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা কর।
৬. সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বলতে কী বোঝায়?
৭. প্রাচীন কালে সবার জন্য জাদুঘর খোলা থাকত না কেন?
৮. প্রাবন্ধিক আত্মপরিচয় লাভ করেছিলেন কোথায় এবং কীভাবে? ব্যাখ্যা কর।
৯. সমাজতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?
১০. নীল আন্দোলন বলতে কী বোঝায়?
১১. ইউরোপীয় রেনেসাঁস বলতে কী বোঝায়?
১২. জাদুঘরের সাধারণ লক্ষণ ব্যাখ্যা কর?
১৩. জাদুঘর সবার জন্য অবারিত হয় কখন এবং কীভাবে?
১৪. জাদুঘরে গিয়ে আমরা অনেক উল্লসিত হই কেন?
১৫. জাদুঘর কীভাবে গড়ে ওঠে?
১৬. ‘জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয়’- কীভাবে?
১৭. বাংলাদেশে জাতীয় জাদুঘর কখন ও কীভাবে গড়ে ওঠে?
১৮. ব্রিটেনে প্রথম পাবলিক মিউজিয়াম গড়ে ওঠে কীভাবে?
১৯. ‘জাদুঘর আত্মপরিচয় লাভের সূত্র জানায়’, কীভাবে? ব্যাখ্যা কর।
২০. ‘ফরাসি বিপ্লব’ বলতে কী বোঝায়? বর্ণনা কর।
২১. আমাদের বৃহত্তর মানবসমাজে উত্তরণ ঘটে কীভাবে?
২২. ‘কে বলেছে আপনাকে যেতে?’- কেন বলা হয়েছে?
২৩. জাদুঘর আমাদের জ্ঞান দান করে কীভাবে? বর্ণনা কর।
২৪. উন্মুক্ত জাদুঘর বলতে কী বোঝায়?
২৫. গণতন্ত্রায়ণের পথ প্রশস্ত হয় কীভাবে?
