অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা
বিজ্ঞান
মো. আমিনুল ইসলাম
প্রকাশ: ০৩ মে ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিনিয়র শিক্ষক,
মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা
৩য় অধ্যায়
*** চিত্র দুটি লক্ষ কর ও প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক. ভেদ্য পর্দা কাকে বলে? ১
খ. প্রস্বেদনকে Necessary evil বলা হয় কেন? ২
গ. (ii) নং এ কিশমিশের পানি শোষণ প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ কর। ৩
খ. (i) নং এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর। ৪
ক. উ. যে পর্দা দিয়ে দ্রাবক ও দ্রব উভয়েরই অণু সহজে চলাচল করতে পারে তাকে ভেদ্য পর্দা বলে।
খ. উ. উদ্ভিদ জীবনে প্রস্বেদন একটি অনিবার্য প্রক্রিয়া। প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদের দেহ থেকে প্রচুর পানি বাষ্পাকারে বেরিয়ে যায়। এতে উদ্ভিদের মৃত্যু হতে পারে। তাই আপাত দৃষ্টিতে উদ্ভিদের জীবনে প্রস্বেদনকে ক্ষতিকর প্রক্রিয়া বলেই মনে হয়। কিন্তু প্রস্বেদন উদ্ভিদ জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদ তার দেহ থেকে পানিকে বের করে অতিরিক্ত পানির চাপ থেকে মুক্ত করে। এ কারণে প্রস্বেদনকে উদ্ভিদের জন্য একটি Necessary evil বলা হয়।
গ. উ. উদ্দীপকের (ii) নং এ কিশমিশের পানি শোষণ প্রক্রিয়া নিচে বিশ্লেষণ করা হল :
অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় শোষিত পানি কিশমিশকে ফুলে উঠতে সাহায্য করে। কিশমিশের ভিতরের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে কিশমিশগুলো কুঁচকে যায়। কিশমিশগুলো পানিতে রাখলে পানি শোষণ করে ফুলে উঠে। কারণ কিশমিশের ভিতর শর্করার একটি গাঢ় দ্রবণ অর্ধভেদ্য পর্দা দ্বারা পানি থেকে পৃথক হয়ে আছে। ফলে শুধু পানির অণু কিশমিশের অভ্যন্তরে অভিস্রবণ প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে। কিন্তু শর্করা অণু এই রকম পর্দা ভেদ করে বাইরে আসতে পারে না। শুকনা কিশমিশগুলো অর্ধভেদ্য পর্দা ভেদ করে পানি ভেতরে প্রবেশ করে। তাই কিশমিশগুলো ফুলে ওঠে।
ঘ. উ. উদ্দীপকের (র) নং চিত্রের প্রক্রিয়াটি হল ব্যাপন। নিচে ব্যাপন প্রক্রিয়া গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হল-
ব্যাপনের গুরুত্ব :
১. উদ্ভিদ সালোক সংশ্লেষণের সময় বাতাসের কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। এবং অক্সিজেন ত্যাগ করে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
২. জীব কোষে শ্বসনের সময় গ্লুকোজ জারনের জন্য অক্সিজেন ব্যবহারিত হয়। আর জীব কোষে এই অক্সিজেন প্রবেশ করে ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
৩. উদ্ভিদ দেহে শোষিত পানি বাষ্পাকারে প্রস্বেদনের মাধ্যমে দেহ থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বের করে দেয়।
৪. প্রাণীদের শ্বসনের সময় অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের আদান-প্রদান ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংঘটিত হয়।
৫. প্রাণীদের রক্ত থেকে খাদ্য অক্সিজেন প্রভৃতির লসিকায় বহন ও লসিকা থেকে কোষে পরিবহন ব্যাপন দ্বারা সম্পন্ন হয়।
