Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

বাংলা দ্বিতীয়পত্র * ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

বাংলা দ্বতীয়পত্র

Icon

উজ্জ্বল কুমার সাহা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২০, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

প্রভাষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা

সমাস

২০০. ‘‘কানে কানে যে কথা= কানাকানি’’-এ উদাহরণ কোন সমাসের?

√ক. ব্যতিহার বহুব্রীহি খ. অলুক বহুব্রীহি

গ. অব্যয়ীভাব ঘ. সপ্তমী তৎপুরুষ

২০১. কোনটি ‘নিপাতনে সিদ্ধ’ বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদ?

ক. দ্বিপ খ. দীপ √গ. দ্বীপ ঘ. দিপ

২০২. ‘অন্তরীপ’ কোন বহুব্রীহি সমাসের সমস্তপদ?

ক. প্রত্যায়ান্ত বহুব্রীহি √খ. নিপাতনেসিদ্ধ বহুব্রীহি

গ. ব্যাধিকরণ বহুব্রীহি ঘ. সমানাধিকরণ বহুব্রীহি

২০৩. দ্বিগু সমাস নিষ্পন্ন পদটি কোন পদ হয়?

√ক. বিশেষ্য খ. বিশেষণ গ. সর্বনাম ঘ. কৃদন্ত

২০৪. ‘প্রতিনিধি’ অর্থে অব্যয়ীভাব সমাসের সমস্যমানপদ কোনটি?

ক. প্রত্যুত্তর √খ. প্রতিচ্ছবি গ. প্রতিবাদ ঘ. প্রতিপক্ষ

২০৫. কোনটি প্রাদি সমাসের উদাহরণ?

ক. গৃহস্থ খ. ছা-পোষা

গ. উপকূল √ঘ. প্রগতি

২০৬. কোনটি অব্যয়ীভাব সমাস?

ক. পরিভ্রমণ খ. প্রভাব গ. অতিমানব √ঘ. উদ্বেল

উপসর্গ

২০৭. উপসর্গের কাজ কী?

ক. বর্ণ সংস্করণ খ. যতি সংস্থাপন

√গ. নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠন

ঘ. ভাবের পার্থক্য নিরূপণ

২০৮. কোনটির অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে?

ক. শব্দ বিভক্তি খ. ক্রিয়া বিভক্তি

√গ. উপসর্গ ঘ. অনুসর্গ

২০৯. খাঁটি বাংলা উপসর্গ কয়টি?

ক. ২০ টি √খ. ২১ টি গ. ২২ টি ঘ. ২৫ টি

২১০. কোন গুচ্ছের সব কয়টি উপসর্গই খাঁটি বাংলা?

ক. আ, সু, অব, আড় খ. ফি, নি, বি, সু

√গ. অজ, অনা, আন, ইতি, পাতি

ঘ. কু, বি, প্র, নি

২১১. ‘‘আমি অবেলাতে দিলাম পাড়ি অথৈ সায়রে’’-এখানে ‘অ’ কোন উপসর্গ?

ক. সংস্কৃত √খ. খাঁটি বাংলা গ. বিদেশি ঘ. খাঁটি বাংলা ও সংস্কৃত

২১২. তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ কয়টি?

ক. ১৯ টি √খ. ২০ টি গ. ২১ টি ঘ. ২২ টি

২১৩. ‘নিদাঘ’ শব্দে ‘নি’ উপসর্গ কী অর্থদ্যোতনার সৃষ্টি করেছে?

ক. গভীর খ. না গ. অল্পতা √ঘ. আতিশয্যা

২১৪. ‘বিজ্ঞান’ শব্দে ‘বি’ উপসর্গ কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?

√ক. বিশেষ খ. অভাব

গ. গতি ঘ. সাধারণ

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

মো. মুজাম্মেল হক

সিনিয়র শিক্ষক,

মিরপুর বাংলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা

প্রথম অধ্যায়

অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

২০। “নিফাক জঘন্যতম পাপ”- বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর : অন্তরে কুফর ও অবাধ্যতা গোপন করে মুখে ইসলামকে স্বীকার করার নাম হল নিফাক। নিফাক একটি মারাত্মক পাপ। এটি মানুষের চরিত্র ও নৈতিকতা ধ্বংস করে দেয়। পার্থিব লোভ-লালসা ও স্বার্থরক্ষায় মুনাফিকরা মানুষের অকল্যাণ করতেও পিছপা হয় না। তারা পরনিন্দা ও পরচর্চা করে। ফলে সমাজে সন্দেহ ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। মুনাফিকরা ভিতরে এক আর বাইরে অন্য রকম হওয়ায় লোকজন তাদের বিশ্বাস করে না। বরং সন্দেহ ও ঘৃণার চোখে দেখে। সমাজের মানুষের নিকট তারা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে জীবন কাটায়। তাই বলা যায়, নিফাক জঘন্যতম পাপ।

২১। রিসালাত বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : রিসালাত শব্দের অর্থ বার্তা, বাণী, পয়গাম, চিঠি বা সংবাদ পৌঁছান, কোনো ভালো কাজের দায়িত্ব বহন করা। ইসলামি পরিভাষায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকে পৃথিবীর মানুষের কাছে তার হিদায়াত বা পথ নির্দেশনা এবং আদেশ-নিষেধ, বিধি-বিধান, প্রভৃতি অবিকল পৌঁছে দেয়ার নাম রিসালাত। সংক্ষেপে বলা যায় আল্লাহ পাকের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়াকে রিসালাত বলে।

২২। রিসালাতের বিশ্বাস করতে হবে কেন?

উত্তর : মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্বকে রিসালাত বলা হয়। ইসলামি জীবন দর্শনে রিসালাতে বিশ্বাস স্থাপন করা অপরিহার্য। তাওহিদে বিশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক মুমিন ও মুসলিমকেই রিসালাতে বিশ্বাস করতে হয়। ইসলামের মূলবাণী কালিমা তায়্যিবাতে এ বিষয়টি সুন্দরভাবে বিবৃত হয়েছে। এ কালিমার প্রথমাংশে (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অর্থ- আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই) দ্বারা তাওহিদের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আর সঙ্গে সঙ্গে দ্বিতীয়াংশ (মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ : অর্থ মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল) দ্বারা রিসালাতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সুতরাং তাওহিদে বিশ্বাস স্থাপনের ন্যায় রিসালাতেও বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।

২৩। নবুয়তের ধারা বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : নবুয়তের ধারা বলতে পৃথিবীতে নবী-রাসূল আগমনের ক্রমধারা বোঝায়। এ পৃথিবীতে সর্বপ্রথম নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে নবী-রাসূল আগমনের সূচনা হয়েছে এবং সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে তা সমাপ্ত হয়েছে। এ দুই জনের মাঝে অসংখ্য নবী-রাসূল এসেছেন। আর প্রথম নবী থেকে শেষ নবী পর্যন্ত ক্রমধারাকেই রিসালাত বা নবুয়তের ধারা বলা হয়।

২৪। খতমে নবুয়ত বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : খাতামুন অর্থ শেষ, সমাপ্তি, আর নবুয়ত হল নবীগণের দায়িত্ব। সুতরাং খতমে নবুয়তের অর্থ নবুয়তের সমাপ্তি। আর যার মাধ্যমে নবুয়তের ধারার সমাপ্তি ঘটে তিনি হলেন খাতামুন নাবিয়্যিন বা সর্বশেষ নবী। সর্বপ্রথম মানুষ ও নবী হজরত আদম (আ.)-এর মাধ্যমে নবী-রাসূল আগমনের যে ধারা সূচিত হয়েছে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে সে ধারার চিরস্থায়ী সমাপ্তির নামই খতমে নবুয়ত।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম