এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্র
ড. সনজিত পাল
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ
আমি কিংবদন্তির কথা বলছি
-আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ উচ্চারণ করেছেন ঐতিহ্যসচেতন শিকড়সন্ধানী মানুষের সর্বাঙ্গীন মুক্তির দৃপ্ত ঘোষণা। এ কবিতা রচনার প্রেক্ষাপটে আছে বাঙালি সংস্কৃতির হাজার বছরের ইতিহাস; এ জাতির সংগ্রাম, বিজয় ও মানবিক উদ্ভাসনের অনিন্দ্য অনুষঙ্গগুলো। কবি এ কবিতায় বারবার মানবমুক্তির আকাঙ্ক্ষায় সোচ্চার হয়েছেন। কবি তার পূর্ব পুরুষের সাহসী ও গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের কথা উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে নিজের বক্তব্যকে এগিয়ে নিয়েছেন। কবির বর্ণিত এই ইতিহাস মাটির কাছাকাছি মানুষের ইতিহাস; বাংলার ভূমিজীবী অনার্য ক্রীতদাসের লড়াই করে টিকে থাকার ইতিহাস। পরাধীন অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য কবি ‘কবিতা’ ও আত্মসত্যকে অভেদ কল্পনা করেছেন। মা, বোন, ভাই ও পরিবারের প্রসঙ্গ টেনে কবি ‘কবিতা’কে মুক্তির প্রতীকী অস্ত্র করেছেন। কবি আপন সৌকর্য ও কাব্যিক অলঙ্কার দ্বারা এ কবিতায় অতীত ইতিহাসের সঙ্গে বাঙালির মুক্তির সংগ্রামকে যুক্ত করে কবিতা ও স্বাধীনতার আবেগকে একত্রে শিল্পরূপ দান করেছেন। কবির হাতে এ কবিতা হয়ে উঠেছে বাঙালির জীবনালেখ্যর গভীরতা সঞ্চারী চিত্রকল্প।
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতাটি পড়ার সময় যে দিকগুলো ভালো করে খেয়াল করতে হবে:
‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় কবি বাঙালি সত্তার অতীত ঐতিহ্যের সঙ্গে লড়াই, সংগ্রাম ও হার না মানা বীরত্বের জয়গান তুলে ধরেছেন। এ কবিতায় কবির মুক্তির অস্ত্র হচ্ছে ‘কবিতা’ নামক শব্দকল্প। কবি বাঙালির জাতীয় জীবনের মুক্তির আকাঙ্ক্ষা অতীত ইতিহাস থেকে বর্তমান পর্যন্ত ‘কবিতা’ নামক শব্দকল্পের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। কবিতাটির শাব্দিক অর্থের চেয়ে ভাবার্থ মুক্তির আকাঙ্ক্ষা প্রকাশে বেশি কার্যকর। কবি ‘কবিতা’ শব্দের ব্যবহারে বাঙালির অতীতকে কীভাবে যুক্ত করেছেন? কেন যুক্ত করেছেন- তা সঠিকভাবে বুঝতে হবে। কবিতায় কতগুলো বিশেষ শব্দের একাধিক ব্যবহার অর্থ ভাবার্থে প্রয়োগ করতে হবে। কবি নিজের আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে কোথায় তার পূর্ববর্তী পুরুষের কথা বলেছেন, কোথায় নিজের পরবর্তী প্রজন্মের কথা বলেছেন, কেন বলেছেন - তা জানতে হবে। কবিতার সঙ্গে যুক্ত বাংলার গ্রামীণ কৃষি পরিবেশের নানা উপাদানের সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। কবিতার কবির দেশপ্রেমের স্বরূপ উপলব্ধি করতে হবে।
অনুধাবন প্রশ্ন
১. পূর্বপুরুষের পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত ছিল কেন?
২. কবি কেন সূর্যকে হৃৎপিণ্ডে ধরে রাখতে বলেছেন?
৩. যে কবিতা শুনতে জানে না সে কেন ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে?
৪. সশস্ত্র সুন্দরের অনিবার্য অভ্যুত্থানই কবিতা- ব্যাখ্যা কর।
৫. আমি কিংবদন্তির কথা বলছি- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
৬. বিচলিত স্নেহের কথা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
৭. জননীর আশীর্বাদ কাকে দীর্ঘায়ু করবে- ব্যাখ্যা কর।
৮. পূর্বপুরুষ কেন কবি ও কবিতার কথা বলতেন?
৯. ইস্পাতের তরবারি কাকে এবং কেন সশস্ত্র করবে? বর্ণনা দাও।
১০. ‘ভালোবাসা না দিলে মা মরে যায়’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?
১১. ‘রক্তজবার মতো প্রতিরোধ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১২. ‘কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা’- ব্যাখ্যা কর।
১৩. কবিতা না শোনা ব্যক্তি ভালোবেসে যুদ্ধে যেতে পারে না কেন?
১৪. ‘যে মৎস্য লালন করে প্রবহমান নদী তাকে পুরস্কৃত করবে’- ব্যাখ্যা কর।
১৫. অতিক্রান্ত পাহাড় বলতে কী বোঝানো হয়েছে? বর্ণনা কর।
১৬. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ ব্যাখ্যা কর।
১৭. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় রক্তজবার প্রতীকী তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
১৮. কবিতা না শোনা মানুষকে শস্যহীন প্রান্তর পরিহাস করবে কেন?
১৯. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ঝড়ের আর্তনাদ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
২০. পূর্বপুরুষ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
২১. ‘মায়ের ছেলেরা চলে যায়’- কোথায় এবং কেন?
২২. কবিতা না শোনা মানুষ আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে কেন?
২৩. যারা কবিতা শুনতে জানে না তারা মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনতে পারে না কেন?
২৪.‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় পূর্বপুরুষদের ক্রীতদাস বলার কারণ বর্ণনা কর।
২৫. বাঙালিরা মুক্তির পথকে সুগম করবে কীভাবে?
২৬. ‘জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি মুক্ত শব্দ কবিতা’- ব্যাখ্যা কর।
২৭. মায়ের ছেলেরা যুদ্ধে যায় কেন?
২৮. কবি দীর্ঘদেহ পুত্রদের যুদ্ধে আহ্বান করেছেন কেন?
২৯. কবিতা না শোনা মানুষ মাছের সঙ্গে খেলা করতে পারে না কেন?
৩০. ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায় ‘স্বাধীনতা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
