পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা * ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
বাংলা
সবুজ চৌধুরী
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সহকারী শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা
অপেক্ষা
সমার্থক শব্দ লেখ/ শব্দার্থ লেখ ।
মুক্তিযোদ্ধা - মুক্তিসেনা দরজা - দ্বার
খুকুমনি - সোনামনি অপেক্ষা - সবুর
ঘোরতর - প্রচণ্ড যুদ্ধ - সংগ্রাম
চারদিক- চারপাশ বোন - ভগিনী
রাত - রাত্রি শব্দ - আওয়াজ
বর্ষা - বৃষ্টি হাত - হস্ত
নৌকা - নাও আবার - পুনরায়
গপগপিয়ে - তাড়াতাড়ি আবেগ - আকর্ষণ
আক্রমণ - হানা ভাত - অন্ন
মা - মাতা ধড়মড়িয়ে - তাড়াতাড়ি
জ্যোৎস্না - জোছনা
বৃষ্টি - বর্ষা লাকড়ি - জ্বালানি
দরকার - প্রয়োজন রান্না - রাঁধা
অন্যের - নিজের আগুন - অগ্নি
জ্ঞান - চেতনা নিশ্চুপ - নীরব
গ্রাম - গাঁ বাব - পিতা
রক্ত - রুধির বাজার - হাট
নদী - স্রোতস্বিনী দোকান - বিপণি
শরীর - গা রাজি - সম্মত
মিলিটারি - সৈন্য উত্তেজিত - আলোড়িত
সংগ্রাম - যুদ্ধ মুক্তি - স্বাধীনতা
রেডিও - বেতার খবর - সংবাদ
আমগাছ - আম্রবৃক্ষ মধ্যরাত - গভীর রাত
হইচই - গণ্ডগোল অবাক - বিষ্ময়
বারান্দা - রোয়া খুশি - আনন্দ
বুদ্ধি - জ্ঞান হাঁড়ি - কলসি
কপাল - ললাট আকাশ - গগন
বোল - মুকুল উদগ্রীব - ব্যাকুল
খুশবু - সুগন্ধ গাছ - বৃক্ষ
ট্রেনিং - প্রশিক্ষণ ভাব - ভালোবাসা
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
মো. ফোরকান আহমেদ
সহকারী শিক্ষক
মুনলাইট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভোলা
আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ
প্রশ্ন : কী কী উপায়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়?
উত্তর : স্বদেশ বা জন্মভূমিকে ভালোবাসাকে বলা হয় দেশপ্রেম। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। আমরা আমাদের দেশকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি। যেসব উপায়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়। সেগুলো হল-
* দেশের সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করব। * কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করব। * গৃহপালিত পশুপাখির যত্ন নেব, তাদের কোনো কষ্ট দেব না। * বৃক্ষরোপণ করব, ফলমূলের গাছ লাগাব, গাছ নষ্ট করব না, অযথা পাতা ছিঁড়ব না, ডাল ভাঙব না। * বেঞ্চে, দেয়ালে বা অন্য কোথায়ও আজেবাজে কিছু লিখব না। সবকিছু পরিচ্ছন্ন রাখব, সংরক্ষণ করব।
* পানি, বিদ্যুৎ গ্যাস অপচয় করব না। জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব। * দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষকে ভালোবাসব। সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
প্রশ্ন : মহানবী (সা.)-এর জীবনের ক্ষমার একটি আদর্শ কাহিনী উল্লেখ কর।
উত্তর : ক্ষমা আল্লাহ তায়ালার একটি বিশেষ গুণ। যার মন উদার, মানুষের জন্য যার দয়ামায়া বেশি, যে রাগ দমন করতে পারে, সেই ক্ষমাশীল ব্যক্তি। ক্ষমা মানুষের একটি নৈতিক দায়িত্ব। ক্ষমাশীল ব্যক্তিকে সবাই ভালোবাসে এবং আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। আমাদের মহানবী (সা.)-এর জীবনই ছিল ক্ষমার উজ্জ্বল আদর্শ। তিনি ছিলেন মানব জাতির পরম বন্ধু। কাফেররা নির্মম অত্যাচার করে তাঁকে মক্কা ছাড়তে বাধ্য করল। তিনি আল্লাহর নির্দেশে তায়েফ গমন করলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পালিত পুত্র যায়িদ (রা.)। তায়েফবাসী তাঁর ইসলাম প্রচার শুনল না। তারা তাঁকে লাঞ্ছিত করল। তারা পাথরের আঘাতে তাঁকে এবং যায়িদকে (রা.) রক্তাক্ত করল। আল্লাহর রহমতে তাঁরা দু’জনে রক্তাক্ত অবস্থায় তায়েফ থেকে চলে গেলেন। কিন্তু তবুও দয়ার নবী (সা.) তায়েফবাসীদের জন্য বদদোয়া করলেন না। তিনি আল্লাহর কাছে এ দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! তারা অবুঝ, তারা কিছুই বোঝে না। তুমি তাদের ক্ষমা কর।
