পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক বিজ্ঞান * ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
প্রাথমিক বিজ্ঞান
আফরোজা বেগম
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা
মহাবিশ্ব
সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
প্রশ্ন-১ : পৃথিবীর দুই ধরনের গতি কী কী?
উত্তর : পৃথিবীর দুই ধরনের গতি আছে।
যথা : * আহ্নিক গতি
* বার্ষিক গতি
প্রশ্ন-২ : দিন ও রাত কী কারণে হয়?
উত্তর : দিন ও রাত আহ্নিক গতির কারণে হয়। পৃথিবীর আপন কক্ষে একটি পাক খাওয়ার ফলে আহ্নিক গতির সৃষ্টি হয়। আর এই আহ্নিক গতির ফলেই একই সময়ে পৃথিবীর এক অংশে আলো পড়ে ও দিন হয় এবং অপর অংশে আলো পড়ে না। তাই সেখানে রাত হয়।
সুতরাং, আহ্নিক গতির জন্যই পৃথিবীতে দিন ও রাত হয়।
প্রশ্ন-৩ : চাঁদের বিভিন্ন দশার কারণ কী?
উত্তর : চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। ইহার নিজস্ব কোনো আলো নেই। চাঁদ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। চাঁদের অর্ধাংশ সূর্যের আলোতে সব সময়ই আলোকিত। কিন্তু পৃথিবীকে আবর্তনের সময় পৃথিবীর দিকে মুখ করা চাঁদের আলোকিত অংশের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। ফলে চাঁদের বিভিন্ন দশার সৃষ্টি হয়।
প্রশ-৪ : গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : গ্রহ, উপগ্রহের মধ্যে কিছু পার্থক্য আছে।
প্রশ্ন-৫ : গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় কেন?
উত্তর : যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে সে অংশে তখন গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় কারণ এ সময় সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ফলে দিনের সময়কাল দীর্ঘ হয় ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
মো. ফোরকান আহমেদ
সহকারী শিক্ষক,
মুনলাইট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ
আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ
[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]
প্রশ্ন : হজরত ওমর (রা.)-এর সততার পরিচয় দাও।
উত্তর : সততা মানে সাধুতা, মানবতা, সত্যবাদিতা। যার মধ্যে সততা আছে তাকে সৎ ব্যক্তি বলা হয়। সৎ ব্যক্তি ন্যায়নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রাখে। তার মধ্যে মানবতাবোধ থাকে। সে সর্বদা সত্য কথা বলে এবং মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে। নিচের একটি ঘটনার আলোকে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.)-এর সততার পরিচয় তুলে ধরা হল- এক রাতে ওমর (রা.) মদিনার পথে ঘুরতে ঘুরতে একটি কুড়ে ঘরের কাছে এলেন। ওই ঘরে এক দারিদ্র্য মা ও তার মেয়ে বসবাস করতেন। তিনি মা ও মেয়ের কথাবার্তা শুনতে পেলেন। দুধ বিক্রি করে তাদের সংসার চলত। মা তার মেয়েকে সকালে দুধের সঙ্গে পানি মিশিয়ে দুধের পরিমাণ বাড়াতে বললেন। মেয়েটি তার মায়ের কথা শুনে অনুরোধ করে বললেন, মা এটা অন্যায় কাজ। যদি খলিফা এ অন্যায় জানতে পারেন তাহলে কঠিন শাস্তি দেবেন। মা বললেন, এই কাজ তো খলিফা বা তার লোকজন দেখতে পারবে না। জানতেও পারবে না। মেয়েটি তার মাকে বলল, খলিফা ওমর বা তার লোকজন এ অন্যায় না দেখলেও স্বয়ং আল্লাহ তো সবকিছু দেখেছেন। তাঁর চোখ কেউ ফাঁকি দিতে পারবে না। তিনি সবকিছু দেখেন ও শোনেন। হজরত ওমর (রা.) মা ও মেয়ের সব কথাবার্তা শুনে বাড়িতে ফিরে গেলেন। তিনি মেয়েটির সততায় খুশি হলেন ও মুগ্ধ হলেন। তিনি তার যোগ্য ও স্নেহের পুত্রের সঙ্গে ওই দরিদ্র মহিলার সৎ কন্যার বিয়ে দিলেন।
প্রশ্ন : মহানবী (সা.) চাকরদের সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : পৃথিবীতে কোনো কাজই তুচ্ছ নয়। তাই কোনো কাজের লোকও তুচ্ছ নয়। আমরা বাসার কাজের লোকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করব। কাজের লোকজন বয়সে বড় হলে তাদের সালাম দেব। সম্মান করব। মর্যাদা দেব। আর বয়সে ছোট হলে তাদের আদর করব। যত্ন নেব। নিজেরা যা খাব তাদেরও তাই খেতে দেব। তাদের কাজে সাহায্য করব। তাদের কোনো কষ্ট দেব না, তাদের কোনো দুঃখ দেব না। নিজে যা পরিধান করব তাদেরও তা পরতে দেব। তাদের শ্রমের মর্যাদা দেব।
