এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি
জীববিজ্ঞান * ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা * বাংলা
জীববিজ্ঞান
মো. বদরুল ইসলাম
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২০, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সহকারী শিক্ষক, গভর্নমেন্ট সায়েন্স হাইস্কুল তেজগাঁও, ঢাকা
খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক
[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]
৪৮। সেলুলোজ ও রাফেজ কোন ধরনের শর্করা?
উত্তর : জটিল
৪৯। খাদ্যআঁশ উদ্ভিদের কী তৈরি করে?
উত্তর : কাঠামো
৫০। সুষম খাদ্যে আমিষ, চর্বি ও শর্করার অনুপাত কত?
উত্তর : ৪ : ১ : ১
৫১। একজন পূর্ণবয়স্ক পরিশ্রমহীন পুরুষের দৈনিক কত গ্রাম মাছ বা মাংস খাওয়া উচিত?
উত্তর : ৩০ গ্রাম
৫২। ডিমের প্রতি ১০০ গ্রামে কী পরিমাণ চর্বি থাকে?
উত্তর : ১৩.৩ গ্রাম
৫৩। একজন পূর্ণবয়স্ক পরিশ্রমী মহিলার প্রতিদিনের সুষম খাদ্য তালিকায় কত গ্রাম পরিমাণ দুধ থাকা দরকার?
উত্তর : ২০০ গ্রাম
৫৪। প্রতি ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে অমিষের পুষ্টিমান কত?
উত্তর : ২১.৮ গ্রাম
৫৫। দৈনিক কত গ্লাস পানি পান করা উচিত?
উত্তর : ৭-৮ গ্লাস
৫৬। চালে শতকরা কত ভাগ শর্করা থাকে?
উত্তর : ৭৯ ভাগ
৫৭। মসুর ডালে আমিষের পরিমাণ কত? উত্তর : ২৪.১%
৫৮। ১ গ্রাম চর্বি থেকে কত ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়?
উত্তর : ৯ ক্যালরি
৫৯। আয়োডিনের অভাবে কোন গ্রন্থি ফুলে যায়?
উত্তর : থাইরয়েড
৬০। কোন ভিটামিনের অভাবে রিকেটস রোগ হয়?
উত্তর : ভিটামিন ডি
৬১। কোন ভিটামিনের অভাবে রক্তশূন্যতা রোগ হয়?
উত্তর : ভিটামিন-বি১২
৬২। গলগণ্ড রোগ কয় প্রকার? উত্তর : ২ প্রকার
৬৩। অতিমাত্রায় থাইরক্সিন হরমোন নিঃসরণের ফলে কী হয়? উত্তর : টক্সিক গলগণ্ড
৬৪। মৌলবিপাক শক্তি কাকে বলে?
উত্তর : বিশ্রামরত অবস্থায় যে শক্তি ব্যয় হয় তাকে মৌলবিপাক শক্তি বলে।
৬৫। ১৫ কিলোক্যালরি =কত জুল? উত্তর : ৬২,৭০০ জুল
৬৬। খাদ্য গ্রহণে আমাদের শরীর কত শতাংশ শক্তি পায়?
উত্তর : ১০-২০%
৬৭। আমাদের শরীরের কতভাগ শক্তির উৎপাদন বিএমআর নিয়ন্ত্রণ করে? উত্তর : ৬০-৭৫ ভাগ
৬৮। বিএমআর-এর পূর্ণ নাম কী?
উত্তর : বেসাল মেটাবলিক রেট
৬৯। শিমে কত কিলোক্যালরি শক্তি আছে? উত্তর : ৯৬
৭০। মোটা হওয়ার প্রথম স্তরে বিএমআই-এর মান কত?
উত্তর : ৩০-৩৪.৯
৭১। বিএমআই-এর মান কত হলে সুস্বাস্থ্য নির্দেশ করে?
উত্তর : ১৮.৫-২৪.৯
৭২। বাণিজ্যিক রং কোন অঙ্গের কার্যকারিতা নষ্ট করে?
উত্তর : যকৃৎ
ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা
মো. মুজাম্মেল হক
সিনিয়র শিক্ষক, মিরপুর বাংলা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা
১ম অধ্যায় : সৃজনশীল
প্রশ্ন : উসমান সাহেব তার বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় সিমেন্ট, বালি ও সুরকির প্রথম মিশ্রণের সঙ্গে সোনা-রুপা ও তাবিজের ভর্তি একটি পোঁটলা রেখে বললেন, ‘ইহা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাড়িটি রক্ষা করবে’।
ক. ইমানের বিপরীত শব্দ কী? ১
খ. ইসলামকে কেন পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয়? ২
গ. উসমান সাহেবের কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে কী রূপ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উসমান সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণতি কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ কর। ৪
উত্তর-ক : ইমানের বিপরীত শব্দ কুফর।
উত্তর-খ : ইসলাম হল আল্লাহতায়ালার প্রবর্তিত ধর্ম বা জীবন বিধান। এটি মানবজাতির জন্য আল্লাহতায়ালার একটি বিশেষ নিয়ামত। মানবজীবনের সব বিষয় ও সমস্যার পরিপূর্ণ সমাধানের দিকনির্দেশনা ইসলামে রয়েছে। ব্যক্তিগত পারিবারিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সব বিষয়ই ইসলামে যথাযথভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এমনকি মানুষের মৃত্যুর পরবর্তী জীবন বা পরকালের অবস্থার বর্ণনাও ইসলামে রয়েছে। তাই ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা বলা হয়।
উত্তর-গ : উসমান সাহেবের কাজটি ইসলামের দৃষ্টিতে শিরক। এটি ইমান ও ইসলামবিরোধী কাজ এবং সুস্পষ্ট শিরক। কারণ কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর এতটুকু ক্ষমতা নেই যে নিজেকে বা অন্যকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। এ ক্ষমতা কেবল সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার। মানুষকেই তাই কেবল আল্লাহর কাছে চাইতে হবে। অন্য কারও কাছে কিছু চাওয়া বা অন্য কাউকে আল্লাহর ক্ষমতার অংশীদার করা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
উসমান সাহেব বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় সিমেন্ট বালি ও সুরকির প্রথম মিশ্রণের সঙ্গে সোনা, রুপা ও তাবিজের পোঁটলা রেখে এ গর্হিত কাজটি করেছেন। তার কাজটির মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতাহীন এই জড় পদার্থগুলোকে মহান আল্লাহর অসীম ক্ষমতার অংশীদার করে নিয়েছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে তা শিরক। আল্লাহতায়ালা এ ধরনের কাজকে কখনও মেনে নেন না এবং ক্ষমা করেন না। পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সঙ্গে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এতদ্ব্যতীত যে কোনো পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। (সূরা আন নিসা, আয়াত ৪৮)
উসমান সাহেবের কাজটি শিরকের অন্তর্ভুক্ত হওয়া তার আন্তরিকভাবে কৃতকর্মের জন্য তওবা করা উচিত।
উত্তর-ঘ : উসমান সাহেবের কর্মকাণ্ডের পরিণতি হচ্ছে জাহান্নাম। উসমান সাহেব বাড়ির কাজ শুরু সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষাকারীর হিসেবে সোনা-রুপা ও তাবিজের পোঁটলা রাখার যে গর্হিত কাজ করেছেন ইসলামের দৃষ্টিতে তা শিরক। শিরক গুরুতর অপরাধ এবং এটা চরম জুলুম। কোরআন মজিদে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম। (সূরা লুকমান, আয়াত ১৩) বান্ধা আল্লাহর সঙ্গে শিরক করলে এবং আল্লাহর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব ও আধিপত্যের মধ্যে কাউকে শরিক করলে আল্লাহ তা ক্ষমা করেন না। আল্লাহতায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সঙ্গে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এতদ্ব্যতীত যে কোনো পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। (সূরা আন নিসা, আয়াত ৪৮) যে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে তার ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। এ প্রসঙ্গে কোরআন মজিদে এরশাদ হয়েছে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শরিক করলে তার জন্য জান্নাত অবশ্যই হারাম করবেন এবং তার আবাস হবে জাহান্নাম। জালিমের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই। (সূরা মায়িদা আয়াত ৭২) শিরক সম্পর্কে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে মহানবী (সা.) বলেছেন, যদি তোমাকে হত্যা করা হয় এবং জ্বালিয়ে দেয়া হয় তারপরও আল্লাহর সঙ্গে তুমি কাউকে শরিক করবে না।
শিরক যে অমার্জনীয় অপরাধ শুধু তাই নয় বরং এতে আল্লাহর সেরা সৃষ্টি মানুষের অমর্যাদাও করা হয়। মানুষকে আল্লাহপাক তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর অন্য সবকিছুই সৃষ্টি করেছেন মানুষের উপকারের জন্য। মানুষকে এমন সব গুণ দেয়া হয়েছে যা দ্বারা সে অন্য সব সৃষ্টিকে বশে এনে নিজের কাজে ব্যবহার করতে সক্ষম। কিন্তু মুশরিক ওইসবের সামনে মাথা নত করে। এভাবে নিজের মর্যাদাহানির জন্য সে নিজেই দায়ী। শিরকের মাধ্যমে মানব সমাজে বিবাদ ও বিভেদ সৃষ্টি হয়। বড় ছোট এর পার্থক্য সৃষ্টি হয়। মুশরিক নানারকম জড় পদার্থ ও দেবদেবী প্রতিমা, প্রাকৃতিক শক্তির সামনে মাথা নত করে। এ হচ্ছে মানবতার চরম অবমাননা।
সুতরাং বলা যায়, উসমান সাহেব অমার্জনীয় অপরাধ শিরক করেছেন এর পরিণতি জাহান্নাম।
বাংলা দ্বিতীয়পত্র
উজ্জ্বল কুমার সাহা
প্রভাষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা
অনুজ্ঞা
[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]
৩৫১. অনুরোধ অর্থে অনুজ্ঞার ব্যবহার কোনটি?
ক. চুপ কর খ. মিথ্যা বলিবে না
√গ. একটি গান শোনাও ঘ. মন দিয়ে পড়
৩৫২. “ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন”- কোন অর্থে অনুজ্ঞার ব্যবহার হয়েছে?
ক. আদেশ খ. উপদেশ
√গ. প্রার্থনা ঘ. অনুরোধ
৩৫৩. অনুজ্ঞায় বাক্য গঠনে “সদা সত্য কথা বলবে” কিসের উদাহরণ?
ক. অনুরোধের √খ. আদেশের
গ. বিধানের ঘ. সম্ভাবনার
৩৫৪. “রোগ হলে ওষুধ খাবে”-ভবিষ্যৎ কালের অনুজ্ঞায় কোন অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে?
√ক. বিধান খ. আদেশ
গ. অনুরোধ ঘ. অনুনয়
৩৫৫. “কাল একবার এসো”- নিচের কোনটির উদাহরণ?
ক. বর্তমান অনুজ্ঞা খ. ঘটমান বর্তমান
গ. নিত্যবৃত্ত বর্তমান √ঘ. ভবিষ্যৎ অনুজ্ঞা
৩৫৬. ‘অনুরোধ’ অর্থে অনুজ্ঞার উদাহরণ কোনটি?
√ক. কাল একবার এসো খ. সত্য কথা বলবে
গ. কাজটি করে ফেল
ঘ. আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন
ক্রিয়া বিভক্তি : সাধু ও চলিত
৩৫৭. ধাতুর পরে যেসব বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়, তাদেরকে বলে-
ক. অনুসর্গ খ. প্রত্যয়
√গ. ক্রিয়া-বিভক্তি ঘ. কৃৎপ্রত্যয়
৩৫৮. কোন ক্ষেত্রে ক্রিয়া বিভক্তির পার্থক্য হয় না?
ক. কালভেদে খ. পুরুষভেদে
গ. বাচ্যভেদে √ঘ. বচনভেদে
৩৫৯. ‘গণ’ শব্দের অর্থ কী?
ক. গুচ্ছ √খ. শ্রেণি গ. প্রকার ঘ. দল
৩৬০. ধাতুর ‘গণ’ নির্ণয় করতে কয়টি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হয়?
ক. ৪টি খ. ৩টি √গ. ২টি ঘ. ৫টি
৩৬১. ধাতুর ‘গণ’ বলতে কী বোঝায়?
√ক. ধাতুর বানানের ধরন
খ. ধাতুর গঠন অনুসারে
গ. ক্রিয়া বিভক্তি যোগের নিয়ম
ঘ. ক্রিয়াপদ গঠনের নিয়ম
৩৬২. বাংলাভাষার সমা ধাতুকে কয়টি ‘গণে’ ভাগ করা হয়েছে?
ক. বাইশটি খ. একুশটি √গ. বিশটি ঘ. উনিশটি
৩৬৩. ছিটা, শিখা, ঝিমা, চিরা ধাতুগুলো কোন আদিগণভুক্ত?
ক. ঘুরা খ. নি গ. লাফা √ঘ. ফিরা
৩৬৪. ‘ঘুরা’- এর আদি গণ কোনটি?
ক. ঝিমা খ. খোঁচা
√গ. উঁচা ঘ. দৌড়া
৩৬৫. ‘কর’ ধাতুর উত্তম পুরুষ পুরাঘটিত অতীতে চলিত রূপ কোনটি?
ক. করতাম খ. করিয়াছিলাম
গ. করিলাম √ঘ. করেছিলাম
কারক ও বিভক্তি এবং সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ
৩৬৬. ‘কারক’ [কৃ + অক] শব্দটির অর্থ কী?
ক. যা পদকে সম্পাদন করে
খ. যা সমাসকে সম্পাদন করে
√গ. যা ক্রিয়া সম্পাদন করে
ঘ. যা পদ ও সমাসকে সম্পাদন করে
৩৬৭. বাক্যের প্রতিটি শব্দের সঙ্গে অন্বয় সাধনের জন্য যে সব বর্ণ যুক্ত হয় তাদেরকে কী বলে?
√ক. সমাস খ. কারক
গ. বিভক্তি ঘ. সম্বন্ধ পদ
৩৬৮. একবচন ও ব√বচনভেদে বিভক্তিগুলোর কী ধরনের পার্থক্য দেখা যায়?
ক. উচ্চারণগত খ. অর্থগত
গ. অবস্থানগত √ঘ. আকৃতিগত
৩৬৯. “বাঘে-মহিষে এক ঘাটে জল খায়”।-‘বাঘে-মহিষে’ কর্তাকারকের প্রকারভেদে কোন কর্তার উদাহরণ?
ক. মুখ্য কর্তা খ. প্রযোজ্য কর্তা
√গ. ব্যতিহার কর্তা ঘ. ভাববাচ্যের কর্তা
৩৭০. “রাজায় রাজায় লড়াই, উলুখাগড়ার প্রাণান্ত”- কোন প্রকারের কর্তার উদাহরণ?
ক. ভাববাচ্যের √খ. ব্যতিহার
গ. কর্মবাচ্যের কর্তা ঘ. কর্মকর্তৃবাচ্যের
৩৭১. গুণহীন চিরদিন থাকে পরাধীন- নিুরেখ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
√ক. কর্তৃকারকে শূন্য খ. কর্মকারকে শূন্য
গ. করণ কারকে শূন্য
ঘ. অপাদান কারকে শূন্য
