Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পড়াশোনা

বাংলা * বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

বাংলা

Icon

সবুজ চৌধুরী

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সহকারী শিক্ষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা

শব্দদূষণ

বিপরীত শব্দ

শব্দ - নিঃশব্দ দিন - রাত

শোনা - দেখা ভোর - সাঁঝ

নিশিরাত - মধ্যদুপুর জোরে - আস্তে

শহর - গ্রাম পাতিকাক - দাঁড়কাক

ঘুম - জাগরণ মুশকিল - আসান

দরজা - জানালা গলিপথ - রাজপথ

পল্লী - শহর জীবন - মৃত্যু

সমার্থক শব্দ/ শব্দার্থ

গরু - ধেনু শব্দ - আওয়াজ

হাঁস - হংস কবুতর - পায়রা

গাছ - বৃক্ষ পাখি - বিহঙ্গ

দিন - দিবস ভোর - সকাল

দল - ঝাঁক গান - সঙ্গীত

শহর - নগর মুশকিল - সমস্যা

হর্ন - হুইসেল হাঁক - ডাক

কান - কর্ণ গলিপথ - সরুপথ

ফেরিঅলা - দোকানদার ইশকুল - বিদ্যালয়

পল্লী - গ্রাম

এক কথায় প্রকাশ

শব্দ দ্বারা সৃষ্ট দূষণ - শব্দদূষণ

অত্যন্ত গভীর রাত - নিশিরাত

পাখির ডাকের শব্দ - কিচির মিচির

অত্যন্ত ছোট যে কাক - পাতিকাক

গলি পথে হেঁকে যে জিনিসপত্র বিক্রি করে - ফেরিঅলা

স্মরণীয় যাঁরা চিরদিন

বিপরীত শব্দ

জাতীয় - আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ - গুরুত্বহীন

পুরোপুরি - সামান্য বিজয় - পরাজয়

অর্জন - বর্জন মরণপণ - অবহেলা

যুদ্ধ - শান্তি সাহসী - ভীরু

মুক্তিযোদ্ধা - রাজাকার শত্র“ - মিত্র

সাধারণ - অসাধারণ সম্পূর্ণ - আংশিক

মুক্ত - বদ্ধ সশস্ত্র - অস্ত্রহীন

অবরুদ্ধ - অবমুক্ত কর্মকর্তা - কর্মচারী

নারী - পুরুষ স্বাধীনতা - পরাধীনতা

উন্নত - অবনত শির - পদ

কৃতজ্ঞ - অকৃতজ্ঞ মহান - ক্ষুদ্র

নিরস্ত্র - সশস্ত্র ঘুমন্ত - জাগৃত

আবাসিক - বিরান বিরামহীন - বিরাম

পরবর্তী - পূর্ববর্তী মেধাবী - নির্বোধ

পরিকল্পনা - অপরিকল্পনা বরেণ্য - ঘৃণিত

আলোকিত - অন্ধকারাচ্ছন্ন পাষণ্ড - মানবিক

কার্যকর - অকার্যকর প্রচণ্ড - সামান্য

সহযোগিতা - অসহযোগিতা খ্যাতিমান - অখ্যাত

শিক্ষক - ছাত্র নিরহংকার - অহংকার

লেখক - পাঠক প্রখ্যাত - বিখ্যাত

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

আফরোজা বেগম

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ উত্তরা, ঢাকা

জনসংখ্যা

প্রশ্ন : অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগণ কীভাবে উপকৃত হতে পারে?

উত্তর : বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। ধান এ দেশের প্রধান ফসল। কিন্তু, বাংলাদেশের জনসংখ্যা অধিক। তাই কৃষিপ্রধান দেশ হয়েও এ দেশে খাদ্য সংকট ছিল। প্রতিবছর প্রায় ২৫ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার নানাভাবে এই খাদ্য ঘাটতি পূরণে সক্ষম হয়েছে। যেখানে খাদ্য ঘাটতি পূরণের জন্য বাংলাদেশকে প্রতিবছর বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করতে হতো, সেখানে বর্তমান সরকারের সঠিক পদক্ষেপে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। সবার জন্য আমরা খাদ্য উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি।

সরকার নানা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও কারিগরি শিক্ষা ও প্রযুক্তি প্রয়োগ করে নানাভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়েছে। ফলে দেশের সব লোকের প্রধান মৌলিক চাহিদা তথা খাদ্যের চাহিদা পূরণ হয়েছে। ফলে দেশের মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হবে। স্বাস্থ্যহানি ঘটবে না। দেশের কোনো লোক না খেয়ে অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটাবে না। ফলে অনেক সামাজিক অপরাধ ও দারিদ্র্য অনেকটাই কমে আসবে। সমাজের, রাষ্ট্রের জনগণ শান্তিতে থাকবে।

সুতরাং, অধিক খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগণ নানাভাবে উপকৃত হবে।

প্রশ্ন : শ্রমশক্তি রফতানির মাধ্যমে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি?

উত্তর : একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত হলো দক্ষ জনশক্তি। দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমেই মূলধন ও প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা সম্ভব। আমাদের মূলধন কম থাকতে পারে কিন্তু আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদ রয়েছে।

বিশাল জনগোষ্ঠী দেশের বোঝাস্বরূপ। বিশাল জনগোষ্ঠী দেশের নানা উন্নয়ন কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করে। কিন্তু প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীকে যদি দক্ষ করে তোলা যায় তাহলে তা বোঝা না হয়ে দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারে।

তুলনামূলক দক্ষ জনসম্পদ রফতানির মাধ্যমে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ আছে। বিদেশে কর্মরত আছেন আমাদের দেশের নানা পেশার মানুষ। তাদের উপার্জিত অর্থ পরিবারের আর্থিক চাহিদা পূরণ করে দেশের অর্থনীতিকে করেছে সমৃদ্ধ।

প্রবাসীদের পরিবার প্রেরিত অর্থ দিয়ে তাদের জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে ভালো থাকতে পেরেছে।

প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্স জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। ফলে জনসম্পদ বিদেশে রফতানির মাধ্যমে পরিবার ও জাতি উপকৃত হয়েছে।

দক্ষ জনসম্পদ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার ফলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম ও চাহিদা বাড়ছে। বিদেশের মাটিতে রোজগারের একটি শক্ত ভিত তৈরি করতে পেরেছে।

সুতরাং শ্রমশক্তি রফতানির মাধ্যমে একদিকে প্রতিটি পরিবার অন্যদিকে জাতির উপকার হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতা, দক্ষতা ও চাহিদা বাড়ছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম