Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পড়াশোনা

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা * প্রাথমিক বিজ্ঞান

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

Icon

মো. ফোরকান আহমেদ

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০১৮, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সহকারী শিক্ষক

মুনলাইট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ

প্রশ্ন : মানবজাতির আদি পিতা ও আদি মাতা কে কে ছিলেন?

উত্তর : মানবজাতির আদি পিতা হজরত আদম (আ.) ও আদি মাতা ছিলেন হাওয়া (আ.)। আমরা সবাই তাদের সন্তান ও বংশধর।

প্রশ্ন : আমরা কীভাবে মানুষের সেবা করব?

উত্তর : আমরা সমাজে বাস করি। সমাজে ধনী লোক আছে। গরিব লোকও আছে। আছে অভাবী মানুষ। যাদের অর্থ-সম্পদ এবং জমাজমি নেই, থাকলেও খুব কম, তারাই অভাবী ও গরিব। তারা প্রয়োজন মতো খাদ্য পায় না, কাপড় পায় না, থাকার জায়গা পায় না, অসুখ হলে সেবা বা চিকিৎসাও পায় না, কেননা তারা অভাবী বা গরিব। তাদের টাকা-পয়সার অভাব। খাদ্য কেনা, কাপড় কেনা ও ওষুধ কেনার টাকা থাকে না। তাদের জীবন খুবই কষ্টের। আমরা সাধ্যমতো তাদের সবসময় সেবা করব, সাহায্য করব। আল্লাহর এবাদতের পর আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সেবা করা। আমরা বিভিন্নভাবে মানুষের সেবা করব। অসুস্থ ব্যক্তির সেবা-যতœ করব। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দেব। বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান করব। নিরাশ্রয়কে আশ্রয় দেব, দারিদ্র্য ও ভিক্ষুককে সাহায্য করব। বেকার লোকদের কাজের ব্যবস্থা করে দেব। বন্ধুবান্ধব, আÍীয়স্বজন ও প্রতিবেশী বিপদে পড়লে সাহায্য করব- সহযোগিতা করব।

মানুষকে সাহায্য করলে আল্লাহতায়ালা খুশি হন। অভাবী ও দুঃখী মানুষকে সেবা ও সাহায্য করলে তিনি আরও বেশি খুশি হন। কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যারা অভাবী মানুষকে সাহায্য করে না, দুস্থদের সেবা করে না তাদের প্রতি আল্লাহতায়ালা নারাজ হন, অসন্তুষ্ট হন।

প্রশ্ন : কী কী উপায়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়?

উত্তর : স্বদেশ বা জন্মভূমিকে ভালোবাসাকে বলা হয় দেশপ্রেম। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। আমরা আমাদের দেশকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি। যেসব উপায়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়। সেগুলো হল-

দেশের সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করব। কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করব।

* গৃহপালিত পশুপাখির যত্ন নেব, তাদের কোনো কষ্ট দেব না।

* বৃক্ষরোপণ করব, ফলমূলের গাছ লাগাব, গাছ নষ্ট করব না, অযথা পাতা ছিঁড়ব না, ডাল ভাঙব না।

* বেঞ্চে, দেয়ালে বা অন্য কোথাও আজেবাজে কিছু লিখব না। সবকিছু পরিচ্ছন্ন রাখব, সংরক্ষণ করব।

* পানি, বিদ্যুৎ গ্যাস অপচয় করব না। জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব।

* দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষকে ভালোবাসব। সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।

প্রাথমিক বিজ্ঞান

আফরোজা বেগম

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ উত্তরা, ঢাকা

মহাবিশ্ব

প্রশ্ন : দিন ও রাত কী কারণে হয়?

উত্তর : দিন ও রাত আহ্নিক গতির কারণে হয়। পৃথিবীর আপন কক্ষে একটি পাক খাওয়ার ফলে আহ্নিক গতির সৃষ্টি হয়। আর এই আহ্নিক গতির ফলেই একই সময়ে পৃথিবীর এক অংশে আলো পড়ে ও দিন হয় এবং অপর অংশে আলো পড়ে না। তাই সেখানে রাত হয়।

সুতরাং, আহ্নিক গতির জন্যই পৃথিবীতে দিন ও রাত হয়।

প্রশ্ন : চাঁদের বিভিন্ন দশার কারণ কী?

উত্তর : চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ। ইহার নিজস্ব কোনো আলো নেই। চাঁদ সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে। চাঁদের অর্ধাংশ সূর্যের আলোতে সব সময়ই আলোকিত। কিন্তু পৃথিবীকে আবর্তনের সময় পৃথিবীর দিকে মুখ করা চাঁদের আলোকিত অংশের পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়। ফলে চাঁদের বিভিন্ন দশার সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন : গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় কেন?

উত্তর : যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে সে অংশে তখন গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় কারণ এ সময় সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয় ফলে দিনের সময়কাল দীর্ঘ হয় ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।

প্রশ্ন : ঋতু পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : পৃথিবীর নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্ণন এবং সূর্যের দিকে এর হেলে থাকা অক্ষের কারণে ঋতু পরিবর্তন হয়। সূর্য কেন্দ্র করে পৃথিবীর আবর্তনের জন্য বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে বা সূর্যের বিপরীত দিকে সরে গিয়ে যথাক্রমে গ্রীষ্ম বা শীত ঋতু ঘটায়।

গ্রীষ্মকাল : * যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলে থাকে সে অংশে তখন গ্রীষ্মকাল। * গ্রীষ্মকালে সূর্য আকাশের অপেক্ষাকৃত উঁচুতে অবস্থান করে। * এ সময় উত্তর গোলার্ধে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয়। * দিন বড় হয়। * তাপমাত্রা বাড়ে। * এ সময় দক্ষিণ গোলার্ধে ঘটে উল্টো ব্যাপার। সেখানে তখন শীতকাল। * জুন মাসে উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল হলেও একই সময়ে দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল হয়।

শীতকাল : * যখন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধ সূর্যের বিপরীত দিকে হেলে থাকে সে অংশে তখন শীতকাল। * শীতকালে সূর্য আকাশের অপেক্ষাকৃত নিচে অবস্থান করে। * এ সময় উত্তর গোলার্ধে সূর্য তীর্যকভাবে কিরণ দেয়। * দিনের দৈর্ঘ্য কম হয়। দিনের চেয়ে রাত বড় হয়। * তাপমাত্রা হ্রাস পায়। * ডিসেম্বর মাসে উত্তর গোলার্ধে শীতকাল আর দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।

শরৎ ও বসন্তকাল : * মার্চ ও সেপ্টেম্বরে উভয় গোলার্ধের দিন ও রাত প্রায় সমান থাকে। * উত্তর গোলার্ধে মার্চে বসন্তকাল আর সেপ্টেম্বরে শীতকাল বিরাজ করে। আর দক্ষিণ গোলার্ধে তার বৈপরীত্য বিরাজ করে। সুতরাং, ঋতু পরিবর্তনের জন্য বার্ষিক গতিই দায়ী।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম