একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা দ্বিতীয়পত্র
উজ্জ্বল কুমার সাহা
প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রভাষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
মোহাম্মদপুর, ঢাকা
১। বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের ৫টি নিয়ম (তৎসম শব্দের) লিখ।
উত্তর :
ক. যেসব তৎসম শব্দে ই ঈ বা উ ঊ উভয় শুদ্ধ কেবল সেসব শব্দে ই বা উ এবং তার কারচিহ্ন ি ু হবে। যেমন: কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিৎকার ইত্যাদি।
খ. রেফের পরে ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না। যেমন: অর্জন, পর্বত, কর্ম, কার্য ইত্যাদি।
গ. সন্ধির ক্ষেত্রে ক খ গ ঘ পরে থাকলে পূর্ব পদের অন্তস্থিত ম্ স্থলে অনুস্বার (ঃ) হবে। যেমন: অহম্ + কার = অহংকার এভাবে- ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর।
সন্ধিবদ্ধ না হলে ঙ স্থলে ং হবে না। যেমন: অঙ্ক, অঙ্গ, আকাক্সক্ষা ইত্যাদি।
ঘ. সংস্কৃত ইন্-প্রত্যায়ন্ত শব্দের দীর্ঘ ঈ-কারান্ত রূপ সমাসবদ্ধ হলে সংস্কৃত ব্যাকরণের নিয়ম-অনুযায়ী সেগুলিতে হ্রস্ব-ই কার হয়। যেমন: গুণী > গুণিজন, প্রাণী > প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রী > মন্ত্রিপরিষদ।
ঁ তবে এগুলোর সমাসবদ্ধরূপে ঈ-কারের ব্যবহারও চলতে পারে। যেমন: গুণী > গুণীজন, প্রাণী > প্রাণীবিদ্যা।
ঁ ইন্- প্রত্যয়ান্ত শব্দের সঙ্গে - ত্ব ও -তা প্রত্যয় যুক্ত হলে ই-কার হবে। যেমন: কৃতী > কৃতিত্ব, দায়ী > দায়িত্ব।
ঙ. বিসর্গ (ঃ) শব্দের শেষে বিসর্গ (ঃ) থাকবে না। যেমন: ইতস্তত, কার্যত, প্রথমত, প্রায়শ।
ঁ এ ছাড়া নিুলিখিত ক্ষেত্রে শব্দমধ্যস্থ বিসর্গ-বর্জিত রূপ গৃহীত হবে। যেমন: দুস্থ, নিস্তব্ধ, নিশ্বাস।
২। বাংলা একাডেমি প্রণীত প্রমিত বাংলা বানানের (অতৎসম শব্দের) ৫টি নিয়ম লিখ।
ক. ই, ঈ, উ, ঊ
* সকল অতৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে কেবল ই এবং উ এবং তাদের কার চিহ্ন ি ু ব্যবহৃত হবে। যেমন: আরবি, আসামি, ইংরেজি, ফারসি, সোনালি, হাতি, চুন, মুলো।
* পদাশ্রিত নির্দেশক টি-তে ই-কার হবে। যেমন: ছেলেটি, বইটি।
* সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া-বিশেষণ ও যোজক পদরূপে কী শব্দটি ঈ-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন: এটা কী বই? কী আনন্দ! কী আর বলব। কীভাবে, কীরকম, কীরূপে, প্রভৃতি শব্দেও ঈ-কার হবে।
* যেসব প্রশ্নবাচক বাক্যের উত্তর হ্যাঁ বা না দিয়ে দেয়া যাবে সেসব বাক্যে ব্যবহৃত কি হ্রস্ব ই-কার দিয়ে লেখা হবে। যেমন: তুমি কি যাবে? তুমি কি খেয়েছ? [চলবে]
