Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা

বিজ্ঞান * ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

বিজ্ঞান

Icon

আফরোজা বেগম

প্রকাশ: ১৮ মে ২০২১, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ উত্তরা, ঢাকা

জীবনের জন্য পানি

প্রশ্ন : বরফসহ পানির গ্লাসের বাইরের পৃষ্ঠ কেন ভিজে যায় তা ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : বরফ পানির কঠিন অবস্থা। পানিকে ঠাণ্ডা করলে তা জমে কঠিন পদার্থে অর্থাৎ বরফে পরিণত হয়। অন্যদিকে, পানিকে তাপ দিলে তা জলীয়বাষ্পে বা বায়বীয় পদার্থে পরিণত হয়। বাতাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো জলীয়বাষ্প। এ জলীয়বাষ্পকে ঠাণ্ডা করলে বা ঠাণ্ডা সংস্পর্শে আনলে তা জমে পানি বা তরল পদার্থে পরিণত হয়। তাই বরফসহ পানির গ্লাস ফ্রিজের বাইরে খোলা জায়গায় রাখলে বাতাসের জলীয়বাষ্প বরফসহ ঠাণ্ডা গ্লাসে এলে তা বরফসহ গ্লাসের ঠাণ্ডায় শীতল হয়ে জলীয়বাষ্প থেকে পানির ফোঁটায় পরিণত হয় ও গ্লাসের গায়ে ফোঁটা ফোঁটা পানি হয়ে জমে থাকে। বায়ু যখন ঠাণ্ডা কোনো বস্তুর সংস্পর্শে আসে, তখন বায়ুতে থাকা জলীয়বাষ্প ঠাণ্ডা হয়ে পানির ফোঁটা হিসাবে জমা হয়। বাতাসের জলীয়বাষ্প ঘনীভবন পদ্ধতিতে জমে পানি হয়। তাই গ্লাসটি ভিজা থকে। বরফসহ পানির গ্লাসের বাইরের অংশ বাতাসের জলীয়বাষ্প পানিতে পরিণত হয়ে তা ভিজে যায়।

প্রশ্ন : পানিচক্র ব্যাখ্যা কর।

উত্তর : যে প্রক্রিয়ায় পানি বিভিন্ন অবস্থায় পরিবর্তিত হয়ে ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডলের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে তাই পানিচক্র।

ব্যাখ্যা : সাগর, নদী, পুকুর, খাল-বিলসহ যে কোনো জলাশয়ের পানি সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে জলীয়বাষ্পে পরিণত হয়। বাষ্পীভূত পানি ওপরে উঠে ঠাণ্ডা ও ঘনীভূত হয়ে পানির বিন্দুতে পরিণত হয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির বিন্দু একত্রিত হয়ে মেঘ সৃষ্টি করে। এ মেঘের পানিকণা বড় হয়ে বৃষ্টিপাত ও শিলা বৃষ্টি রূপে আবার চক্রাকারে ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে। শীতপ্রধান দেশে সাধারণত মেঘ থেকে বৃষ্টি না পড়ে তুষার পৃথিবীতে পড়ে। বৃষ্টির পানি কিছুটা মাটিতে শোষিত হয়। আর বাকিটা নদীতে বা যে কোনো জলাশয়ে পড়ে। মাটিতে শোষিত পানি ভূগর্ভস্থ পানি হিসাবে মাটির তলদেশে জমা থাকে। নদীতে গড়িয়ে পড়া পানি সমুদ্রে প্রবাহিত হয় এবং বাষ্পীভূত হয়ে আবার বায়ুতে ফিরে আসে। সূর্যের তাপের কারণেই পানিচক্র সম্ভব হচ্ছে। পানিচক্র পরিবেশে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে।

প্রশ্ন : দূষিত পানি পান করলে কী কী রোগ হতে পারে?

উত্তর : যে পানিতে ময়লা-আবর্জনা, রোগ-জীবাণু ও আর্সেনিক থাকে তাকে দূষিত পানি বলে। দূষিত পানি পান করলে নানা রোগ হতে পারে। যেমন-

* কলেরা * ডায়রিয়া * আমাশয় * জন্ডিস * টাইফয়েড

* আর্সেনোকোসিস * পেটের পীড়া * চর্মরোগ ইত্যাদি।

সুতরাং, দূষিত পানি পান করলে নানা রকম পানিবাহিত রোগ হয় এবং রোগী এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণও করতে পারে।

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা

মো. ফোরকান আহমেদ

সহকারী শিক্ষক, মুনলাইট মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ

আকাইদ বিশ্বাস

বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর

[পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]

৩৩। আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসূল প্রেরণ করেছেন কেন?

ক. অসহায় মানুষের সাহায্য করতে

খ. এতিমদের সাহায্য করতে

গ. যুদ্ধ বিগ্রহ থামাতে

√ঘ. পথভ্রষ্ট মানুসকে হেদায়েতের জন্য

৩৪। ইসলামের লক্ষ্য হলো-

ক. মানুষকে সম্পদশালী করা

খ. মানব জীবনে সুখ-শান্তি প্রতিষ্ঠা করা

√গ. মানুষকে ইবাদাতে অভ্যস্ত বান্দা হিসাবে তৈরি করা

ঘ. মানুষকে কিয়ামত সম্পর্কে অভিহিত করা

৩৫। আল আসমাউল হুসনা বলা হয় কাকে?

ক. মানুষের গুণাবলিকে খ. ফেরেশতার গুণাবলিকে

√গ. আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোকে

ঘ. নবীদের গুণাবলিকে

৩৬। খালিক শব্দের অর্থ কী

ক. পালনকর্তা √খ. সৃষ্টিকর্তা

গ. রিজিকদাতা ঘ. দয়ালু

৩৭। বাসিরুন শব্দের অর্থ কী?

ক. সর্বশ্রোতা খ. সহনশীল

গ. সব দেখেন √ঘ. অতি সহনশীল

৩৮। সামিউন শব্দের অর্থ কী?

√ক. সব শোনেন খ. সব জানেন

গ. সব দেখেন ঘ. অতি সহনশীল

৩৯। সর্বশেষ নবীর নাম কী?

ক. হজরত আবু বকর (রা.) খ. হজরত ঈসা (আ.)

√গ. হজরত মুহাম্মাদ (সা.) ঘ. হজরত মুসা (আ.)

৪০। কাদিরুন শব্দের অর্থ কী?

√ক. সর্বশক্তিমান খ. সর্বশ্রোতা

গ. সর্বদ্রষ্টা ঘ. সৃষ্টিকর্তা

৪১। সত্তায় এক ও অদ্বিতীয় এবং গুণে অতুলনীয়, তিনি কে?

ক. জিন খ. ফেরেশতা

গ. রাসূল (সা.) √ঘ. আল্লাহ

৪২। কে একমাত্র হুকুমদাতা, রিজিকদাতা ও পরিত্রাণকারী?

√ক. মহান আল্লাহ খ. রাজা-বাদশা

গ. বৈজ্ঞানিক ঘ. ডাক্তার

৪৩। আমাদের সুন্দর সুন্দর বাড়িঘর বড় বড় দালার-কোঠা, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, ব্রিজ, বাস-ট্রাক ইত্যাদি এসব আপনা-আপনি সৃষ্টি হয়নি। গাছপালা, পশুপাখি, জীবজন্তুও আপনা-আপনি সৃষ্টি হয়নি। এগুলো সৃষ্টি-

ক. মানুষ কর্তৃক খ. প্রকৃতি কর্তৃক

√খ. আল্লাহতায়ালা কর্তৃক ঘ. সৌরজগৎ কর্তৃক

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম