প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পড়াশোনা
বাংলা * প্রাথমিক বিজ্ঞান
বাংলা
সবুজ চৌধুরী
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০১৮, ০৬:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সহকারী শিক্ষক
সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা
শিক্ষাগুরুর মর্যাদা
শব্দার্থ/সমার্থক শব্দ
গুরু - শিক্ষক
মর্যাদা - সম্মান
বাদশাহ - সম্রাট
কুমার - ছেলে
একদা - একদিন
প্রভাত - সকাল
হস্ত - হাত
বারি - পানি
চরণ - পা
পুলকিত - আনন্দিত
হৃদে - হৃদয়ে
আনত - অবনত
নয়ন - চোখ
সাফ - পরিষ্কার
নিস্তার - পরিত্রাণ
স্পর্ধা - সাহস
অপরাধ - পাপ
ভালে - কপালে
শির - মস্তক
শ্রেষ্ঠ - সেরা
শাস্ত্র - পুস্তক
অনর্গল - অবিরত
শাহানশাহ - সম্রাট
দূত - বার্তাবাহক
খাস - প্রধান
কামরা - কক্ষ
সৌজন্য - আদব-কায়দা
বেয়াদবি - স্পর্ধা
অবহেলা - অবজ্ঞা
জাঁহাপনা - সম্রাট
নিরালা - নির্জন
তফাত - দূর
প্রক্ষালন - ধৌত
উচ্ছ্বাস - উল্লাস
কুর্নিশ - অভিবাদন
উচ্চরবে - উচ্চস্বরে
উদার - মহৎ
ছার - তুচ্ছ বা নগণ্য
বিপরীত শব্দ
গুরু - শিষ্য
মর্যাদা - অমর্যাদা
বাদশাহ - বেগম
কুমার - কুমারী
প্রভাত - সাঁঝ
হস্ত - পদ
চরণ - হাত
প্রাথমিক বিজ্ঞান
আফরোজা বেগম
সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ উত্তরা, ঢাকা
আমাদের জীবনে প্রযুক্তি
প্রশ্ন : প্রযুক্তির ক্ষতিকর প্রভাবের দুটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : প্রযুক্তির ক্ষতিকর প্রভাবের দুটি উদাহরণ নিচে দেয়া হল :
* বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে কয়লা পুড়িয়ে আমরা বিদু্যুৎ উৎপন্ন করি কিন্তু এর ফলে বায়ুও দূষিত হয়। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও এসিড বৃষ্টির মতো পরিবেশের ওপর বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করছে।
* আধুনিক প্রযুক্তির সবচেয়ে ভয়াবহ প্রয়োগ হল যুদ্ধের অস্ত্র তৈরি ও এর ব্যবহার। যেমন : বন্দুক, বোমা, ট্যাংক ইত্যাদি।
প্রশ্ন : জলীয় বাষ্পের ক্ষমতা সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে কীভাবে কাজে লাগানো হয়েছে?
উত্তর : জলীয় বাষ্পের ক্ষমতা সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে আঠারো শতকে শিল্প বিপ্লবের সময় কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানী জেমস ওয়াট বাষ্পীয় ইঞ্জিন উদ্ভাবন করেন। এই বাষ্পীয় ইঞ্জিন কলকারখানা, রেলগাড়ি ও জাহাজ চালাতে ব্যবহার করা হতো।
সুতরাং, জলীয় বাষ্পের ক্ষমতা সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থাকে উন্নত করেছে।
বর্ণনামূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরস্পর সম্পর্কিত হলেও এগুলোর মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্যও বিদ্যমান। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পার্থক্য নিচে দেয়া হল:
* বিজ্ঞান হল পরীক্ষালব্ধ জ্ঞান। আর প্রযুক্তি হল সেই অর্জিত জ্ঞানের ব্যবহারিক প্রয়োগ।
* আগে বিজ্ঞানের অবস্থান, পরে এসেছে প্রযুক্তি।
* বিজ্ঞান শুধুই কল্যাণকর। এর কোনো খারাপ দিক নেই। অপরদিকে প্রযুক্তির কল্যাণকর ও অকল্যাণকর দুটি দিকই রয়েছে। প্রযুক্তির প্রয়োগের ওপর ভালো-মন্দ নির্ভর করে।
* অতীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সম্পর্ক এত নিবিড় ছিল না।
* অতীতে বিজ্ঞানীরা প্রকৃতি নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সেখানে ব্যবহারিক জীবনের সমস্যা সমাধানের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তারা বিদ্যুৎ এবং আলোর মতো বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আবিষ্কার করেছেন। অপরদিকে, জীবনকে উন্নত করার লক্ষ্যে বাস্তব সমস্যা সমাধানের জন্য মানুষ প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছে। তারা পাথরের হাতিয়ার, আগুন, পোশাক, ধাতব যন্ত্রপাতি এবং চাকার মতো সরল প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে।
* বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে একীভূত করে আঠারো শতকে কৃষি, শিল্পকারখানা, পরিবহনসহ নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের ফলে ঘটে শিল্প বিপ্লব।
* বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত জলীয় বাষ্পের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আবিষ্কৃত হয়েছে বাষ্পীয় ইঞ্জিন প্রযুক্তি। এই বাষ্পীয় ইঞ্জিন কলকারখানা, রেলগাড়ি ও জাহাজ চালাতে ব্যবহার করা হতো।
* বিভিন্ন পণ্য এবং যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনে ও প্রকৃতি নিয়ে গবেষণার সময়ও প্রযুক্তি বৈজ্ঞানিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে থাকে।
সুতরাং, আধুনিককালে এসে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পার্থক্য কমিয়ে একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে।
