Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান

Icon

আফরোজা বেগম

প্রকাশ: ১০ মে ২০২২, ০৬:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সিনিয়র শিক্ষক, উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা

পরিবেশ দূষণ

প্রশ্ন : পরিবেশ সংরক্ষণ কী? আমরা কীভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি?

উত্তর : পরিবেশের সব উপাদান যেমন-মাটি, পানি, বায়ু ইত্যাদির সঠিক ও স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখাই হলো পরিবেশ সংরক্ষণ। জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পরিবেশ সংরক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। পরিবেশের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রেখে প্রাকৃতিক পরিবেশকে নষ্ট না করে মানুষের সব ধরনের পরিবেশবিরোধী কর্মকাণ্ডকে রহিত করে পরিবেশ সংরক্ষণে সচেষ্ট হওয়া এখন সময়ের দাবি মাত্র।

উপায় : * বিদ্যুৎ বা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে সবুজ শক্তি বা গ্রিন এনার্জি যেমন- সূর্য বা বায়ু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারি। * গাড়িতে চড়ার পরিবর্তে হেঁটে বা সাইকেল ব্যবহার করে আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি ও পরিবশে দূষণ কমাতে পারি। * প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে, পুনঃব্যবহার করে ও রিসাইকেল করেও আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারি। * মাটি, পুকুর বা নদীতে ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে এবং গাছ লাগিয়ে, বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ পালন করে প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি। * অপরিকল্পিত বাড়িঘর বা কল-কারখানা নির্মাণ বন্ধন করে, নদী শাসন ও খাল-বিল ভরাট বন্ধ করে প্রাকৃতিক পরিবেশকে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।

প্রশ্ন : জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কেন পরিবেশ দূষিত হয়?

উত্তর : পরিবেশন দূষণ : বেঁচে থাকার জন্য আমরা পরিবেশকে নানাভাবে ব্যবহার করি। ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়, তখন তাকে আমরা পরিবেশ দূষণ বলি।

কারণ : সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে নানাভাবে পরিবেশ দূষিত হয়। কারণগুলো নিচে দেয়া হলো-

* অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য মানুষ পরিবেশ ধ্বংস করছে। * বাড়তি জনসংখ্যার নানা চাহিদার জন্য কুটির শিল্পের পরিবর্তে প্রসারিত হচ্ছে শিল্পায়ন, আর পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হচ্ছে শিল্পায়ন। * জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বনজঙ্গল ধ্বংস হচ্ছে। * বনজঙ্গল ধ্বংসের ফলে খাদ্য-শৃঙ্খল নষ্ট বা ধ্বংস হচ্ছে। * অনেক জীব ধ্বংস হয়ে পরিবেশের স্বাভাবিক অবস্থা নষ্ট হচ্ছে। * পরিবেশের তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশের স্বাভাবিক জলবায়ু তথা পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। * জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে জনসংখ্যার ঘনত্ব বাড়ে। ফলে জীবাণু দ্রুত ছড়ায়। বায়ু তথা পরিবেশ দূষিত হয়।

সুতরাং জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে মানুষের নানা কর্মকাণ্ডই পরিবেশ দূষণের মূল কারণ। প্রাকৃতিক পরিবেশের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের পরিবেশ দূষিত হয়।

প্রশ্ন : মাটি ও পানি দূষণের সাদৃশ্য কোথায়?

উত্তর : পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপাদান হলো মাটি ও পানি। মানুষের নানা কর্মকাণ্ড পরিবেশের এ উপাদান দুটি নানাভাবে দূষিত হয়। মাটি ও পানি দূষণের সাদৃশ্য বা মিল নিচে দেয়া হলো- * যেখানে সেখানে আবর্জনা যেমন-চিপসের প্যাকেট ও গৃহস্থালির বর্জ্য, অপচনশীল দ্রব্য যেমন-প্লাস্টিক, পলিথিন ইত্যাদি ফেলে মাটিকে দূষিত করে। অনুরূপভাবে পানিতে বিভিন্ন ভাসমান, পচনশীল দ্রব্যাদিসহ নানা ময়লা-আবর্জনা ছুড়ে প্রতিদিন পানিকে দূষিত করে। * কৃষি ক্ষেত্রে ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জমি বিভিন্ন রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগের ফলে মাটি মারাত্মকভাবে দূষিত হয়। এ রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক দ্রব্য বৃষ্টির পানিতে মিশে বিভিন্ন জলাশয়ের পানি দূষিত হয়। * কলকারখানার বর্জ্য, বিষাক্ত ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মাটিতে মিশে মাটি দূষিত হয়। অনুরূপভাবে, পানিতে কল-কারখানার বর্জ্য, রাসায়নিক পদার্থ ও বিভিন্ন নৌযানের তেল পানিতে ছড়িয়ে পানি দূষিত হয়। জলজ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম