Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ : যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয়পত্র

Icon

আবদুল কুদ্দুস

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ : যুক্তিবিদ্যা দ্বিতীয়পত্র

প্রভাষক, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ

মোহাম্মদপুর, ঢাকা

যৌক্তিক সংজ্ঞা

উদ্দীপক

দৃশ্যকল্প-১ : মানুষ হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন প্রাণী।

দৃশ্যকল্প-২ : পরাধীনতা হচ্ছে স্বাধীনতার অভাব।

ক. অব্যাপক সংজ্ঞা কাকে বলে?

খ. চক্রক সংজ্ঞা অনুপপত্তি কখন ঘটে?

গ. দৃশ্যকল্প-১ ব্যাখ্যা কর।

ঘ. ‘দৃশ্যকল্প-২ দৃশ্যকল্প-১ এর ত্রুটিপূর্ণ রূপ’-বিশ্লেষণ কর।

উত্তর : ক.

যে সংজ্ঞায় সংজ্ঞেয় পদের জাত্যর্থের অতিরিক্ত গুণ হিসাবে বিচ্ছেদ্য অবান্তর লক্ষণ উল্লেখ করা হয় তাকে অব্যাপক সংজ্ঞা বলে।

উত্তর : খ.

কোনো পদের সংজ্ঞায় সেই পদ বা তার সমার্থক শব্দের উল্লেখ করলে চক্রক সংজ্ঞা অনুপপত্তি ঘটে। যেমন, যিনি শিক্ষা দান করেন তিনিই শিক্ষক। চক্রক সংজ্ঞায় জাত্যর্থের উল্লেখ থাকে না, বরং সংজ্ঞেয় পদেরই পুনরায় প্রয়োগ করা হয়। এজন্যই এটি ত্রুটিপূর্ণ সংজ্ঞা।

উত্তর : গ.

দৃশ্যকল্প-১ এ যৌক্তিক সংজ্ঞার একটি সঠিক দৃষ্টান্ত এসেছে।

সংজ্ঞা হচ্ছে পদের জাত্যর্থের সুস্পষ্ট বিবৃতি। জাত্যর্থের কমও নয় বেশিও নয়, বরং পরিপূর্ণভাবে জাত্যর্থের উল্লেখের মাধ্যমে সংজ্ঞা প্রদান করতে হয়।

উদ্দীপকের এই অংশে মানুষ পদের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মানুষ পদের জাত্যর্থ হচ্ছে বুদ্ধিবৃত্তি ও জৈববৃত্তি। আলোচ্য সংজ্ঞায় এ দুটি অংশই পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ পেয়েছে। সুতরাং এটি যথার্থ সংজ্ঞা। সংজ্ঞার পাঁচটি নিয়মের ভিত্তিতে দেখলেও এটিকে যথার্থ বলা যায়। সংজ্ঞার নিয়মে আছে- সংজ্ঞায় রূপক ও দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করা যায় না, নঞর্থক শব্দের মাধ্যমে সংজ্ঞা দেওয়া যায় না, সমার্থক শব্দের মাধ্যমেও সংজ্ঞা দেওয়া যায় না। আবার সংজ্ঞেয় পদ ও সংজ্ঞার্থ পদের ব্যক্তার্থ সমান হতে হয়। উদ্দীপকের সংজ্ঞাটিতে এভাবে প্রতিটি নিয়মের অনুসরণ ঘটেছে। সংজ্ঞার উদ্দেশ্য হচ্ছে কোনো পদের অর্থকে আরও স্পষ্ট করা। মানুষ পদের সংজ্ঞায় এখানে স্পষ্টতই মানুষের মূল পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে।

উত্তর : ঘ.

উদ্দীপকে এসেছে, দৃশ্যকল্প-২ প্রথম দৃশ্যকল্পের ত্রুটিপূর্ণ রূপ। কথাটি যথার্থ।

দ্বিতীয় দৃশ্যকল্পে বলা হয়েছে, পরাধীনতা হচ্ছে স্বাধীনতার অভাব। এটি একটি নঞর্থক সংজ্ঞা। সংজ্ঞার চতুর্থ নিয়মে আছে, ইতিবাচকভাবে সম্ভব হলে সংজ্ঞায় নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু এখানে পরাধীনতাকে বোঝানোর জন্য জাত্যর্থ উল্লেখ না করে ‘স্বাধীনতার অভাব’ নেতিবাচক শব্দটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এ জন্য এটি যথার্থ সংজ্ঞা হয়নি।

সংজ্ঞার উদ্দেশ্য কোনো পদের অর্থকে স্পষ্ট করা। কিন্তু এখানে পরাধীনতা পদটির অর্থ স্পষ্ট হয়নি। সুতরাং এটিকে সংজ্ঞা বলা যায় না।

অন্যদিকে, প্রথম দৃশ্যকল্পে মানুষ পদের যথার্থ সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে, যেখানে সংজ্ঞার প্রতিটি নিয়মের বাস্তব অনুসরণ রয়েছে। দ্বিতীয় দৃশ্যকল্পে নিয়মের অনুসরণ হয়নি। আমরা জানি, জাত্যর্থ হচ্ছে আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণের সমন্বয়। প্রথম দৃষ্টান্তে মানুষ পদের পূর্ণ জাত্যর্থ তথা বিভেদক লক্ষণ ও আসন্নতম জাতি যথাক্রমে বুদ্ধিবৃত্তি ও জৈববৃত্তির উল্লেখ এসেছে। কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টান্তে পরাধীনতার বিভেদক লক্ষণ ও আসন্নতম জাতি কোনোটিই উল্লেখ করা হয়নি।

এজন্য স্পষ্টভাবে বলা যায়, দ্বিতীয় দৃশ্যকল্পটি প্রথম দৃশ্যকল্পের ত্রুটিপূর্ণ রূপ।

পরীক্ষা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম