Logo
Logo
×

টিউটোরিয়াল

প্রিয় ক্যাম্পাস

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি - বাংলাদেশ

Icon

সেলিম কামাল

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মূল ফটক দিয়ে ঢোকার আগে বোঝাই যাবে না, ভেতরে কী চমক অপেক্ষা করছে। উচ্ছল শিক্ষার্থীদের আনাগোনা পেরিয়ে একটু ভেতরে ঢুকতেই দৃষ্টিগোচর হয় একের পর এক ভবন, খেলার মাঠ, দুটো বিশাল পার্কিংসহ অন্যান্য স্থাপনা। নজিরবিহীন নিরাপত্তাব্যুহ পেরোলে চোখে পড়বে বেশকিছু সবুজের সমারোহ। এরই মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে চোখকাড়া দৃষ্টিনন্দন এক বিশ্বগোলক ভবন। হ্যাঁ, এ ভবনেরই একটি ফ্লোরে বসে উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে বিশ্বনাগরিক তৈরির পরিকল্পনা আঁকেন এর কর্মকর্তারা। এটি হচ্ছে, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ-এর প্রশাসনিক ভবন। আর ওই পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন। ঢাকা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র খিলক্ষেত থানাধীন কুড়িলস্থ কুড়াতলী রোডে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের এ স্থায়ী ক্যাম্পাস।

এ ক্যাম্পাসের সর্বমোট জমির পরিমাণ ১১২৮.৩৮ শতাংশ বা ১১.২৮৩৮ একর। যেখানে প্রায় ৬,৪৫,০০০ বর্গফুট ব্যবহার উপযোগী অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া গাজীপুর জেলার অন্তর্গত শ্রীপুর থানাধীন ভাংনাহাটি নামক এলাকায় চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদের অধীন নার্সিং ইন্সটিটিউট খোলার প্রয়াসের পাশাপাশি শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রম, ব্যবহারিক কার্যক্রম ও হাতেকলমে শিক্ষা প্রদানের নিমিত্তে অবকাঠামোসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ৪৫৫১.০৬৮ শতাংশ বা ৪৫.৫১০৬৮ একর জমি আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সম্বলিত ১৯২টি শ্রেণিকক্ষ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত ৭২টি ল্যাবরেটরি রয়েছে। রয়েছে আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন প্রশাসনিক ভবনসহ ৯টি ভবন ও গ্রন্থাগার। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাদের জন্য রয়েছে ৪টি ক্যাফেটেরিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে রয়েছে ৮০,০০০ বর্গফুট জায়গা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ফুটবল খেলার মাঠ, বাস্কেট বল, ভলিবল, টেনিস ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট। এছাড়া রয়েছে শিক্ষার্থীদের জন্য ইনডোর গেমস, আধুনিক ড্রেসিংরুম ও জিমনেসিয়াম। আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ও সভা পরিচালনার জন্য রয়েছে ৩টি অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম। রয়েছে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য মুট কোর্ট, মিডিয়া অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে মিডিয়া স্টুডিও ও অ্যানিমেশন ল্যাবরেটরি। বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে একটি মুক্তমঞ্চ, মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য রয়েছেন মনোবিজ্ঞানী। রয়েছে একটি ডে-কেয়ার সেন্টার। এছাড়া সব ধর্মাবলম্বীদের জন্য রয়েছে পৃথক উপাসনালয়। আছে ৪ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল সেন্টার।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আধুনিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে বদ্ধপরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক, আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সম্বলিত শ্রেণিকক্ষ, অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত ল্যাবরেটরি প্রস্তুত করা হয়েছে। এআইইউবি বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যার বিভিন্ন একাডেমিক প্রোগ্রাম আন্তর্জাতিক অ্যাক্রিডিটেশন সংস্থা পিএএএসসিইউ দ্বারা অ্যাক্রিডিটেড। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই, সিওই, সিএসই প্রোগ্রাম আইইবিও আর্কিটেকচার প্রোগ্রাম আইএবি দ্বারা অ্যাক্রিডিটেড। ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যাডমিনেস্ট্রেশন আন্তর্জাতিক অ্যাক্রিডিটেশন সংস্থা এমসিএসবি ও এসিবিএসপির সদস্যপদ অর্জন করেছে। এআইইউবি Magna Charta, CHEA, IAU, AUAP, APQN-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ অর্জন করেছে।

শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষাদানের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পিএইচডিধারী।

বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪টি অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। যেখান থেকে আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করে বেশিরভাগ ডিগ্রিধারী দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে চলেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারটি নিজস্ব সফটওয়্যার ও আরএফআইডি দ্বারা পরিচালিত। যেখানে রয়েছে সর্বশেষ সংস্করণ সমৃদ্ধ প্রায় ৪৫,০০০টি বই, ৬৮৩৯২টি সাময়িকী, ১৩৪৩টি অডিও-ভিজ্যুয়াল সামগ্রী ও ১৭২০০০টি ই-বুক। গ্রন্থাগারে প্রায় ৫০০ জন শিক্ষার্থী একসঙ্গে বসে অধ্যয়ন করতে পারেন।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের ২০ মার্চ থেকে এআইইউবি প্রথম Microsoft Teams (Licensed) প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে সফলভাবে সব ক্লাস সম্পাদন ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট (Workable) কম্পিউটার সংখ্যা ১৮৬৮টি। সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা বিনামূল্যে ওয়াইফাই সংযোগ ব্যবহার করে থাকেন। সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তাদের ব্যবহারের জন্য 2TB FTP সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রাউজিং ল্যাবের ব্যবস্থা রয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহার ও মুদ্রণের জন্য ২৫টি করড়ংশ স্থাপন করা হয়েছে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে নিজস্ব ‘Vision, Mission & Goal’। এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ১০ বছর জন্য নিুোক্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে :

ক. অ্যাকাডেমিক নেতৃত্ব

স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করা, যাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সর্বত্র প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজেদের উপস্থাপন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সময়োপযোগী নতুন প্রোগ্রাম শুরুর ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ লক্ষ্য অর্জনে মানসম্পন্ন শিক্ষা, শিক্ষার্থী বৃত্তি প্রদান, উন্নততর পাঠ্যক্রম ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সংযোগ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

খ. টেকসই উন্নয়ন

আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় পরিবেশের উন্নয়ন সাধন, যা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাদের আকৃষ্ট করবে। পাশাপাশি আধুনিক, জুতসই ও টেকসই কর্মপরিবেশকে সমৃদ্ধ করা।

গ. আন্তর্জাতিকীকরণ

আধুনিক ও উদ্ভাবনমূলক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের রূপান্তরমূলক শিক্ষার অভিজ্ঞতা প্রসারিত করা। কমিউনিটি সার্ভিস, সামাজিক সম্পৃক্ততা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে সুযোগ সৃষ্টি করা।

ঘ. ডিজিটালাইজেশন

ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার মান আরও উন্নত করা। ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক নাগরিক হিসাবে রূপান্তর করা।

ঙ. উদ্ভাবন ও গবেষণা

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রস-ডিসিপ্লিনারি গবেষণার ব্যবস্থা করা। এ গবেষণার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা।

উপরোক্ত কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বৃদ্ধিকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। কর্তৃপক্ষের বিশ্বাস, এসব বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি অনন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে।

‘আমাদের গ্র্যাজুয়েটরা দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত’

-ইশতিয়াক আবেদীন, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও চেয়ারম্যান

বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি - বাংলাদেশ (এআইইউবি)

* কী কী বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে?

** বর্তমানে এআইইউবিতে ৪টি অনুষদ রয়েছে। এগুলো হলো- প্রকৌশল অনুষদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ, বাণিজ্য অনুষদ, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদ। এসব অনুষদের অধীনে বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। বিভাগগুলো থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়।

* বর্তমানে কত শিক্ষার্থী পড়ছে?

** বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।

* সর্বশেষ সমাবর্তন কবে হয়েছে? কত শিক্ষার্থী পাশ করেছেন?

** সর্বশেষ সমাবর্তন হয়েছে ২০২১ সালে। এআইইউবিতে এখন পর্যন্ত ২০টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে।

* বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই শিক্ষার্থীরা আর্থিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য আপনাদের পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো সহযোগিতা আছে কি না?

** বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষার্থীদের আর্থিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সব শিক্ষার্থীকে ১০-২০ শতাংশ হারে বৃত্তি প্রদান করেছে।

* দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কী সুবিধা রয়েছে?

** দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অ্যাকাডেমিক স্কলারশিপ ও Need-Based বৃত্তির সুযোগ। এ ছাড়াও রয়েছে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি-এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে Merit-Based স্কলারশিপ। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য বৃত্তি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অ্যালামনাই ডিসকাউন্ট, ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ও প্রতিরক্ষা সদস্যদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি সেমিস্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শতকরা ১২-১৬ শতাংশ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বৃত্তি পেয়ে থাকে।

* এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে বলুন।

** নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও সংরক্ষণ আরও শক্তিশালী করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। শিক্ষার মান নিশ্চিতে এআইইউবি ২০০৮ সালে সর্বপ্রথম একটি স্বতন্ত্র কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেন্টার (একিউএসি) গঠন করে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এইচইকিউইপি (HEQEP) প্রকল্পের অধীনে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) হিসাবে পুনর্গঠিত করা হয়েছে। ইউজিসি-এসপিকিউএ কর্তৃক প্রদত্ত ছক অনুসারে এআইইউবি-আইকিউএসি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য ও কর্মপরিকল্পনা প্রদান করে থাকে।

* বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে আপনারা কী কী ভূমিকা পালন করেন?

** বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিভাগ রয়েছে। যার নাম Office of Placement & Alumni (OPA)। এ অফিস শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের জন্য প্রতি বছর ‘Job Fair’ এর আয়োজন করে থাকে। দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করে থাকে। ১৯৯৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যেসব শিক্ষার্থী সনদ অর্জন করেছেন, তারা দেশ-বিদেশে প্রতিষ্ঠিত। তাদের অনেকেই গুগল, আমাজন, মাইক্রোসফটসহ দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। এভাবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে চলেছেন। বর্তমানে দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষার হার যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে কর্মপরিধিও। তথাপি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সনদ গ্রহণ করার জন্য, ডিগ্রি অর্জন করে বৈশ্বিক কর্মপরিসরে অংশগ্রহণ করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশে অন্যতম পছন্দনীয় ও গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর আলোকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। প্রতি সেমিস্টারে ইন্টার্নশীপ শিক্ষার্থীদের জন্য সিভি রাইটিং ও ভাইভা প্রস্তুতির কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম