এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ : জীববিজ্ঞান
মহসিনা আক্তার
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
প্রভাষক, ধনবাড়ি সরকারি কলেজ, টাঙ্গাইল
প্রাণীর বিভিন্নতা ও শ্রেণিবিন্যাস
দ্বিপদ নামকরণ ও ত্রিপদ নামকরণ
দ্বিপদ নামকরণ : নামকরণের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী জীবের নামের দুটি পদ থাকবে যথা গণ ও প্রজাতি। এ দুটি পদকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। Ex. Homo sapiens এটি মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম।
ত্রিপদ নামকরণ : একটি প্রজাতির জীবের মধ্যে যদি অঙ্গসংস্থানিক পার্থক্য দেখা যায় তবে সেই সদস্যদের ক্ষেত্রে গণ ও প্রজাতি পদ ছাড়াও উপ প্রজাতি পদ ব্যবহার করা হয়। যা ত্রিপদ নামকরণ।
Ex. Passer domesticus niloticus (নীলনদ এলাকার চড়ুই পাখির বৈজ্ঞানিক নাম)
* ICZN এর পূর্ণরূপ : International commission on yoological nomenclature
* প্রাণীজগতের ৯টি পর্বের নাম হলো এ অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এগুলো Major পর্ব নামে পরিচিত। তাই এ ৯টি পর্বের নাম অবশ্যই ইংরেজিতে শিখে ফেলতে হবে।
1. Phylum- Porifera, 2. Phylum- Cnidaria, 3. Phylum- Platyhelminthes, 4. Phylum- Nematoda, 5. Phylum- Mollusca, 6. Phylum- Annelida, 7. Phylum- Arthropoda, 8. Phylum- Echinodermata, 9. Phylum- Chordata
উপরের উল্লেখিত পর্বগুলোর মধ্যে ১-৮ পর্যন্ত সবাই Non- chordata এবং ৯নং পর্ব Chordata.
* Non- Chordata I chordata-এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য :
Non- Chordata: * এদের দেহে নটোকর্ড অনুপস্থিত। * স্নায়ুরজ্জু অঙ্কীয়দেশে অবস্থিত নিরেট। * প্রকৃত লেজ থাকে না। * রক্তের হিমোগ্লোবিন রক্তরসে অবস্থান করে। * ত্বক থেকে চোখের উদ্ভব ঘটে। * গলবিলীয় ফুলকা রন্ধ নেই।
Chordata : * জীবনের যে কোনো সময় বা আজীবন পৃষ্ঠমধ্যরেখা বরাবর নটোকর্ড উপস্থিত। * উন্নত প্রাণীতে মেরুদণ্ডে রূপান্তরিত হয়। * জীবনের শুরুতে কিংবা আজীবন লেজ থাকে। * হিমোগ্লোবিন লোহিতরক্ত কণিকার অভ্যন্তরে থাকে। * জীবনের যে কোনো দশায় বা আজীবন গলবিলের দুপাশে ফুলকারন্ধ অবস্থান করে। উন্নত প্রাণীতে এটি ফুসফুসে রূপান্তরিত হয়।
* Craniata : Chordata পর্বের ৩য় উপপর্ব Vertebrata কে Craniata বলে। কারণ এ উপপর্বের প্রাণীদের অস্থিময় বা তরুণাস্থিময় ক্রেনিয়াম (cranium)-এর ভিতর মস্তক অবস্থান করে।
প্রাণীর শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি
(ক) ভ্রূণস্তর (Germ layers) : ভ্রূণস্তরের ওপর ভিত্তি করে প্রাণীদের ২ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
দ্বিস্তরী (Diploblastic animal) : এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটি স্তর থাকে।
Ex: Cnidaria পর্বের সব প্রাণী।
ত্রিস্তরী (Tripoloblastic animal) : এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক তিনটি স্তর থাকে।
Ex: Platyhelminthes থেকে chordata পর্ব পর্যন্ত সব প্রাণী।
(খ) প্রতিসাম্য (Symmetry) : যে প্রক্রিয়ায় কোনো প্রাণীকে যখন কেন্দ্র বরাবর ভাগ করলে প্রত্যেক ভাগেই সমান অঙ্গের অবস্থান পড়বে তখন তাকে প্রতিসাম্য বলে। যেসব প্রাণীদেহে এ প্রতিসাম্য দেখা যায় তাদেরকে প্রতিসাম্য প্রাণী বলা হয়। প্রাণীদেহে নিুবর্ণিত বিভিন্ন ধরনের প্রতিসাম্য লক্ষ্য করা যায়। যথা :
গোলীয় প্রতিসাম্য : যখন কোনো প্রাণীর আকৃতি গোলাকার এবং এর কেন্দ্রের তল বরাবর সদৃশ বা সমান অংশে ভাগ করা যায় তখন তাকে গোলীয় প্রতিসাম্য বলে। Ex: Volvox globator
অরীয় প্রতিসাম্য : কোনো প্রাণীদেহকে তার কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর যে কোনো তলে সমান দুই অংশে ভাগ করা যায় তাকে অরীয় প্রতিসাম্য বলে। Ex: Hydra uvlgaris, Asterias uvlgaris.
দ্বি-পার্শ্বীয় প্রতিসাম্য : যখন কোনো প্রাণীর দেহকে কেন্দ্রীয় অক্ষ বরাবর অনুদৈর্ঘ্যভাবে মাত্র একবারাই সমান দুই ভাগে ভাগ করা যায় তাকে দ্বি-পার্শ্বীয় প্রতিসাম্য বলে।
Ex: Periplaneta americana, Labeo rohita. ইত্যাদি।
(গ) সিলোম (Coelom) : ভ্রূণীয় মেসোডার্ম হতে সৃষ্ট পেরিটোনিয়াম পর্দা দ্বারা আবৃত দেহাগহ্বরকে সিলোম বলে। সিলোমের উপস্থিতি, অনুপস্থিতি ও গঠনের ওপর ভিত্তি করে প্রাণীদের নিম্নোক্ত শ্রেণীভুক্ত করা হয়। অ্যাসিলোমেট (Acoelomate) : যেসব প্রাণীর সিলোম অনুপস্থিত। ভ্রূণীয় পরিস্ফুটনের সময় অন্তঃস্থ ফাঁকা স্থানটি মেসোডার্ম উদ্ভুত বিশেষ ধরনের স্পঞ্জি কলা দ্বারা পূর্ণ থাকে।
Ex: Porifera, Cnidaria, Platyhelminthes প্রভৃতি পর্বভুক্ত প্রাণীরা অ্যাসিলোমেট।
স্যুডোসিলোমেট (Pseudocoelomate) : যেসব প্রাণীর দেহগহ্বর পেরিটোনিয়াম পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে না তাদেরকে অপ্রকৃত সিলোম বা Pseudocoelomate যুক্ত প্রাণী বলে।
Ex: Nematoda পর্বের প্রাণীরা Pseudocoelomate
Eucoelomate (ইউসিলোমেট) : যেসব প্রাণীর দেগহ্বরে চারপাশে মেসোডার্ম উদ্ভূত পেরিটোনিয়াম নামক পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে, সেসব প্রাণীকে Eucoelomate বা প্রকৃত সিলোমযুক্ত প্রাণী বলে। Ex: Mollusca থেকে Chordata পর্বের প্রাণীরা প্রকৃত সিলোমবিশিষ্ট প্রাণী।
