এসএসসি ২০২৩ : পৌরনীতি ও নাগরিকতা
যেভাবে ভালো নম্বর পাবে
দেওয়ান সামছুর রহমান
প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিনিয়র শিক্ষক, গোয়ালপাড়া হাইস্কুল, সোনারগাঁ
সুপ্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা
শুভেচ্ছা নিও। আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছ। আগামী ৩০ এপ্রিল, রোববার ২০২৩ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে তোমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এসএসসি পরীক্ষা। আশা করি তোমরা তোমাদের প্রস্তুতির চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছ। সামনের যে দিনগুলো রয়েছে সেগুলোকে ভালোভাবে কাজে লাগাবে। মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য পৌরনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফলাফল উন্নয়নের ক্ষেত্রে পৌরনীতি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে পারে। নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ১৬ মে মঙ্গলবার পৌরনীতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পূর্ব প্রস্তুতি ভালো থাকলে, সামনের সময়গুলো সঠিকভাবে কাজে লাগালে আর পরীক্ষার সময় তা যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে পারলে এ বিষয়ে সহজে ভালো ফলাফল করা সম্ভব।
এ বিষয়ে (সৃজনশীল ৭০ + নৈর্ব্যক্তিক ৩০) = ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। ১০০ থেকে ৮০ পেলে এ প্লাস মানে ৫ পয়েন্ট। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস হলেও পূর্ণমানেই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সময় সৃজনশীলে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট আর বহু নির্বাচনিতে ৩০ মিনিট মোট ৩ ঘণ্টা। পৌরনীতির বিষয় কোড ১৪০।
এ বিষয়টিতে মোট এগারোটি অধ্যায় থাকলেও ২০২৩ সালের পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী মাত্র ৭টি অধ্যায়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ১ম অধ্যায় - পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ২য় অধ্যায় - নাগরিক ও নাগরিকতা, ৪র্থ অধ্যায় - রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থা, ৫ম অধ্যায় - সংবিধান, ৬ষ্ঠ অধ্যায় - বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা, ১০ম অধ্যায় - জাতীয় চেতনা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, ১১শ অধ্যায় - বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন।
সৃজনশীল অংশে ৭০ নম্বর। মোট ১১টি প্রশ্ন থাকবে এবং যে কোনো ৭টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০। অন্যান্য সৃজনশীল প্রশ্নের মতো প্রতিটি প্রশ্নের চারটি ভাগ থাকবে। ‘ক’ জ্ঞানমূলক মান-১, ‘খ’ অনুধাবনমূলক মান-২, ‘গ’ প্রয়োগমূলক মান-৩, ‘ঘ’ উচ্চতর দক্ষতামূলক মান-৪। বহুনির্বাচনি অংশে ৩০টি প্রশ্ন থাকবে, ৩০টি প্রশ্নেরই উত্তর করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। পৌরনীতির এ অধ্যায়গুলোর মধ্যে ৪র্থ, ৫ম, ১০ম, ১১শ অধ্যায়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ অধ্যায়গুলো থেকে সবচেয়ে বেশি সৃজনশীল প্রশ্ন পাওয়ার সম্ভাবনা। তাই এ অধ্যায়গুলোকে ভালোভাবে আয়ত্ত করা উচিত।
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের জন্য তো সব অধ্যায়কে ভালোভাবে পড়তেই হবে। উদ্দীপকগুলো ভালোভাবে পড়ে সঠিকভাবে খাতায় উপস্থাপন করতে পারলে অবশ্যই পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব। সব প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। কোনো প্রশ্ন ছেড়ে আসা উচিত নয়। কাটাছেঁড়া কম করা, হাতের লেখা স্পষ্ট করা উচিত। এভাবেই পৌরনীতিতে সহজেই এ প্লাস পাওয়া যেতে পারে।
