এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৩ : বাংলা প্রথমপত্র
ড. সনজিত পাল
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা
প্রতিদান
- জসীমউদ্দীন
সৃজনশীল প্রশ্নের দিক
১. কবির নিঃস্বার্থপর মনোভাবের পরিচয়।
২. মানব জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য।
৩. কবির ক্ষমার মনোভাব। / উদার দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয়।
৪. প্রীতিময় ও প্রেমময় পৃথিবী গড়ার গুরুত্ব।
৫. হিংসার বিপরীতে মানবীয় ভালোবাসার জয়।
মূলভাব : হিংসা-বিদ্বেষ-হানাহানির বিপরীতে নিঃস্বার্থ মানবীয় ভালোবাসার জয়গান।
সৃজনশীল প্রশ্ন-১ : সকলের মুখ হাসি ভরা দেখে / পার না মুছিতে নয়ন ধার?
পরহিত ব্রতে পার না রাখিতে / চাপিয়া আপন বিষাদ-ভার?
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে / আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা / প্রত্যেকে মোরা পরের তরে।
ক. কবি জসীমউদ্দীনের কবিতার প্রধান উপজীব্য কী?
খ. কবি কাকে বুকভরা গান দেন এবং কেন?
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘প্রতিদান’ কবিতার সাদৃশ্য বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শেষ দুই চরণকে আলোচ্য কবিতার মূলভাবনারই প্রতিফলক বলা যায় কি? যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন-২ : স্বার্থ-সুখ চাহি না কো, আত্মনিষ্ঠ কেহ মোরা নয়;
পরার্থে করিব বিশ্বে সর্ব বিসর্জন
আমাদের আত্মত্যাগে প্রতিগৃহে নামিবে অভয়
মর্ত্যরে মাটিতে হবে স্বর্গের সৃজন।
ক. বিবাগী শব্দের অর্থ কী?
খ. কবি কার জন্য পথে পথে ঘুরেন এবং কেন?
গ. উদ্দীপকে ‘প্রতিদান’ কবিতার যে দিকটি প্রকাশ পেয়েছে তা বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের কবিতাংশের কবি তার আলোচ্য কবিতার কবির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অভিন্ন বলে তুমি মনে কর কি? যুক্তি দাও।
তাহারেই পড়ে মনে
-সুফিয়া কামাল
সুফিয়া কামাল (১৯১১-১৯৯৯) বাংলাদেশের বিশিষ্ট মহিলা কবি ও নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লায়। সুফিয়া কামাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি। পারিবারিক নানা উত্থান পতনের মধ্যে তিনি স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। তারই মধ্যে তিনি বাংলাভাষা ও সাহিত্যের চর্চায় আত্মনিয়োগ করেছেন। পরে সাহিত্য সাধনা ও নারী আন্দোলনে ব্রতী হয়ে তিনি শুধু কবি হিসাবেই বরণীয় হননি, জননী সম্ভাষণে ভূষিত হয়েছেন। ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি সুফিয়া কামালের ব্যক্তি জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে তার জীবনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়, তা কবিমনকে আচ্ছন্ন করে রাখে রিক্ততার হাহাকারে। প্রকৃতিতে নব বসন্তের আগমনও কবি হৃদয়ের সেই বিষাদময় রিক্ততার সুরকে মুছে ফেলতে পারেনি। তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে থাকে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা। প্রকৃতির সঙ্গে মানব মনের সম্পর্ক নিবিড় ও আনন্দপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও কবির শোকাচ্ছন্ন হৃদয়ে বসন্ত-প্রকৃতির প্রভাব কোনো ভাবেই সে সম্পর্ককে জাগিয়ে তুলতে পারেনি এবং কবির অন্তরকেও স্পর্শ করতে পারেনি। গঠনরীতির দিক থেকে নাটকীয় রসপূর্ণ এ কবিতার সংলাপনির্ভর কথোপোকথন একে বিশেষ তাৎপর্যময় করে তুলেছে।
‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি পড়ার সময় যে দিকগুলো ভালো করে খেয়াল করতে হবে :
‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটি সংলাপনির্ভর রচনা। এখানে কবি ও কবি-ভক্তের মধ্যে সংলাপ হয়েছে। কবি ও কবি-ভক্তের পাল্টা-পাল্টি যুক্তি ও ভাবের প্রকাশ কবিতাকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এ কবিতাটি পড়ার সময় আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে কবি-ভক্ত কী বলেছে এবং কেন বলেছে? তার কথার পাল্টা উত্তরে কবি কী বলেছে? যুক্তি দেখানের পেছনে কবি যা বলেছেন তার সঙ্গে প্রকৃতির সৌন্দর্যের ও প্রাকৃতিক উপাদানের মিল রয়েছে কি না? কবি-ভক্ত কবিকে অনুরোধ করেছে কেন? তার অনুরোধ রাখা কবির পক্ষে সম্ভব হয়নি কেন? কবির মনের এরূপ অবস্থার কারণ কী? বসন্ত ঋতুর বৈশিষ্ট্য বা বসন্ত ঋতুর আগমনী প্রভাব কেমন? ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতার গঠনরীতি, এর মাধুর্যময় ছন্দ ও ভাষা, কবিতায় কবির আবেগ ও কবি-ভক্তের আকাক্সক্ষা গভীরভাবে উপলব্ধি করতে হবে।
অনুধাবন প্রশ্ন :
১. ‘বসন্ত-বন্দনা তব কণ্ঠে শুনি এ মোর মিনতি’- ব্যাখ্যা কর।
২. ‘শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান’- কবির এমন উন্মনার কারণ ব্যাখ্যা কর।
৩. কবি কেন বসন্তের আগমন লক্ষ করেননি?
৪. প্রকৃতিতে বসন্ত এলেও কবি তাকে কেন বরণ করতে পারেননি?
৫. কবি-ভক্তের মতে বসন্তের আবেদন গুরুত্ব হারিয়েছে কেন?
৬. ‘অলখের পাথার বাহিয়া তরী তার এসেছে কি?’- কেন বলা হয়েছে?
৭. শীতের রিক্ততার কথা কবির বার বার মনে হয়েছে কেন?
৮. ‘তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতাটিকে নাটকীয় গুণসম্পন্ন কবিতা বলা হয়েছে কেন?
৯. কবি ফাগুন মাসেও নীরব রয়েছেন কেন?
১০. ‘বাতাবি নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?’-কবির এ প্রশ্ন করার কারণ ব্যাখ্যা কর।
১১. কবি-ভক্ত কেন কবিকে গীতি রচনা করতে বলেছেন?
কবি কেন বসন্ত বরণের জন্য গান গাহিতে চান না?
১২. ‘ওগো কবি, অভিমান করেছ কি তাই?’- কেন বলা হয়েছে?
১৩. কবি-ভক্ত প্রকৃতিতে বসন্তের আগমনকে কেন বৃথা বলেছেন?
১৪. ‘মাধবী কুঁড়ির বুকে গন্ধ নাহি? করে নাই অর্ঘ্য বিরচন’?- কেন বলা হয়েছে?
১৫. ‘উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন কবি দাও তুমি ব্যথা’?- কেন বলা হয়েছে?
১৬. ‘কুহেলী উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী’- বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।
১৭. কবি কাকে ভুলতে পারেন না এবং কেন?
